দশম অধ্যায়.
ঘ। আধিকারিক বা বিভিন্ন দপ্তর এবং আদালত-জীবন-
৪৮। বাজনাদারদের ঘর(ব্যান্ডরুম) বা (নক্করখানা)
৪৯। তোপখানা, সব ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাবারুদ, মারাঠাদের বারুদ বাবদে ভিন্ন দপ্তর ছিল নাম দারুখানা
৫০। বাড়ি দপ্তর(ইমাররখানা)
৫১। নথি দপ্তর(দফতরখানা)
৫২। সম্রাতের ভজনালয়(জানামাজখানা বা তসবিখানা)
৫৩। উত্তরাধিকারহীনদের সম্পত্তির ভাণ্ডার(কোঠাইবাইতুলমাল)
৫৪। কেনার জন্য দপ্তর(ইবিতাখানা)
৫৫। মুফতে খাবার রান্নাঘর বা বুলুরঘুরখানা বা সাধারণের লব্জে লঙ্গরখানা
৫৬। বিদ্যালয় তালমখানা, ফিরুজশাহের আমলে ইলমখানা, তবে মারাঠি ঐতিহাসিক তালমখানার অনুবাদ করেছেন কুস্তিঘর
৫৭। ভাড়া এবং বেতনের দপ্তর(কিরায়া ওয়া আজুরা)
৫৮। ক্রিড়া(চৌঘান, চৌপর ইত্যাদি)
৫৯। সপ্তদশ এবং অষ্টদশ শতে বেওয়াখানা নামে এক দপ্তর ছিল, সম্রাটের বিধবাদের দেখাশোনার জন্য, এঁরা দিল্লির সোহাগপুরা অঞ্চলে বসবাদ করতেন।
ঙ। সম্রাটের ব্যক্তিগত সেবা
৬০। রান্নাঘর(মাতবাখ বা বাবর্চিখানা)
৬১। পিনা আর খানসামা(আবদারখানা); কোন কোন পার্সি কাজে বলা হয়েছে শরবতখানা, কেউ বলেছেন শরাবখানা, কিন্তু এখানে শরাবখানা কোনভাবেই মদ্যভাণ্ডার নয়।
৬২। ফল(মেওয়াখানা)
৬৩। ভাণ্ডাখানা(বড়মাটির হাঁড়ি/জালা)
৬৪। সহতখানা বা কনজারভেন্সি বা ল্যাট্রিন
৬৫। কড়ির ভাণ্ডার, খরমুহরাখানা
৬৬। চরখিখানা, বাজির ভাণ্ডার, একে কেউ পড়েছেন খরচখানা, আমি তা বাতিল করেছি
৬৭। মাজুমুয়াখানা(অতিরিক্ত?)
ওপরের পাঁচটি যাওয়াবতে দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে আরও নটা পড়ার অযোগ্য নাম রয়েছে। মারাঠি ঐতিহাসিকেরা তিনটে যোগ করেছেন,
৬৮। অম্বরখানা বা শস্যভাণশেষ)
৬৯। যারাইয়াত বা জিনসখানা, এই জিনসখানা হয়ত আজনাস হবে।
৭০। নাটক মহল সহতখানা ছাড়াও, এবং আমরা দেখেছি শরবতখানাও। আফিফের পারসি পুঁথি, তারিখইফিরুজশাহিতে শকরাখানা আর যারদখানা ছাড়া নতুন কিছু বলা হয়নি(আমি এগুলিকে যথাক্রমে নুক্রা এবং যারদোজ পড়েছি) এবং রিকাবখানা এবং তস্তদারখানা মানে চাকা ও বদনাখানা, যা যাওয়াবতিতে রান্নাঘরে ঢোকানো হয়েছে। আখবারইদরবারিমওলায় তিনটে অন্য নাম পাচ্ছি, শোরাখানা, বুলবুলিখানা(গানগাওয়া পাখির দপ্তর) আর ইলুরখানা যা হ্যর ইয়ুজখানা(শিকারি কুকুর বা চিতার দপ্তর) হতে পারে।
(দশম অধ্যায় শেষ)
(চলবে)
No comments:
Post a Comment