সুন্দরবনের রাজস্ব
১৮২৩এ সুন্দরবনের কমিশনার হয়ে এলেন ম্যাঙ্গলস। পতিত জমি আইন পাস হল ১৮২৫এ। আইনের বিশেষ সুবিধে দেওয়া হলেও চারটে লটের(৫৫, ৫৬, ৬১, ৬৪ নম্বর লট) বেশি বিলি হল না।
এলেন ড্যাম্পিয়ার। উনি মুড়াগাছা আর মেদনমল্ল পরগনার জরিপ করালেন। ম্যাপ করলেন ম্যালকক। ড্যাম্পিয়ারের সময় আইন পাস করিয়ে সব জমি সরকারের মালিকানায় নিয়ে আসা হল। প্রিন্সেপের মানচিত্রের ওপর নির্ভর করে তিনি হুগলি থেকে মেঘনা পর্যন্ত মানচিত্র তৈরি করালেন। ১৮৩০এ নতুন আইন হল নাম হল গ্রান্টস রুল। এবারে সব জমি বিলি হয়ে গেল।
এরপরে কয়েকজন কমিশনার এলেন। কিন্তু আর কিছু ঘটে নি। ১৮৪৪এ কমিশনারের পদ অবলুপ্তি ঘটানো হল। ডেপুটি কালেক্টার উমাকান্ত সেনের খুন নাম ডাক। তাকেই স্পেসাল অফিসার করে পাঠানো হল, ১৮৪৫এ তিনি কমিশনার হলেন। তার সময় যে পতিত জমির আইন হল তাতে নিরানব্বই বছরের লিজের সুযোগ আর খাজনার হার কমে গেল। পতিতজমি বন্দোবস্তে রায়তেরা এগিয়ে এল। ১৮৫৫তে লবণ ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু সুযোগ দেওয়া হল। বাংলায় সই করা উমাকান্ত সেন ১৮৫৫য় অবসর নিলেন। নতুন দায়িত্বে এলেন রেইলে।
সিপাহি যুদ্ধ শেষ হয়ে কোম্পানি রাজত্বের অবসান হয়ে সরাসরি ভারত জাতীয়করণ করে নেওয়া হল। ক্যানিং হলেন নতুন ভাইসরয়। বহু বিতর্কের পর বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে আরও একটা আইন হল। কমিশনার ক্যাসপারসএর সময় এই আইনে ২৪ পরগনার ২২ট লট সম্পূর্ণ আর ৫টা লট আংশিক সুবিধে দিয়েছিলেন সেগুলি বিলি হয়ে গেল। তবে এটার অসুবিধে ছিল সরকারকে একসঙ্গে অনেকগুলো টাকা দিতে হত। এবারে এলেন গোমেজ তিনি আবার একটা নতুন আইন করলেন।
৩৫টা লটকে ভেঙ্গে ১৩৮টা করা হল। গোসাবা দ্বীপ বন্দোবস্ত হয়ে গেল। কাকদ্বীপ ও মথুরাপুর থানার আরও দক্ষিণের লটগুলো A থেকে L সংখ্যায় চিহ্নিত হয়ে বিলি হয়ে গেল। গোমেজের পরে এলেন পার্জিটার। তার বইএর ওপর নির্ভর করে এই বৃত্তান্তর অনেকটা লেখা। ১৯৯৪এ রস কমিশনার হলে সাগর দ্বীপ আইন পাস হল। শেষ কমিশনার হয়ে এলেন সান্ডার। এরপর আইন এনে সুন্দরবন কমিশনারের পদটি লোপ পেল। সুন্দরবনকে ২৪ পরগণা, খুলনা ও বাখরঞ্জের সঙ্গে ভাগ করে দেওয়া হল। ২৪ পরগনার সাব ডেপুটি হয়ে সান্ডার সুন্দরবনের কাজ দেখতে লাগলেন।
এরপর ২৪ পরগণায় ১৯২৪-৩৩এ সুন্দরবনকে নিয়ে ক্যাডস্ট্রাল জরিপ হয়। লটগুলি হল মৌজা। বড় লটগুলোকে ভাঙ্গা হল। মৌজা দাঁড়াল ৬৭৮টা। এতে এলাকার মানচিত্র স্বত্ত্ব লিপি(Record of Right) তৈরি হয়। বঙ্গভাগের পূর্বে ১৯৪৬এ আরেকবার জরিপ হয়, বসিরহাট থেকে ক্যানিংএর ১০০বর্গ মাইল জুড়ে।
অনেককিছু বাদ দিতে হল যেমন বাখরগঞ্জের কথা, ক্যানিং বন্দরের কথা, হেসামাবাদের গল্প, হ্যামিলটনের সমবায় ইত্যাদি।
No comments:
Post a Comment