পলাশীর আগে বাংলার কারিগর অর্থনীতি কোন উচ্চতায় উঠেছিল, যে উতপাদনের আকর্ষণে ইওরোপের কর্পোরেটেরা সারা বিশ্ব লুঠে সোনা রুপো নিয়ে ছুটে আসত বাংলায় সে মহাকাব্যর প্রথম রচনাকার বেশ কয়েকজন।
নরেন্দ্রকৃষ্ণ সিংহ - ইকনমিক হিস্ট্রি অব বেঙ্গল - সেখানে কারিগর অর্থনীতির ছোঁয়া পাওয়া মুশকিল। তিনি একটু স্টেটিস্ট মানুষ। কিন্তু পথপ্রদর্শক।
নীরদ চৌধুরীর কীর্তমান পুত্র কীর্তি নারায়ণ চৌধুরী ট্রেডিং ওয়ার্ল্ড অব এশিয়া এন্ড দ্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬৬০-১৭৬০ - আরেকটু অন্যভাবে দেখার চেষ্টা বাংলার অর্থনীতিকে
১৯৯৫তে সুশীল চৌধুরী নিয়ে এলেন পথভাঙ্গা বই প্রসপারিটি টু ডিক্লাইন - এইটিন্থ সেনচুরি বেঙ্গল(এটা নিয়ে বিশদে অতীতে আলোচনা, অনুবাদ করেছি - যেখানে তিনি পি জে মার্শাল এবং রজত রায়ের তত্ত্ব খণ্ডন করে বলেছেন পলাশীর গোটা দায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোমপানির; মুর্শদকুলি আলিবর্দি আর সিরাজ কোম্পানির আমলাদের ব্যক্তিগত ব্যবসায় কোপ মেরেছিলেন বলেই তাদের সিরাজকে সরাবার দরকার হয়ে পড়েছিল। আরও খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছেন - ইওরোপিয় কোম্পানিদের নামে প্রচুর ভুল প্রশংস করা হয়েছে। তাদের সম্মিলিত ব্যবসার তুলনায় সে সময়ে বাংলার এশিয় ব্যবসায়ীরা দুগুণ বেশি ব্যবসা করত। ইওরোপিয়রা মূলধনের অধিকাংশ তারা বাংলা থেকেই জোগাড় করত)
এবং ওম প্রকাশ ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এন্ড ইকনমি অব বেঙ্গল, ১৬৩০-১৭২০য় এক্কেবারে বাংলার ডাচেদের মহাফেজখানা থেকে বিপুল তথ্য সমাহার করে বাংলার অর্থনীতির নবতম মহাকাব্য রচনা করলেন।
ওম প্রকাশের বইটির প্রচুর তালিকা থেকে কয়েকটি সংযোজন। আর একটি মানচিত্র।পরে বইটির বিশদ আলোচনা করা যাবে।
No comments:
Post a Comment