একাদশ অধ্যায়
পঞ্চদশ – যদি কেউ তার জমিতে ওয়াকফের সূত্র অনুসারে কবরখানা বা সরাই বানায়, তাহলে ধরে নাও সে তার রাজস্ব দিয়েছে।
(মন্তব্য – কোন পূণ্যের কাজে জমির ব্যবহার হলে, সেই ভাল কাজের সবাদে সম্রাট, সেই জমি থেকে রাজস্ব আদায় করেন না।)
ষষ্ঠদশ – কোন মুসলমান বা হিন্দু যদি কোন রাজস্ব দেওয়া জমির মালিক না হয়, শুধুমাত্র জমিটি তার কবলে থাকে, সে সেই জমির লভ্যাংশ পাবে। তার থেকে যা রাজস্ব বরাদ্দ তা নাও – যাতে রাজস্বের অংশ অর্ধেকের বেশি হবে না বা একতৃতীয়াংশের কম হবে না। যদি একতৃতীয়াংশের কম হয় তাহলে তাকে বল কিছুটা বাড়াতে বা অর্ধেকের বেশি হয় তাহলে কিছুটা কমাতে।
(মন্তব্য – হিন্দু, মুসলমান যে কেউ সদি মুকাসেমা জমির সত্যিকারের মালিক না হয়, কিন্তু জমিটি(হয় কিনে বা) সাধারণভাবে তার দখলে থাকে, সে সেই জমির লভ্যাংশ পাবে – তবে বন্ধকীর ক্ষেত্রে সে যার থেকে বন্ধকীটি নিয়েছে, সেই মূল মালিকের থেকে অনুমতি নিতে হবে। সেই জমির পুরোনো ধার্য করা রাজস্ব আদায় কর – কিন্তু অংশ যেন অর্ধেকের বেশি না হয় বা একতৃতীয়াংশের কম না হয়।)
সপ্তদশ – যদি মুকাসেমা জমির মালিক উত্তরাধিকারী না রেখে মারা যায়, নুয়াজফ জমির ক্ষত্রে যে নির্দেশনামা রয়েছে, সেই অনুযায়ী পাট্টা দাও বা সরাসরি চাষের জন্য ব্যক্তি খোঁজ।
(মন্তব্য – তৃতীয় ধারার খারিফইমুয়াজফ অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছেন সম্রাট)
অষ্টদশ – কোন মুকাসেমা জমিতে যদি কোন দুর্যোগ ঘটে ফসলের ক্ষতি হয়, ক্ষতির পরিমান হিসেব করে তার রাজস্ব মাফ করে দেবে। আর ফসল ফলার পরে যদি দুর্যোগ ঘটে, তাহলে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে, তার ওপর কোন রকম রাজস্ব ধার্য করা যাবে না, যে অংশটি পাওয়া গিয়েছে, সেই হিসেবে রাজস্ব কষতে হবে।
(মন্তব্য – সম্রাট রায়তে খুশি দেখতে চান। যে অংশ ধ্বংস হয়েছে, তার ওপরে কোন রাজস্ব বরাদ্দ হবে না, বাকি অংশ হিসেব করে রাজস্ব নির্ধারণ হবে।)
(চলবে)
No comments:
Post a Comment