এটা একটা গল্পের প্লট।
গল্পটা শুরু হয় ৪৯ বছর বয়সী ক্লাইভের লন্ডনের বার্কলে স্কোয়ারের বাড়িতে ঠোঁট কেটে আত্মহত্যার ঘটনা দিয়ে। আজও যে মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটিত হয় নি - কেউ বলেন অত্যধিক আফিম গ্রহণে মৃত্যু কেউ বলেন বুকে ব্যথা উঠে। শেষের দিকে পেটের ব্যথা ভুলতে আফিম নিতেন, বাংলায় আফিম ব্যবসা একচেটিয়াকরণ করা নবোব ক্লাইভ।
ভারত ফেরত নবোবদের ১০ অংশ পার্লামেন্টে পকেট বরোর মাধ্যমে ২০ হাজার পাউন্ড ঘুষ দিয়ে যেত(যখন লন্ডনে বছরে ৮০০ পাউন্ডে রাজার হালে থাকা যেত) কোম্পানির বা ব্যক্তিগত ব্যবসার স্বার্থ সিদ্ধি করতে। ক্লাইভও বহু বছর পার্লামেন্টে কাটায় কোম্পানিতে তার দলের বিরোধী পক্ষের সদস্যদের তীব্র বিরোধিতার মধ্যে। যদিও তাঁকে হেস্টিংসদের মত পারলামেন্টের বিচারসভার(ইম্পিচমেন্ট) সম্মুখীন হতে হয় নি। শোনা যায় মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছিল প্রৌঢ ক্লাইভ। তাকে তাড়া করত বাংলার পলাশীর ষড়ীদের প্রত্যেককে খুন বা পথে বসাবার চক্রান্তের ভুত।
গল্প চলে আসে পলাশীর ৮ আষাঢ আর তার পর দিনের বৃষ্টিভেজা রাতে, প্রথম দিন ক্লাইভের চার সঙ্গী সিরাজের অন্দরমহলের সিন্দুক থেকে ৮ কোটি টাকার সম্পদ লুঠ করে প্রায় বিনা বাধায় - ছোটখাট লড়াই হয় কিন্তু পেরেওঠেনা মূল গল্পের শুরু হয় এখানেই - সেটা গিয়ে শেষ হয় বার্কলে স্কোয়ারে ক্লাইভের মৃত্যুতে। গোটা ঘটনায় সূত্র একটা সোনা আর রূপোর তৈরি বাসন সেট, যে রূপো দিয়ে বাংলায় ব্যবসা করতে হত কোম্পানিকে।
যে তৈজস সেটটার শেষতম অপভ্রংশ, চামচটি আপনারা দেখলেন গত কয়েক দিন আগে, মমতার লন্ডন হোটেল বাসের ঘরে রূপোর চামচ চুরিতে।
No comments:
Post a Comment