***না প্রত্যাশিতভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে এই লেখাটা নয়। কারণ চূড়ান্তভাবে সাম্প্রদায়িক ভদ্রদের এটা জ্বলন্ত ইস্যু কিন্তু একসঙ্গে সাত আটশ বছর একসঙ্গে মিলেমিশে থাকা গাঁইয়াদের এটা কোন বিষয়ই নয়।***
গত ছয় প্রজন্ম ধরে(ছেলে ভাস্তা ভাস্তিকে নিয়েই) দক্ষিণ দিনাজপুরের মুষ্কিপুরের মালাকার পরিবার দিনাজপুরের প্রায় সব সম্প্রদায়ের নানান পুজা, উৎসব, আচার, উপাচারের নানান অর্ঘ্য তৈরি করেন।
মুষ্কিপুরকে ঘিরে যে ৫০ ক্রোশ ব্যসার্ধ ধরে যে এলাকা, সেই এলাকায় প্রায় সব ধরণের সমাজের চাহিদা পূরণ করেন মুধুমঙ্গল আর তাঁর ভাই গুরু কিঙ্কর এবং তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের কারিগরেরা।
এর আগে আমরা দেখিয়েছি মালাকার পরিবারের মুসলমান এবং সাঁওতাল পরবে ব্যবহৃত ঘোড়া(মুসলমান পরবে দুলদুল আর সাঁওতালদের বিয়ের প্রয়োজনে) তৈরির পদ্ধতি।
আজ দেখাব মহরমের তাজিয়া তৈরির কাজ।
এই বাজার ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম টিকে আছেন নিজের শেকড়ে কারিগরেরা। মধুমঙ্গল ১১বার বিদেশ গিয়েছেন। ভদ্রপরিবারের গাঁইয়া কেউ ১১বার বিদেশ গেলে তাকে গাঁয়ে টিকিয়ে রাখা মুশকিল ছিল এ কথা স্বতঃসিদ্ধ(ব্যতিক্রম নিয়মকে প্রমান করে)। মধুমঙ্গল আজও সেই গ্রামে টিকে থাকেন, পরের প্রজন্মের কারিগর তৈরি করেন, কারিগরদের সংগঠিত করেন।
বাংলা জোড়া কারিগর হাজারো মধুমঙ্গলদের জন্যই কর্পোরেটরা এত বিপুল অর্থব্যয় সত্ত্বেও বাংলার গ্রামে পা জমাতে পারছে না।
No comments:
Post a Comment