আমরা কেন পশ্চিম প্রযুক্তিকে লুঠেরা বলছি সেটা সঙ্গের ছবিতে বোঝা যাচ্ছে না?
দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি হাঁড়ি, কড়া, হাতা, দৈনন্দিনের নানান ব্যবহারের জিনিসগুলি এতই সুচারুভাবে তৈরি যে হাজার হাজার বছর ধরে তার বিন্দুমাত্র পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় নি। সরস্বতী সভ্যতা থেকে ইলেক্ট্রনিক যুগ- তার প্রয়োজনীয়তা, গড়ন পাল্টায় না। কারণ সামাজিক প্রযুক্তি। সারাক্ষণ অভাব তৈরি তাকে বাঁচতে হয় না। অসীম লাভেরও তার প্রয়োজন নেই।
আজ যে সব তথাকথিত উচ্চমানের প্রযুক্তি আমাদের ভদ্রদের জীবনে জুড়ে রয়েছে, বিকাশ ঘটেছে বড়পুঁজির গবেষনার গর্ভগৃহে, সামরিক প্রয়োজনে। জনগণেশের করের টাকায় সামরিক অভিযান মিটলেই প্রযুক্তির দাম উঠে যায়।
কিন্তু তাতে তো বড় পুঁজির খাঁই মেটে না - সে ক্রমাগত লুঠ খুন করে সম্পদ বাড়িয়ে চলে। একে সে নাম দেয় সম্পদ তৈরি করা। এবারে সেটা সে তুলে দিল প্রযুক্তি সওদাগরেদের হাতে। তারা সেটিকে জনগণের হাতে দিয়ে নিংড়ে নিংড়ে পয়সা উসুল করে। লাভের একাংশ গিয়ে হয় ৬% ভদ্রের ক্ষুদ্রতম অংশের। আর সব ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মত লাফিয়ে চলে।
এই যে ফুটবল খেলার জন্য সল্টলেকে বস্তি, হকার উচ্ছেদ হল, এর জন্য দায়ি বড়পুঁজির লুঠেরা চরিত্র। বিপুল বড় ব্যবস্থা না করলে তার পুঁজি নিবেশিত হবে কোথায়? বিপুল বড় খেলার মাধ্যমেই সে তার প্রযুক্তির ঝলক দেখায় ভদ্রদের।
আর উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।
আমরা তাই ফিরে যেতে চাই ১৭৫৭র আগের ব্যবস্থায়।
(ছবিটা পেলাম চিন্তাবিদ-বন্ধু Sourav Royএর সৌজন্যে)
No comments:
Post a Comment