অধ্যায় ৪
উনবিংশ শতকে, বস্তুকে হস্তশিল্প, পুরাকীর্তি আর শিল্পে
রূপান্তর
কর্নেল ম্যাকেঞ্জি এবং অমরাবতীর মার্বেল পাথরের স্থাপত্য
ভারতের ইওরোপিয় সংশ্রবকে
জাদুঘর হিসেবে দেখা শুরু হল। ভারতের স্থপতিরা বহুকাল ধরেই এই কাজটি করছিলেন, সেই
সূত্র ধরে ব্রিটিশেরা বুঝতে পারল তাদের মহান ধর্ম মধ্যযুগে কিভাবে গড়ে উঠেছে।
এছাড়াও ব্রিটিশেরা অন্যান্য আক্রমনকারীদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখল যে ভারতে ইওরোপিয়
চরিত্র নিয়ে, মাথা উঁচুকরে শাসক হিসেবে পতিত না হয়ে ক্ষমতা নিয়ে বাঁচতে গেলে তাদের
অধঃপতিত ভারতীয়দের সঙ্গে মেশামিশি করলে ভুল হবে। এছাড়া তাদের এমনভাবে বাঁচতে হবে
যাতে জলবায়ুর প্রভাব ন্যুনতম হয়।
ফারগুসন, অমরাবতী স্থাপত্য
নিয়ে তার প্রগতিশীল বক্তৃতাইয় আরও বর্ণনাজুড়ে গুন্টুরে উপস্থাপন করলেন। যে
বক্তৃতার সূত্রে তার বিশাল এবং প্রভাবশালী বই ট্রি এন্ড সারপেন্ট ওয়ারশিপঃ অর
ইলাস্ট্রেশন্স অব মাইথলজি এন্ড আর্ট ইন ইন্ডিয়া ইন দ্য ফার্স্ট এন্ড ফোর্থ
চেঞ্চুরিজ আফটার ক্রাইস্ট। ফ্রম দ্য স্কালপপচার্স অব দ্য বুদ্ধিস্ট টোপস এট সাঁচি
এন্ড অমরাবতী প্রকাশ পেল। বইএর শীর্ষক পাতাতেই বলে দেওয়া হল বইটি স্টেট ফর ইন্ডিয়া
ইন কাউন্সিলের সেক্রেটারির তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত হল।
১৮৬৮ সালের গবেষণা পত্রে ক্যামেরায়
তোলা ছবির সূত্রধরে আগের আঁকা ছবিগুলির সংশোধিত অঙ্কন বইটির সঙ্গে প্রকাশিত হল এবং
আমরা বুঝলাম তিনি স্থাপত্যের ইতিহাসের মধ্যে জাতিতত্ত্ব খোঁজার চেষ্টা করছেন,
যেখানে তিনি তিনটে জাতির উল্লেখ করছেন, নাগ, যারা সাপের উপাসনার সঙ্গে যুক্ত, তারা
সুদর্শন জাতি, কিন্তু অমরাবতীর শাসক নয়। এরা এসেছে তক্ষশীলা থেকে। কারণ খ্রিষ্ট
শতকে তক্ষশীলা অঞ্চলটা ছিল সর্পপুজকদের মূল কেন্দ্র। আর ছিল জাট এবং আদিযুগের
গোন্দ বা অকাট্য কিছু তামিল জাতি। গবেষণা পত্রটি শেষ হচ্ছে তার পরের প্রকল্পটি
ঘোষণায় – কিভাবে ইওরোপিয় শিল্পকলা পূর্বের শিল্পকলাকে প্রভাবিত করেছিল। এর সঙ্গে
তিনি জানালেন থাকবে গাছ আর সর্পউপাসনা বিষয়ে বর্ণনা। প্রবন্ধটি প্রকাশিত হল পাঁচ
বছর পরে, ৭৫ টা ফোলিও পাতায় পাঠকদের তিনি ইতিহাসের মানস ভ্রমণে নিয়ে গেলেন, বললেন
গাছ আর সর্পউপাসনা সারা বিশ্বজুড়েই আছে।
ফারগুসনের ধর্মের ইতিহাস
রচনায় আগের প্রকৃতি উপাসনার সঙ্গে জুড়ে দিলেন একজন মহৎ প্রগতিশীল ধর্মের ধর্মীয় নেতাকে।
এখানেও ভারতের কোন জায়গা হল না। বুদ্ধ পেছনে পড়ে রইলেন। গরীব বেচারা ভারতীয়রা যে
শুধু প্রাচীন নাগ আর গাছ পুজো করে তাই নয়, তারা তাদের স্থাপত্যকলা ধার নিয়েছে গ্রিক আর
রোমকদের থেকে। নিজস্ব বলে কিছুই নেই।
বললেন, প্রাসাদ এবং সেগুলির
আলঙ্কারিক চিত্র আর খোদাইগুলির নান্দনিকতা এবং তাদের সূক্ষ্মতা ধার নেওয়া হয়েছে
গ্রিক আর ব্যাক্ট্রিয় শিল্পকলা থেকে। কিন্তু অমরাবতী বিশ্লেষণে ফারগুসন তার গ্রিক
আর ব্যাক্ট্রিয় শিল্পকলা তত্ত্ব প্রমান করতে বেশ গোলমালের মধ্যে পড়লেন। তিনি এর
সময়কে ২০০ থেকে ৪০০ খ্রিষ্টাব্দে ফেললেন। তিনি এটা করলেন পশ্চিম ভারতের গুহাচিত্রের
আঙ্গিক আর নান্দনিকতার প্রবল অনুমান কাজে লাগিয়ে। কিন্তু লেখচিত্রের তথ্য থেকে
প্রমান হয় এটা গ্রিক বা রোমিয় প্রভাবের অনেক পরের তৈরি। কিন্তু তিনি সেটি
বিশ্লেষণে গেলেন না, তার যুক্তি লিখলেন পাদটিকায় – মাই ইম্প্রেশন, হাউএভার, ইজ
দ্যাট ফিউ হু আর ফ্যামিলিয়ার উইথ দিস আর্টস অব রোম ইন কন্সট্যান্টাইন্স টাইম, এন্ড
হু উইল টেক দ্য ট্রাবল টু মাস্টার দিজ অমরাবতী স্কালপচার্স, ক্যান ফিল টু পারসিভ
মেনি পয়েন্টস অব এটেইনিটি বিটুইন দেম। সারকুলার মেডেলিয়নস অব দ্য আর্চ অব
কন্সট্যান্টাইন – সাচ এজ বিলং টু হিজ টাইম – এন্ড দ্য জেনারেল টোন অব দ্য আর্ট অব
হিজ এজ সো ক্লোজলি রিজেমবল হোয়াট উই ফাইন্ড হিয়ার, দ্যাট দ্য কোইন্সিড্যান্স ক্যান
হার্ডলি বি এক্সিডেন্টাল। দ্য কনভেনশন দ্যাট দ্য স্টাডি অব হিজ স্কাল্পচার্স হ্যাজ
ফোর্সড ইন মাই মাইন্ড ইজ, দ্যাট দেয়ার ওয়াজ মাচ মোর ইন্টারকমিউনিকেশন বিটুইন দ্য
ইস্ট এন্ড ওয়েস্ট ডিউরিং দ্য হোল পিরিয়ড ফ্রম আলেকজান্দার টু জাস্টিনিয়ান দ্যান ইজ
জেনারেলি সাপোসড, এন্ড দ্যাট দ্য ইন্টারকোর্স ওয়াজ এস্পেসালি ফ্রিকুয়েন্ট এন্ড
ইনফ্লুয়েন্সিয়াল ইন দ্য মিডল পিরিয়ড, বিটুইন অগাস্টাস এন্ড কন্সট্যান্টাইন।
No comments:
Post a Comment