মধুদার ছেলে বলল সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস আর দর্শন নিয়ে পড়ছে। কলকাতার কোন সেই স্তরের পড়ুয়াকে জিজ্ঞেস করুণ কি উত্তর পাবেন আপনি জানেন। শহুরে ভদ্রবিত্ত সমাজে বাংলা অপ্রয়োজনে প্রয়োজনীয়।
অধিকাংশ ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে বাংলা বলা মানা। জরিমানা দিতে হয়। কলকাতা থেকে ঢাকা একই চিত্র। ঢাকাতে তো বিদ্যালয়ে বিজ্ঞপ্তি টাঙ্গানোর ছবি দেখেছিলাম। ঘটিদের দেশ আর রাজধানী এব্যাপারে আবার এক কাঠি পলিটিক্যাল কারেক্ট। ঘোমটার তলায় খ্যামটা, কোন বিজ্ঞপ্তি নেই - বাংলা বললে নম্বর পরীক্ষায় কাটা যায়।
আদতে যে ভদ্রবিত্ত সমাজ হাগুকে পটি বলে, বউকে ওয়াইফ বলে, সাদা চামড়া দেখলে জলে গল হয়ে যায়, ইংরেজি জানাকে শিক্ষার চূড়ান্ত স্তর মনে করে, ধুতি পাজামা পরাকে প্রগতি বিরোধী মনে করে, বিশেষ এক অপ্রকার দাড়ি রাখাকে ছাগু বলে - অথচ টাই কোট বুট প্রগতির চূড়ান্ত, মনে করে ইংরেজ না এলে বাঙালি কাটাদের রাজত্বেই ডুবে মরত - ইংরেজ তার ভগবান।
সেই শহুরে অংরেজি শিক্ষিত প্যান্ট শার্ট পরা ভদ্রমধ্যবিত্ত সমাজে যাঁরা বাংলা, বাংলার অধিকার, বাঙ্গালির অধিকার, ভাষার দাবিতে চেঁচামেচি করছেন, বা Gargaরা যে সংগঠন করেছেন, সেগুলো উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু ব্যতিক্রম। কিস্যু হবার নয়।
No comments:
Post a Comment