অধ্যায়২
গিলক্রিস্ট আর হিন্দুস্তানির সংজ্ঞা
ধ্রুপদী আর কথ্য ভাষার লড়াই গোটা উনবিংশ শতক জুড়ে চলেছে। বাজারে আসা প্রত্যেক
ব্যকরণ বা শব্দকোষে এই বিতর্ক অবশ্যম্ভাবী ভাবেই থাকত। কোম্পানির কর্মচারীদের
সঙ্গে এসে জুড়ল ধর্মযাজকদের ভাষার প্রশ্ন - বিশেষ করে লিপির প্রশ্ন, আভিধানিক
সূত্রের উৎস, ব্যকরণ সম্পাদন ইত্যাদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নির্ভর হয়ে উঠছিল। ১৮৬০এর
দশকে নিজেদের বিস্তৃত ধ্রুপদী ভাষা শিক্ষা আর তার সঙ্গে ইংরেজি জানার পশ্চাদপটে,
বেশ কিছু ভারতীয় প্রশ্ন, সংগঠন করতে করা শুরু করতে করতে ইতিহাস এবং ধর্মসূত্রে
দাবি করতে থাকে বিশেষ কিছু লিপি আর তার সঙ্গে জোড়া ভাষার স্বীকৃতির।
ব্রিটিশ ক্ষমতা আর ভারতীয় জ্ঞান
এশিয়াটিক সোসাইটির স্থাপনার পঞ্চম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে, ডবলিউ সি টেলর,
লন্ডনে রয়্যাল সোসাটিতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, অষ্টাদশ শতকের শেষ পাদে একমাত্র
ব্রিটিশদের উদ্যোগের হিন্দুস্থানের সাহত্যিক সম্পদ সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার
উদ্যম নেওয়া হয়। তিনি বলেন, প্রাচ্য দেশগুলিতে সওদাগরি করতে গিয়ে এতদিনের গবেষণায় এবং
সাহিত্য ইত্যাদি প্রচারের কাজে প্রাচ্যবিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ে যে জ্ঞান অর্জিত হয়েছে
সেই জ্ঞানের প্রচার সদর্থকভাবে সম্পন্ন করার জন্যে, সরকারিস্তরে গবেষণা এবং
প্রকাশনার অর্থ সাহায্য দাবি করেন। তিনিই প্রথম বললেন জ্ঞানই ক্ষমতা।
১৭৮৪ সালে কোর্ট অব ডিরেক্টরের চেয়ারম্যান, সদস্য ন্যাথানিয়েল স্মিথকে ওয়ারেন
হেস্টিংস বোঝালেন কিভাবে ভারতে(আদতে মূলত বাংলায়) ব্রিটিশ সাম্রাজ্য স্থাপনে
ক্ষমতার কেন্দ্রই হিসেবে জ্ঞান ব্যবহৃত হয়েছে এভ্রি একুমুলেশন অব নলেজ এন্ড
এস্পেশালি সাচ এজ ইজ অবটেইনড বাই সোসাল কমিউনিকেশন উইথ পিপল ওভার হুম উই
এক্সসারসাইজ ডোমিনেশন ফাউন্ডেড অন দ্য রাইট অব কনকুয়েস্ট, ইজ ইউজফুল টু দ্য
স্টেট... ইট এট্রাকটস এন্ড কন্সিলিয়েটস ডিস্ট্যান্ট এফেকশন্স; এন্ড ইট ইম্প্রিন্টস
অন দ্য হার্টস অব আওয়ার কান্ট্রিমেন দ্য সেন্স অব অব্লিগেশন এন্ড বেনিভলেন্স...
এভ্রি ইন্সট্যান্স হুইচ ব্রিংস দেয়ার রিয়্যাল ক্যারেকটর (আই ই, দ্যাট অব হিন্দুজ)
হোম টু অব্জারভেশন উইল ইম্প্রেস আস উইথ আ মোর জেনারাস সেন্স অব ফিলিং ফর দেয়ার
ন্যাচুর্যাল রাইটস, এন্ড টিচ আস টু এস্টিমেট দেম বাই দ্য মেজার অব আওয়ার ওউন। বাট
সাচ ইন্সট্যান্সেস ক্যান অনলি বি অবটেইনড ইন দেয়ার রাইটিংস; এন্ড দিজ উইল সারভাইভ
হোয়েন দ্য ব্রিটিশ ডোমিনেশন ইন ইন্ডিয়া শ্যাল হ্যাভ লং সিসড টু এক্সিস্ট, এন্ড
হোয়েন দ্য সোর্সেস হুইচ ওয়ান্স ইলডেড অব ওয়েলথ এন্ড পাওয়ার আর লস্ট টু
রিমেম্ব্রেন্স।
হেস্টিংস অতীত থেকে নিজেদের রহস্যময় ভাষার(সংস্কৃত) নানান জ্ঞান ধারক ব্রাহ্মণদের
প্রতি উপকারী ও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করতেন। ব্রিটিশদের ধারণা ছিল
ব্রিটিশ আমলের ঠিক পূর্বে পর্যন্ত মুসলমান সাম্রাজ্যের অধিশ্বরেরা, হিন্দুদের
জ্ঞানকে উপহাস করেও হিন্দুদের ব্যবহার করেছিল তাদের অসহিষ্ণু মতবাদের পক্ষে দাঁড় ও
প্রচার করাত। হেস্টিংসের তত্ত্ব ছিল ব্রাহ্মণেরা এখন রাজাহীন। তাদের দিকে বন্ধুত্বপূর্ণ
সহযোগিতার হাত বাড়ানো দরকার। উল্টো দিকে তিনিও মনে করতেন ব্রাহ্মণেরাও ব্রিটিশদের
সঙ্গে তাদের জ্ঞান ভাগ করে নিতে অতি উৎসাহী।
কুড়ি বছর পরে বেন্থামপন্থী এবং আইন সংস্কারক, বম্বের রেকর্ডার জেমস
ম্যাকিন্সটস বম্বে লিটারারি সোসাইটির বৈঠকে তথ্য নথিকরণ বিষয়ে খুব কড়া কড়া কথা
বলেন। তিনি প্রত্যেক দেশিয়কে ডাক দিয়ে বলেন এদেশে এসে ব্রিটিশ যে জ্ঞানের মালিক
হয়েছে সেই জ্ঞানের গভীর পর্যন্ত গিয়ে খুঁড়ে দেখতে। তিনি শ্রোতাদের বলেন (হতাশার
বিষয় হল) যে সব ব্রিটিশারেরা প্রান্তিক দেশসমূহে যাচ্ছেন... তারা অসভ্যদের ওপর বিজয়ী হয়েও জ্ঞান আর সভ্যতার আলো
ছড়ানোর সভ্য (ব্রিটিশ)জ্ঞানীদের চেষ্টার মূল স্রোত থেকে দূরে থাকেন।
এইচ টি কোলব্রুক ভারতীয় সংস্কৃতি বিষয়ে ব্রিটিশ প্রতিক্রিয়া বিষয়ে বাবাকে লিখছেন,
দ্য ফারদার আওয়ার লিটারারি এনকুয়ারিজ আর এক্সটেন্ডেড হিয়ার, দ্য মোস্ট ভাস্ট এন্ড
স্টুপেন্ডাস দ্য সিন হুইচ ওপেনস টু আস; এট দ্য সেম টাইম দ্যাট দ্য ট্রু এন্ড দ্য
ফলস, দ্য সাবলাইম এন্ড দ্য পিওরাইল, উইসডম এন্ড এবসার্ডিটি, আর সো ইন্টারমিক্সড,
দ্যাট এট ভেরি স্টেপ, উই হ্যাভ টু স্মাইল এট ফলি, হোয়াইল উই এদ্মায়ার এন্ড একনলেজ
দ্য ফিলজফিক্যাল ট্রুথ, দো কাউচড ইন অবস্কিওর এলিগোরি এনশ পিউরাইল ফেবল।
No comments:
Post a Comment