চতুর্থ অধ্যায়
ফৌজদারদের দায়িত্ব
পাওয়ার পর তাকে যে সনদ দেওয়া হয়, সেই সনদে বিশদে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে
‘দুর্বিনীত মানুষ আর
গোষ্ঠীপতিদের দুর্গ ধ্বংস করা তাঁদের শাস্তি দেওয়ার উত্তম পদ্ধতি। রাস্তা পাহারা
দেবে, রাজস্ব যারা দিতে চায় তাদের নিরাপত্তা বিধান করবে। জায়গিরদার এবং ক্রোরিদের
গোমস্তাদের রাজস্ব আদায় করার সময় যতপ্রকার সাহায্য এবং সেনা সহায়তা দেবে।
‘কামারদের বন্দুক
তৈরতে বাধা দেবে। থানাদারদের(ফৌজদারদের মহকুমার ছোট ছোট ভৌগোলিক এলাকার নিরাপত্তার
দায়িত্বে থাকা আধিকারিক) নিয়োগ করে তাঁদের অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে আদেশ দেবে, বলবে
আইনি সম্পত্তি থেকে কেউ যেন কাউকে উচ্ছেদ না করতে পারে বা কোন নিষিদ্ধ শুল্ক যেন
কেউ আদায় না করতে পারে।
‘যতক্ষণনা জায়গিরদার
বা আমিল তোমায় লিখিতভাবে সেনা সাহায্য চাইবে, ততক্ষণ তোমার প্রশাসন এলাকার অধীনে
কোন গ্রাম আক্রমন করবে না। এই ধরণের অনুরোধ পাওয়ার পর(অথবা কোন রাজস্ব না দেওয়া
গ্রামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার), সেই গ্রামের গণ্ডগোলের সূত্র যে সব
মানুষ, তাঁদের এই কাজে বিরত থাকতে পরামর্শ দেবে এবং তাঁদের সেই পথ থেকে বের করে
আনার চেষ্টা করবে, বলবে এই ধরণের হিংসার পথ থেকে তাঁরা যেন বিরত থাকে এবং
শান্তিপূর্ণভাবে কৃষি কাজ করে রাজস্ব প্রদান করে। তাঁরা যদি নিজেদের পাল্টে নেয়,
তাহলে আমিলের থেক তাদের নেওয়া একটা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করাবে। আর যদি তাঁরা
নিজেদের বদলাতে অনিচ্ছুক হয়, তাহলে এই কাজে উদ্যোগী গ্রামের প্রধান হিংসকদের
শাস্তি দেবে, কিন্তু সাধারণ কৃষককে অনাদর কোর না। রাস্তা পাহারা দাও, জঙ্গল কেটে
ফেল, এবং (বেআইনি)দুর্গ ধ্বংস করে দাও।
সংক্ষিপ্তাকারে
বললে, ফৌজদারদের পদের নামের তাঁদের কাজ স্বপ্রকাশ, যে তারা সেনাবাহিনী নিয়ে যে কোন
ছোট বিদ্রোহ, ডাকাত দল ছত্রভঙ্গ বা গ্রেফতার করা, যে কোন হিংসককর্মের বিরুদ্ধে
পদক্ষেপ নেওয়া, আর যারা রাজস্ব দপ্তর বা ফৌজদারি বিচারক বা নীতি প্রযুক্তকদের
বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
No comments:
Post a Comment