দ্বাদশ অধ্যায়
৬। শাহজাদা বা অভিজাতদের সচিবদের চিঠির বই
শাহজাদা বা অভিজাতদের মুন্সির চিঠির বই এইভাবে সাজানো থাকত –
তার মালিক থেকে সম্রাটের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি(কখোনো কখনো তাঁর পাঠানো উত্তর সহ)(কিছু কিছু চিঠি গোপনীয় লব্জে – পার্সিতে যার নাম মুর্মুজ আর হিন্দিতে অঙ্কপল্লবী – লেখা হত, এর কিছু পাঠোদ্ধারকৃত উদাহরণ পাওয়া যাবে আদাবইআলমগিরি আর হাফত আনজুমএ) লেখা হত,
তাঁর মালিক থেকে শাহজাদার উদ্দেশ্যে লিখিত চিঠি
তাঁর মালিক থেকে বিভিন্ন মন্ত্রী, অন্যান্য উচ্চপদের আমলা, মালিকের নিজের উচ্চ আমলা এবং সাধারণ কর্মচারীদের কাছে পাঠানো চিঠি
মালিকের বন্ধুদের, আত্মীয়দের এবং দালাল-উকিলদের কাছে পাঠানো চিঠি
মুন্সীদের থেকে, তাঁর মালিকদের হয়ে, ক। ওপরে উল্লিখিতদের কাছে পাঠানো চিঠি, যেমন হাসবউলহুকুম জাতীয়(কিন্তু আঙ্গিক নয়) চিঠি খ। মুন্সির পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠি
মুন্সিদের থেকে তাঁর আত্মীয়দের পাঠানো চিঠি
মুন্সিদের থেকে অন্য মুন্সি বা কবির কাছে ফুলেল ভাষায়, পদ্যে, খুব কম ভাবনার, কিন্তু বিস্তৃতভাবে লেখা – যার অর্থ, নিজের কাজের মুন্সিয়ানা দেখানোর চিঠি
অধঃপতিত অষ্টাদশ শতে বিভিন্ন চিঠির সংগ্রহর শেষের দিকে সম্রাট, নবাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে, তাঁর সিংহাসনে ওঠার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে, জয়ের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে, বা কাউকে তাঁর পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে, পুত্র হওয়ার বা পুত্রের বিয়ে বা পুত্রের সাহসিকতার জন্য(এখানে যুক্ত হত বিখ্যাত বিখ্যাত কিছু কবিতার উদ্ধৃতি বা চিঠির বিভিন্ন ফাঁকা জায়গায় নানান নামের স্থান ফাঁকা রেখে) ধন্যবাদ জানিয়ে বা ঈদের উতসবের উপলক্ষ্যে, ধন্যবাদ জানানোর জন্য লেখা নানান চিঠির খসড়া জোড়া থাকত। বিভিন্ন খসড়া নিয়োগ পত্রও উল্লিখিত হত, এবং তাতে সেই কর্মচারীর দায়-দায়িত্ব ইত্যাদি উল্লিখিত থাকত। নিগারনামাইমুন্সি এবং ইনসাইহরকরন এধরনের দুটি উদাহরণ। বিভিন্ন উপাধি, বিভিন্ন ঠিকানার সঠিকতা, বিভিন্ন পদের মানুষদের নাম ও দপ্তর ইত্যাদি উল্লিখিত থাকত।
(দ্বাদশ অধ্যায় শেষ)
(চলবে
No comments:
Post a Comment