গতকালের সাংবাদিক সম্মেলনে কবীর সুমনের টুপি পরা নিয়ে বেশ কিছু কটু মন্তব্য ভাসছে। এ বিষয়ে জনাব কবীরের পক্ষে দাঁড়িয়ে শামিম আহমেদ যা বলেছেন প্রণিধানযোগ্য এবং অসাধারণ - সেটা তুলে দেওয়া গেল -
"কবীর সুমন পোশাকের ব্যাপারে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করেন। কদিন আগেই উনি ধুতি পাঞ্জাবি পাম্প শু আর হাতে বুড়োলাঠি নিয়ে পব সরকারের কাছে পুরস্কার নিতে গিয়েছিলেন। কেউ হিন্দুত্ব খোঁজেনি। জিন্স টিশার্ট আর রোদটুপি পরে গিটার বাজিয়ে গান গাইলেন সেদিন। কেউ খ্রিস্টধর্ম বলেনি। কিন্তু শার্ট প্যান্ট পরা সুমনের এই ছবিতে কিস্তি টুপি দেখেই আমরা নড়েচড়ে উঠেছি।"
"কবীর সুমন পোশাকের ব্যাপারে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করেন। কদিন আগেই উনি ধুতি পাঞ্জাবি পাম্প শু আর হাতে বুড়োলাঠি নিয়ে পব সরকারের কাছে পুরস্কার নিতে গিয়েছিলেন। কেউ হিন্দুত্ব খোঁজেনি। জিন্স টিশার্ট আর রোদটুপি পরে গিটার বাজিয়ে গান গাইলেন সেদিন। কেউ খ্রিস্টধর্ম বলেনি। কিন্তু শার্ট প্যান্ট পরা সুমনের এই ছবিতে কিস্তি টুপি দেখেই আমরা নড়েচড়ে উঠেছি।"
এবারে আমাদের কথা -
ইওরোপিয় ধাঁচের পোষাক কেন ধর্মনিরপেক্ষ পোষাক হিসেবে গণ্য হবে সেই প্রশ্নটা উঠুক। কেন ইওরোপিয় চিহ্ন পরিধান কোন চিহ্ন বলে মনে হয় না, কেন তিলককাটা বা বিশেষ ধাঁচের দাড়ি রাখা বা মমতার মাথায় আচ্ছাদন দেওয়া সাম্প্রদায়িক চিহ্ন হিসেবে গণ্য হবে বাংলার এই সমাজে এই প্রশ্ন আজও কি উঠবে না?
ইওরোপিয় ধাঁচের পোষাক কেন ধর্মনিরপেক্ষ পোষাক হিসেবে গণ্য হবে সেই প্রশ্নটা উঠুক। কেন ইওরোপিয় চিহ্ন পরিধান কোন চিহ্ন বলে মনে হয় না, কেন তিলককাটা বা বিশেষ ধাঁচের দাড়ি রাখা বা মমতার মাথায় আচ্ছাদন দেওয়া সাম্প্রদায়িক চিহ্ন হিসেবে গণ্য হবে বাংলার এই সমাজে এই প্রশ্ন আজও কি উঠবে না?
তাহলে কি কোথাও একটা ছোট্ট উপনিবেশ আমাদের মনে আজও লুকিয়ে থাকে, যেখানে মনে হয় সাদা ইওরোপ যা করে তা সবই প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ?
অবশ্যই এই অসামাজিক বিতর্কগুলো ইওরোপমন্য শহুরে সংখ্যালঘু ইংরেজি শিক্ষিত সমাজেই হয়।
তাই বাঁচোয়া।
সান্ত্বনা, গ্রামই বাংলাকে বাঁচায়, বাঁচাবে।
সান্ত্বনা, গ্রামই বাংলাকে বাঁচায়, বাঁচাবে।
No comments:
Post a Comment