Saturday, June 10, 2017

আগামী মঙ্গলবার যখন বসব নতুন চিকিতসা ব্যবস্থা নিয়ে... দুবছর আগে কি ভাবতাম সেটা জানা খুব জরুরি

সম্প্রতি ডাক্তারবাবুদের একটি সংগঠন ইর‍্যাশনালিটি অব হেলথ কেয়ার নামে একটি আলোচনা সভা ডেকেছেন ২১ জুন, একাডেমি অব ফাইন আর্টসের এনেক্স রুমে। আমাদেরও ডেকে ফেলেছেন তাদের মধ্যে দুজন ব্যতিক্রমী মানুষ শোভন পাণ্ডা আর জয়া মিত্র।

সেই নিমন্ত্রণ পত্রটি। পত্রটির শেষে আমাদের বক্তব্য
We are inviting friends to a daylong meet on 21st June 2015 to discuss “irrationality in healthcare”. We invite friends from both ends of the stethoscope to discuss the nuances of the issue and to consider how civil society can intervene to bring sanity to this raging epidemic.

Does it sound like an audacious proposition? After all, rationality or irrationality in health care is a domain of experts and healthcare is one of the holiest of holy expertise! We propose to discuss this in a citizens’ forum, even at the face of such doubt. We have simple and compelling reasons for this. Indulgence in irrational and unnecessary medication, investigation and therapeutic procedures is one of the major reasons behind mind boggling increase in healthcare cost. In the absence of any notion of monitoring in healthcare, this alarming trend is increasingly turning healthcare facilities inaccessible to common citizen while making it more and more lucrative for profit seekers.

No society, however resourceful, can sustain this. No sane society can remain indifferent to this.

We are inviting friends to share this worry. Some of our senior friends will elaborate certain issues in specific areas like use of medicines, neurosurgery, cancer chemotherapy, critical care and so on, to help us understand how very often clinical practice deviates from the needs of biology and plays dalliance with other circumstances or allurements. But we wish to hear from all of our friends. How you look at this issue. Whether we can do something collectively about this.

Looking forward to spend an exciting day discussing with you!
Regards.

Prasanta Chattopadhyay, Siddhartha Gupta, Joya Mitra, Punyabrata Gun, Sanjoy Ganguli, Naba Datta, Phanibhusan Bhattacharyay, Kunal Datta, Saibal Jana and others.

Clinical issues will be discussed by: Prof P K Sarkar. Ex Director, School of Tropical Medicine.
Dr Asish Bhattacharya. Neurosurgeon, Peerless Hospital.
Dr Sthabir Dasgupta. Senior Consultant, Medical Oncology.
Dr T Purkayastha. Ex Medical Director, Central Hospital ECL.

Venue: Conference Hall, Academy of Fine Arts.
21 June 2015 (from 10 AM to 5 PM).


সেই আমন্ত্রণের উত্তরে আমরা যারা আয়ুর্বেদ জ্ঞানচর্চার বাইরে দেশিয় গ্রামীন চিকিৎসা ব্যবস্থা বোঝার চেষ্টা করছি, তাদের বক্তব্য -

...যাব শুধু - নির্বাক শ্রোতারূপে - আঘাত দিতেও নয় আঘাত নিতেও নয়। তবুও সুযোগ পেলে, চেষ্টা করব গ্রামীনদের স্বাস্থ্য - আদতে যে ব্যবস্থা জনসংখ্যার আস্থার বিচারে (অর্থের বা ক্ষমতার কৌলিন্যে নয়) তার, কর্ম প্রচেষ্টায় এখনও গ্রামীন মানুষের আস্থা ভাজন - সেই ব্যবস্থার নানান দিক আমাদের মত করে তুলে ধরতে।

ঔপনিবেশিকতার বিচারে ইওরোপিয় জ্ঞানচর্চার বাইরে সব বৌদ্ধিক, কায়িক উদ্যম কুসংস্কার, অপবিজ্ঞান, নিরক্ষর, অশিক্ষিত অজ্ঞ মানুষের স্বকপোল কল্পনা। তবুও সেই মানবিক আস্থার পরিকাঠামোকে আজও বাঁচিয়ে রেখেছে কোটি মানুষকে, মানুষও তাঁকে নিজের মত করে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে চলেছেন সেই ব্যবস্থাকে - পারস্পরিক নির্ভরতায় টিকে রয়েছেন দুপক্ষই।

আমন্ত্রণ পত্রে যে ধরণের চিকিৎসা ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখিয়েছেন আপনারা, পুঁজি ভিত্তিক নয় বৌদ্ধিক, মানবিক, অকেন্দ্রিভূত, সেটি আজও দেশি মানুষেরা বাঁচিয়ে রাখেন, সেই চিকিৎসা ব্যবস্থা কয়েক সহস্রাব্দ কাটিয়ে আজও মানুষকে দৈনন্দিন ভাল থাকা, ভাল রাখার বার্তা দেয়।

দেখা যাক কোনও ভাবে একসাথে পথ চলার সুযোগ করা যায় কিনা।

দেশিয় গ্রামীন জ্ঞানচর্চার সব্বাইকে নিয়ে চলতে বাধা নেই, একলা চলার গুমরেরও ধারণা নেই, হয়ত সেই জন্যই সে আজও টিকে রয়েছে রাজার পুঁজির পিঠ চাপড়ানির বাইরে দাঁড়িয়ে স্রেফ জনগণের আস্থায়। তার জন্য তাকে বিশাল পরিকাঠামোও তৈরি করতে হয় নি, কাউকে মুখপত্র দাঁড় করাতে হয়নি, শিখিয়ে পড়িয়ে চাকরি দেওয়ারও টোপ দিতে হয় নি, আর ক্ষমতার ভাষায়ও বলতে হয় নি - মামেকং স্মরণং ব্রজঃ। সহস্র সহস্র বছরের কাজের নিদর্শন তার বেঁচে থাকার রসদ। জ্ঞানের আঞ্চলিকতা তার জোর, পরিবেশের বৈচিত্র, আঞ্চলিকতার বিভিন্নতাকে সম্মান করাই তার বেঁচে থাকার ভিত্তি-রসদ।

সেই রসদওয়ালা জ্ঞানচর্চা ব্যবস্থার একজন নির্বাক শৃশিক্ষু সাধারণ কর্মী হিসেবে এই অনুষ্ঠানে নানান কিছু দেখতে যাব, বুঝতে যাব, শিখতে যাব। গ্রামীন গুরুরা সারাজীবন শুধু শিখেই যান - কোনও কিছুই শিখতে তাদের বাধা নেই - নিতেও বাধা নেই - তারা যে চিকিৎসা করেন তাতে এলোপ্যাথি চিকিৎসা বিদ্যারও অনুপান রয়েছে - তাতে তাদের জাত যায় নি। গ্রামীন ভারত জ্ঞানচর্চায় দেওয়াল তুলে দেওয়ার কথা ভাবে নি - পেটেন্ট, কপি রাইট পশ্চিমের ধারণা - জ্ঞানচর্চায় বাধার ধারণাটাই তৈরি করেনি - সারা শরীর দিয়ে জ্ঞানএর মাঠা শুধু নিয়ে গিয়েছে - আজও নিচ্ছে - দিয়েওছে প্রচুর(সেই অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ আজ বা সেদিন না তোলাই ভাল। আমাদের কয়েক সংখ্যা পরের পরমএ গ্রামীন চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে, তখন যদি কিছুটা আলোচনা করা যায়)।

সেই মানুষদের দেখানো পথে, তাদের তৈরি করা পথে, তাদের তাত্ত্বিকতার পথে নিজেদের সেঁকে নিয়ে রোজ শেখার পালায় সেদিনও যোগ দেব-

গ্রামীন অসামান্য সৌজন্যের প্রথা মেনে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করলাম,

অক্ষমতার ক্ষমতা অদীক্ষিতকে কতো কিছু বলিয়ে নেয় - গুরুরা চুপ করে থাকেন নির্বাক স্থবির প্রায় - শূন্য কলসি, বড্ড আওয়াজ করে,

অলমিতি,



No comments: