১। কেউ গোঁড়া ধর্মমতের সমর্থক ধরে নিলে সেটা তাঁর সমস্যা। কোন অসহিষ্ণু ধর্মীয়/সামাজিক মতের সঙ্গে আমাদের সহানুভূতি নেই। সেই সঙ্গে গাঁয়ের সাধারণ মুসলমান কারিগর অর্থনীতির অংশ, তাঁরা শত্রু নন।
২। আমরা বিশ্বাস করি এই আড়াইশ বছরের শিল্প উতপাদন ব্যবস্থা পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাসে অভিচার মাত্র - চরিত্রগতভাবে এটা লুঠেরা, খুনি, অত্যাচারী, মানুষের সাধারণ অধিকার হরণকারী - এই প্রযুক্তি উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থা টিকতে পারে না - এটি টিকলে বিশ্বধ্বংস অনিবার্য। টিকবে বিকেন্দ্রিত পুঁজি নিরপেক্ষ, সাধারণের অধিকারে থাকা প্রযুক্তি, দক্ষতা, প্রজ্ঞাওয়ালা ছোট্ট ছোট্ট বাজার। দুই বাংলায় আজও আছে। তাদের একজোট হতে হবে - আলাদা আলাদা করে - আলাদা সঙ্গঠনের নামে - কিন্তু যৌথভাবে - প্রত্যেকের চরিত্র বজায় রেখে - যেমন করে বৃহত্তর বাংলায় বিধবা বিবাহও আছে আবার মেয়েদের বহু বিবাহও আছে।
৩। আমরা এনজিও ডান বামও নই- এক তরফা ইওরোপিয় তত্ত্বে মধ্যবিত্তিয় স্বার্থ উৎসাহে গ্রাম পাল্টানোয় বিশ্বাসী নই যেহেতু এটা গ্রামীনদের সংগঠন ভদ্রদের নয় - গ্রামীন পরম্পরার উতপাদন ব্যবস্থা এ বাংলায় আছে - ও বাংলায় আরও বেশি করে এই বাজার হাট ও গ্রামীন প্রযুক্তি আছে - আমাদের সঙ্গঠনে যেহেতু হাতে গোনা ভদ্রলোক, এবং আমাদের জীবনে কর্পোরেট এমনই পর্দা ফেলে দিয়েছে যে আমর চোখের সামনে সেই উতপাদন ব্যবস্থা দেখেও দেখি না - যেমন শ্বাস নেওয়ার সময় হাওয়াকে দেখি না। নানান আছেগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে - গ্রাম বাঙলা ২০০০ বছর ধরে বহিঃশত্রুর আক্রমনে লড়ে যাচ্ছে - সেই চন্দ্রগুপ্তের সময়(তারও আগে অনেক কিছু হয়েছে অবশ্যই) হুন আক্রমণ থেকে পাল সময় থেকে সুলতানি-মুঘল সময় থেকে খুনি ব্রিটিশ এবং বর্তমান পর্যন্ত - এবং গ্রামীনেরা তাঁদের চরিত্র মোটের ওপরে বজায় রেখেছেন - ভদ্ররা যে সময়টা বাঁচেন সেটাকেই সব থেকে খারাপ সময় বলে মনে করেন।
আমরা অন্তত মনে করি ১১৬৪/১৭৫৭র পর সময়টা সত্যিই খারাপ - ৭৬/চিরস্থায়ী/৪৯ এবং তাঁর মাঝের লুঠ, খুন অত্যাচার গ্রাম বাংলার মৌল চরিত্রে আঘাত করেছিল কিন্তু লড়াই করার ক্ষমতা কেড়ে ঠিক নিতে পারে নি - ভদ্রবিত্তকে নিজেদের বাঁচার জন্যে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে - একটু কথা বলা, মানসিক জোর দেওয়া, আর যা ভেঙ্গে গেছে যা ফিরিয়ে আনা দরকার তা নিয়ে আলোচনা - তারপর সে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে - এটা আমাদের অভিজ্ঞতা - সবার আগে হাট ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে।
সহানুভূতি আছে এমন ভদ্রদের পাশে নিতে হবে - এবং যারা নিজের জীবনটা একটু, তিলমাত্র হলেও পাল্টাতে পারবেন, তাঁদেরকে সেই আন্দোলনের সঙ্গী করছি।
আমরা অন্তত মনে করি ১১৬৪/১৭৫৭র পর সময়টা সত্যিই খারাপ - ৭৬/চিরস্থায়ী/৪৯ এবং তাঁর মাঝের লুঠ, খুন অত্যাচার গ্রাম বাংলার মৌল চরিত্রে আঘাত করেছিল কিন্তু লড়াই করার ক্ষমতা কেড়ে ঠিক নিতে পারে নি - ভদ্রবিত্তকে নিজেদের বাঁচার জন্যে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হবে - একটু কথা বলা, মানসিক জোর দেওয়া, আর যা ভেঙ্গে গেছে যা ফিরিয়ে আনা দরকার তা নিয়ে আলোচনা - তারপর সে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবে - এটা আমাদের অভিজ্ঞতা - সবার আগে হাট ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে।
সহানুভূতি আছে এমন ভদ্রদের পাশে নিতে হবে - এবং যারা নিজের জীবনটা একটু, তিলমাত্র হলেও পাল্টাতে পারবেন, তাঁদেরকে সেই আন্দোলনের সঙ্গী করছি।
৪। কর্পোরেটসম কোন কেন্দ্রীয় বানান/শিক্ষা ব্যবস্থা নয় - শিক্ষা, জ্ঞান দক্ষতা নির্ভর করে সেই অঞ্চলের কৃষ্টি, প্রযুক্তি, জীবনযাত্রা ওপর - কর্পোরেট বিরোধী যে কোন আঞ্চলিকতা আমাদের যে কোন মূল্যে রক্ষা করতে হবে। এটা আমাদের সকলের দায়।
No comments:
Post a Comment