এনকাউন্টারিং ডেভেলাপমেন্টঃ দ্য মেকিং এন্ড আন্মেকিং অব দ্য থার্ড ওয়ার্লডঃ আর্তুরো এসকোবারএর বই থেকে
এই ধরণের সমালোচনামূলক জ্ঞানচর্চাগুলি ‘ঐতিহাসিকভাবে যে ইতিহাসকে বুঝতে, পড়তে বাধা দেওয়া হয়েছে, সেটিকে নতুনকরে জানতে(রিফাউন্ডিং) এবং নতুন করে শুরু করতে(রিএজিউমিং)’ সাহায্য করবে। অন্যভাবে বলতে গেলে এই পদ্ধতিটি আফ্রিকাকে নিজের মত করে জানা বোঝার, তাদের ইতিহাস, সমাজ, তাদের কৃষ্টিগত ঐতিহ্যকে বোঝার তত্ত্বকে ইওরোপমন্যতার ইতিহাস এবং জ্ঞানচর্চার বাইরে বেরিয়ে - যদিও বহুজাতিক দৃষ্টিকোণে(কন্টেক্সট) নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। এই তত্ত্বকে আমরা তৃতীয় বিশ্ব তত্ত্ববিরোধী ধারণা বিকাশেও প্রয়োগ করতে পারি, এতদিন ধরে আধুনিক পশ্চিমের ইতিহাস, অইওরোপিয় ভৌগোলিক অঞ্চলের ধারনাকে ইওরোপমন্য তত্ত্বের ছাঁচে ঢেলে ফেলেছে। এশিয়া, আফ্রিকা লাতিন আমেরিকাকে তৃতীয় বিশ্ব এবং অনুন্নত হিসেবে দাগিয়ে দেওয়ার তত্ত্ব আদতে এই সব দেশের বহুবর্ণিল ইওরোপিয় উত্তরাধিকার।
অন্য সমাজগুলি(আদার সোসাইটি)কে বর্ণনার আরেকটি চতুর ইওরোপিয় তাত্ত্বিকতার উল্লেখ করছেন টিমোথি মিচেল(যতদূর সম্ভব ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত কলোনাইজিং ইজিপ্ট বইতে - অনুবাদক)। মুদিম্বের মত টিমোথিরই উদ্দেশ্য হল ‘আধুনিক পশ্চিমের বিশেষ এই কাজের কর্মপদ্ধতি, সত্য এবং চরিত্র’ এবং উনবিংশ শতকের মিশরের ওপর তার প্রভাব বিশ্লেষণ। গত(উনবিংশ) শতকে ইওরোপ, বিশ্বের জনসমষ্টির কাছে পশ্চিমের তাত্ত্বিকতায় সৃষ্ট বিশ্বকে, পশ্চিম তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাদুঘরের প্রদর্শনীর মত করে উপস্থাপন করে। আধুনিক ইওরোপের গ্রাহীতার(সাবজেক্টস) কাছে এই তাত্ত্বিকতা যেন একটি প্রদর্শনীর মত, যেখানে দর্শক তার আশেপাশের অভিজ্ঞতাঋদ্ধ বাস্তবতা বাদ দিয়ে তৈরি করা প্রদর্শনীকেই বাস্তব ভেবে মনঃসন্তুষ্টিতে ভোগে। এই তাত্ত্বিকতায় প্রবেশ করা গ্রহীতা ইওরোপমন্যতার তৈরি পথ আর চরিত্র বিশ্লেষণ ধরেই তার চারপাশের বিশ্বকে তার মত করে সাজিয়ে নেয়(এনফ্রেমড)। বিষয়মুখীনতার এই তাত্ত্বিকতায়(রেজিম অব অব্জেক্টিভিজম) ইওরোপ তার গ্রহীতাকে দুভাবে শাঁড়াশি আক্রমনে প্রভাবিত করে – তার পারিকার্শ্বিকতা থেকে বিচ্যুত হওয়া এবং একই সঙ্গে বিষয়মুখীন হওয়া এবং সেই দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েই তাকে স্থানীয় জীবনে যোগ দিতে উৎসাহ দেয়(যাতে তারা স্থানীয় জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে - অনুবাদক)।
আধুনিকতার এই উপযোগ বিশ্বের ওপর প্রভূত চাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ চন্দ্রা (তলপাডে) মোহান্তি জানাচ্ছেন নারীবাদের আধুনিকতার ধারনার চরিত্রটি। পশ্চিমের নারীবাদ তৃতীয় বিশ্বের নারীদের সমস্ত তথ্যের উৎস। তিনি দেখলেন অধিকাংশ নারীবাদী সাহিত্যে তৃতীয় বিশ্বের নারী যেন শুধুই চাহিদা এবং সমস্যার জালে জড়িয়ে রয়েছে, অথচ তাদের কোন ইচ্ছে(চয়েস) নেই তেমনি স্বাধীনতাও নেই। নারীবাদের এই গুরুত্বপূর্ন আলোচনায় আমরা পশ্চিমের তৈরি সংখ্যাতত্ত্ব এবং চতুর শ্রেণীবিভাগ ভিত্তি করে গোটা তৃতীয় বিশ্বের মহিলাচিত্রণ দেখতে পাই – দিস এভারেজ থার্ড ওয়ার্ল্ড উইমেন লিডস এন ট্রাঙ্কেটেড লাইফ বেসড অন হার ফেমিনিন জেন্ডার(রিডঃ সেক্সুয়ালি কন্সট্রেইনড) অ্যান্ড হার বিইং ‘থার্ড ওয়ার্ল্ড’(রিডঃ ইগনোরেন্ট, পুয়োর, আনেডুকেটেড, ট্রাডিশন বাউন্ড, ডোমেস্টিক, ফ্যামিলিওরিয়েন্টেড, ভিক্টিমাইজড ইটিসি)। দিস, আই সাজেস্ট, ইজ ইন কন্ট্রাস্ট টু দ্য (ইমপ্লিসিট) সেলফ-রিপ্রেজেন্টেশন অব ওয়েস্টার্ন উইমেন এজ এজুকেটেড, এজ মডার্ন, এস হ্যাভিং কন্ট্রোলড ওভার দেয়ার ওন বডিজ এন্ড সেক্সুয়ালিটিজ, এন্ড দ্য ফ্রিডম টু মেক দেয়ার ওন ডিসিসানস(১৯৯১)।
এইভাবে পশ্চিম তার তৃতীয় বিশ্বের মহিলাদের চরিত্রায়ন করায়। তৃতীয় বিশ্বের নারীদের নিয়ে পশ্চিমের নারীবাদীরা যে চরিত্রায়ণ করেন, সেই কাজে চন্দ্রা যেন পিতৃতন্ত্রের মুখছবি দেখতে পান, আরও গভীরে গিয়ে বলতে গেলে আদতে এটা যেন সেই অতীতের চিরস্থায়ী পশ্চিমি আধিপত্যবাদের আরেকটি ঘোমটা পরা মুখ। তিনি তার প্রবন্ধের শেষে বলছেন, ...ইট ইন দিস প্রসেস অব ডিস্কার্সিভ হোমোজেনাইজেশন এন্ড সিস্টেমেটাইজেশন অব দ্য অপ্রেশন অব উইমেন ইন দ্য থার্ড ওয়ার্ল্ড, দ্যাট পাওয়ার ইজ এক্সারসাইজড ইন মাচ অব রিসেন্ট ওয়েস্টার্ন ফেমিনিস্ট ডিসকোর্স, এন্ড দিস পাওয়ার নিডস টু বি ডিফাইনড এন্ড নেমড।
বলা নিশ্চই দরকার হয় না চন্দ্রার সমালোচনা সাধারণভাবে বৃহত্তর মেইন্সট্রিম উন্নয়ন তত্ত্বের বিষয়েও প্রযোজ্য, যেখানে দেখানো হয় মানুষ শক্তিহীন, অকর্মক, দারিদ্রপীড়িত, অজ্ঞ এবং ঐতিহাসিকভাবে ইতিহাস অসচেতন – যেন তারা পশ্চিমিদের ছোঁয়া পেয়ে উৎসাহী, জ্ঞানী/শিক্ষিত, চাহিদাসম্পন্ন, নিজের ঐতিহ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে আন্তর্জাতিক, আদতে ইওরপিয় হয়ে উঠবে। এই চরিত্রায়ণ সার্বিকভাবে এবং কর্তৃত্বপূর্নভাবে তৃতীয় বিশ্বের কৃষ্টির ওপর আভিজাত্যিক মহিমায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা মনে রাখা দরকার, এই যে চাপিয়ে দেওয়া বিশ্ব বিতর্কে, পশ্চিম তৃতীয় বিশ্বের ওপর একটা অসামঞ্জস্যপূর্ণ কর্তৃত্ব বজায় রাখে; এবং এটি একটি গভীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কৃষ্টিগত প্রভাব আছে যা আমাদের বিচার করা জরুরি। চন্দ্রা মহান্তি বা অন্যান্যরা এই ক্ষমতার অসাম্য জনিত প্রতর্ককে বলছেন ‘দ্য কলোনিয়ালিস্ট মুভ’। এই উদ্দেশ্যপূর্ণ প্রতর্কের উদ্দেশ্য হল, উপনিবেশ/তৃতীয় বিশ্বের মানুষের ওপরে ক্ষমতার রশির চাপ বজায় রাখা।
হোমি ভাবা বলছেন ঔপনিবেশিক তাত্ত্বিকতা সব থেকে অনুন্নত, অবিকশিত একটি চর্চা, যা বিভিন্ন ধরণের রাজনৈতিক মতবাদের বৈষম্যমূলক আচারণকে একসুত্রে বেঁধে রাখে। ঔপনিবেশিক তত্ত্বচর্চায় হোমি ভাবার তত্ত্বায়ন বেশ জটিল, কিন্তু উদ্দীপক - ...(কলোনিয়াল ডিসকোর্স) ইজ এন এপারেটাস দ্যাট টার্নস অন রেকগনিশন এন্ড ডিসআভাওয়েল অব রেসিয়াল/কালচারাল/হিস্টোরিক্যাল ডিফারেন্সেস। ইটস প্রিডমিন্যান্স স্ট্রাটেজিক ফাংশান ইজ দ্য ক্রিয়েশন অব স্পেস ফর আ ‘সাবজেক্ট পিপলস’ থ্রু প্রোডাকশন অব নলেজেস ইন টার্মস অব হুইচ সারভিলেন্স ইজ এক্সসারসাইজড এন্ড আ কমপ্লেক্স ফর্ম অব প্লেজার/আনপ্লেজার ইনসাইটেড... দ্য অবভজেক্টিভ অব কলোনিয়াল ডিসকোর্স ইজ টু কনসট্রু দ্য কলোনাইজড এজ আ পপুলেশন অব ডিজেনারেট টাইপস অন দ্য বেসিস অব রেসিয়াল অরিজিন, ইন অর্ডার টু জাস্টিফাই কনকুয়েস্ট এন্ড টু এস্টাবলিশ সিস্টেমস অব এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড ইন্সট্রাকশন... আই এম রেফারিং টু আ ফর্ম অব গভর্মেন্টালিটি দ্যাট ইন মারকিং আউট আ ‘সাবজেক্ট নেশন’, এপ্রোপ্রিয়েটস, ডায়রেক্টস এন্ড ডমিনেটস ইটস ভেরিয়াস স্পিয়ার্স অব একটিভিটি(১৯৯০)।
No comments:
Post a Comment