এই প্রবন্ধে আমরা মূলত কয়েকটি পরম্পরার গ্রাম শিল্প আর শিল্পীদের কথা বলব।
এই প্রবন্ধের উল্লিখিত গ্রাম শিল্প-শিল্পীর তালিকার বাইরে আরও অনেক গ্রাম
শিল্পী-শিল্প রয়েছে, যা স্থানাভাবে উপস্থাপন করা গেল না। এর বাইরে অনেক কিছু শিল্প,
অনেকজন শিল্পী সংগঠনের জানার বাইরেও থেকে গিয়েছেন। বাংলাজোড়া ১৮টি জেলায় সংগঠনের
জেলা সমিতির সঙ্গে যুক্ত থেকে, বাংলার যে যে এলাকায় আমরা সদস্য হিসেবে গিয়েছি, যে
যে মানুষ আর শিল্পর সঙ্গে মিলেছি দেখেছি, সংগঠন তৈরি হয়েছে, সেই সব দেখা শোনা
মানুষদের শিল্প এখানে উপস্থিত করা গেল। এর বাইরে আরও হাজারো শিল্পী, আর শিল্প
পরিচয়ের ভূমিকা অন্য কোনও সময়ে হয়ত করা যাবে। কয়েক স্তবক আগে যে দুটি শিল্পী
সংগঠনের কথা বলা গেল, তাঁর নাম কলাবতী মুদ্রা আর বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র
শিল্পী সংঘ। বাংলার দুই মহান শিল্পগুরু
আন্তর্জাতিক শোলা শিল্পী মধুমঙ্গল মালাকার আর ছো মুখোশ, ঝুমুর আর ছো নৃত্য শিল্পী
নেপাল সূত্রধরের মূল উদ্যোগে এই দুটি সংগঠন তৈরি হয়েছে। এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য
পরম্পরার গ্রাম শিল্পীদের জীবিকা আর স্বার্থ রক্ষা, যে গ্রাম শিল্পগুলি প্রায় মুছে
যেতে বসেছে সেগুলিকে রক্ষা; নতুন বাজার খুঁজে বার করা ইত্যাদি। এর বাইরে আরও অনেক
কাজের মধ্যে সংগঠন দুটি চেষ্টা করছে বাংলা জোড়া কারু গ্রাম ভ্রমণের মত একটি নতুন
ভাবনার ভ্রমণদ্যোগ শুরু করতে, যেখানে উৎসাহীরা শিল্পীদের গ্রামে গিয়ে তাদের
উৎপাদন, তাঁদের আভিকর শিল্প, তাদের জীবনযাত্রা ইত্যাদি দেখতে পাবেন স্বচক্ষে, হাতে
কলমে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং সেখান থেকেই নানান শিল্প কর্ম কিনতে পারবেন
– একই সঙ্গে বাংলার গ্রাম, তার শিল্প, শিল্পী, ঐতিহ্য, পরম্পরা, প্রযুক্তি, জীবন
জীবিকা ইত্যাদি বিযয়ে একটি স্বচ্ছ ধারণাও তৈরি করতে পারবেন।
পাঠকের অনুমতি নিয়েই লেখাটির মুখবন্ধ শুরু করব কিছুটা ব্রিটিশপূর্ব সময় থেকে, যখন গ্রাম বাংলার উৎপাদন বিশ্বের বাজারে বিকোত একচেটিয়াভাবে। এর সঙ্গে ছুঁয়ে যাব গ্রাম শিল্পীদের নিজস্বতার যায়গাটিও – কেন তাঁরা আজও সম্মানীয়, কেন এই শিল্পীদের আজও এই সভ্যতার প্রয়োজন। হয়ত এই মুখবন্ধটি তত্ত্ব আর তথ্যের জালে কিছুটা ভারাক্রান্ত মনে হবে, কিন্তু যারা বাংলার গ্রাম শিল্পের ইতিহাসে আগ্রহী, তাঁদের কাছে এর আবেদন থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু যাঁদের এই ভূমিকাটি নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় মনে হবে, তাঁরা স্বচ্ছন্দে এই বেকার বকবকানি টপকে মাদুর শিল্প থেকে পড়া শুরু করতে পারেন । বিন্দুমাত্র ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বরং কিছু সময় বেঁচে যেতে পারে।
পাঠকের অনুমতি নিয়েই লেখাটির মুখবন্ধ শুরু করব কিছুটা ব্রিটিশপূর্ব সময় থেকে, যখন গ্রাম বাংলার উৎপাদন বিশ্বের বাজারে বিকোত একচেটিয়াভাবে। এর সঙ্গে ছুঁয়ে যাব গ্রাম শিল্পীদের নিজস্বতার যায়গাটিও – কেন তাঁরা আজও সম্মানীয়, কেন এই শিল্পীদের আজও এই সভ্যতার প্রয়োজন। হয়ত এই মুখবন্ধটি তত্ত্ব আর তথ্যের জালে কিছুটা ভারাক্রান্ত মনে হবে, কিন্তু যারা বাংলার গ্রাম শিল্পের ইতিহাসে আগ্রহী, তাঁদের কাছে এর আবেদন থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু যাঁদের এই ভূমিকাটি নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় মনে হবে, তাঁরা স্বচ্ছন্দে এই বেকার বকবকানি টপকে মাদুর শিল্প থেকে পড়া শুরু করতে পারেন । বিন্দুমাত্র ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বরং কিছু সময় বেঁচে যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment