ভদ্রবিত্তরা ব্রিটিশদের আগে খুব বেশি বাংলার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক ছিলেন না। নবাবেরা কথায় কথায় ভদ্রলোকেদের, সম্পদওয়ালাদের বৈকুণ্ঠ দেখাতেন। রাষ্ট্র কর্পোরেট অনুগামী ছিল না। রাজ দরবারে হিসেব করে কথা বলতে হত - কোন চাষা বা কারিগর যদি আমলা বা জমিদারদের বিরুদ্ধে দরবারে অভিযোগ করে তাহলে তাঁর বৈকুণ্ঠ দেখা নিশ্চিত ছিল। কোন দুঘটনা ঘটলে তাকাভি নামক বিনা সুদে ধার দেওয়া হত রাষ্ট্রের পক্ষে এবং তাঁর পরিমান সামগ্রিকভাবে বিপুল ছিল। আদতে সামন্ততন্ত্র চাষী আর কারিগর-বন্ধু ছিল। পুঁজি আর কর্পোরেটদের রমরমা বাড়াতে তাদেরকে খলনায়ক করে দেখাতে হয়েছে।
তারা অনেকেই ক্ষমতার কাছাকাছি ছিলেন ঠিকই কিন্তু শশাঙ্ক থেকে নবাব সিরাজ পর্যন্ত খুব বেশি ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারেন নি। ভারত জোড়া কারিগরেরা সাদা বণিকদের চোখে চোখ রেখে অগ্রিম ফিরিয়ে দিলেও তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে লেলিয়ে দিয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যায় নি। ইওরোপে কারিগরেরা সওদাগর আর রাষ্ট্রের দাস ছিল। তাদের যে কোন সময়ে উচ্ছেদ করে দেওয়া যেত। বাংলা তথা ভারতে কারিগর আর চাষী স্বরাট ছিল। তাদের গায়ে হাত দেওয়া বাতুলতা ছিল। হাত কেটে নেওয়া হত।
পলাশীর পরে সব হেঁটমুণ্ডঊর্ধপদ হয়ে গেল। ছোটলোক চাষী কারিদরদের মাথায় পা রেখে সাম্রাজ্য আর ভদ্রলোকেরা তাদের বৈকুণ্ঠের প্রতিশোধ নিল। আজও সেই প্রতিশোধের পালা শেষ হয় নি।
সাম্রাজ্যের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে তোলা হল উচ্চবর্ণকে।
পলাশীর পরে সব হেঁটমুণ্ডঊর্ধপদ হয়ে গেল। ছোটলোক চাষী কারিদরদের মাথায় পা রেখে সাম্রাজ্য আর ভদ্রলোকেরা তাদের বৈকুণ্ঠের প্রতিশোধ নিল। আজও সেই প্রতিশোধের পালা শেষ হয় নি।
সাম্রাজ্যের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে তোলা হল উচ্চবর্ণকে।
No comments:
Post a Comment