আমাদের অন্তঃপুরের এই জ্ঞানচর্চা, দক্ষতা, প্রজ্ঞান, পরিবারকে ধরে রাখার, পরিবারের পুষ্টি, পরিবারের ছেলে মেয়েদের ঠিকঠাক বড় হওয়া বড় করারা ধৈর্য, একটা রান্না করা, বাড়িঘর সামলানো, কাপড় কাচা, বাজার নজরদারি করা, বাড়ির লোকজনের নানান বাস্তব সমস্যার নিরন্তর সমাধান করা, পরিবেশ, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা - তারপর পরিবারের জন্য রোজগার করা, দিনের পর দিন বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ এই একঘেঁয়ে বিরক্তিকর কাজগুলো করে যাওয়া তাঁদের ধর্ম।
যে মহিলা মায়ের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি আসেন তিনি একটা সংস্কৃতি থেকে উপড়ে এসে নতুন একটা সংস্কৃতিতে নিজেকে শুধু মানিয়েই নেন না, দুটি সংস্কৃতি মিলিয়ে নতুন একটা পারিবারিক সংস্কৃতি গড়ে তোলেন সেই ভৌগোলিকভাবে নির্দিষ্ট সমাজের মধ্যে থেকেই।
কিন্ত্য সমস্যা হল এই দক্ষতা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, প্রযুক্তি লালন পালন এবং অর্জনকে রাষ্ট্র বা বড় পুঁজি বিন্দুমাত্র নম্বর দেয় না। কর্পোরেট এবং নব্যউদারবাদ চেষ্টা করে মহিলাদের স্বাধিকার মুক্তির নাম করে এই লুঠেরা সংস্কৃতিতে যত বেশি মহিলাদের জুড়ে নেওয়ার যায় সেই চেষ্টা করা। কেননা স্বাভাবিকভাবে মহিলাদের পরিচালন দক্ষতা অসাধারণ। কোন বেকার পুরুষকে এই কাজ করতে দিলে সে ল্যাজেগোবরে হবে। একজন মহিলাকে কত কী খুঁটিনাটি যে মনে রাখতে হয় তা চিন্তা করতেগেলে পাগল হয়ে যেতে হয়। বাপেরবাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির যে বৃহত্তর পরিবারের সে ধারণ করে চলে নিয়মিত, তার সমস্ত কিছু নখদর্পণে থাকে তার। সে যেন চলন্ত পারিবারিক কোষ।
যে মহিলা মায়ের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি আসেন তিনি একটা সংস্কৃতি থেকে উপড়ে এসে নতুন একটা সংস্কৃতিতে নিজেকে শুধু মানিয়েই নেন না, দুটি সংস্কৃতি মিলিয়ে নতুন একটা পারিবারিক সংস্কৃতি গড়ে তোলেন সেই ভৌগোলিকভাবে নির্দিষ্ট সমাজের মধ্যে থেকেই।
কিন্ত্য সমস্যা হল এই দক্ষতা, জ্ঞান, প্রজ্ঞা, প্রযুক্তি লালন পালন এবং অর্জনকে রাষ্ট্র বা বড় পুঁজি বিন্দুমাত্র নম্বর দেয় না। কর্পোরেট এবং নব্যউদারবাদ চেষ্টা করে মহিলাদের স্বাধিকার মুক্তির নাম করে এই লুঠেরা সংস্কৃতিতে যত বেশি মহিলাদের জুড়ে নেওয়ার যায় সেই চেষ্টা করা। কেননা স্বাভাবিকভাবে মহিলাদের পরিচালন দক্ষতা অসাধারণ। কোন বেকার পুরুষকে এই কাজ করতে দিলে সে ল্যাজেগোবরে হবে। একজন মহিলাকে কত কী খুঁটিনাটি যে মনে রাখতে হয় তা চিন্তা করতেগেলে পাগল হয়ে যেতে হয়। বাপেরবাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির যে বৃহত্তর পরিবারের সে ধারণ করে চলে নিয়মিত, তার সমস্ত কিছু নখদর্পণে থাকে তার। সে যেন চলন্ত পারিবারিক কোষ।
অথচ এই মহিলারা লক্ষ লক্ষ বছর আগে কোন বীজ পুড়িয়ে খেতে হয়, কোন বীজ সেদ্ধ করে খেতে হয়, কোন বীজ কাঁচা খেতে হয় তা পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে আবিষ্কার করে সমাজ এবং পরিবারের পুষ্টি যাতে নিশ্চিত হয় তার ব্যবস্থা করেছিলেন। এই কাজে কত মহিলার যে প্রাণ গিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই কেননা এই পরীক্ষায় বিষ বীজও তাদেরকে খেয়ে দেখতে হয়েছে।
এ রকম হাজারো দক্ষতার কথা বলে যেতে পারি একের পর এক।
তো এই কাজগুলোকে বর্তমানে কর্পোরেট কোন দিন গুরুতে দেয় না। কেননা মেয়েদের জন্য সে আলাদা বাজার বানাতে চায়। শুধু ব্যক্তি মেয়েদের জন্য কি বশাল বাজার তৈরি হয়েছে কর্পরেটদের দয়ায়।
কিন্তু আমরা যারা কর্পোরেট বিরোধী সমাজের লক্ষ্যে কাজ করি তাঁদের কাছে এই জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব অসাধারণ। প্রত্যেকটা পরিবারের নিজস্ব টোটকা ছিল। সেই জ্ঞান কর্পোরেট মহিলারা আর জ্ঞান হিসেবে মানতে চাইছেন না, রাস্তার ধারে ওষুধের দোকান আছে সেখানে যাও ব্যাস, দুমিনিটের ম্যাগির মত সমস্যার চটজলদি সমাধান।
ফলে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার আছে। একটু সময় নিয়ে একটা বড় করে প্রদর্শনী করার আছে।
তার জন্য মাসিমাদের মত মানুষের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা জরুরি। তারপরে কাজে নামা, মাঘের দিকে।
এ রকম হাজারো দক্ষতার কথা বলে যেতে পারি একের পর এক।
তো এই কাজগুলোকে বর্তমানে কর্পোরেট কোন দিন গুরুতে দেয় না। কেননা মেয়েদের জন্য সে আলাদা বাজার বানাতে চায়। শুধু ব্যক্তি মেয়েদের জন্য কি বশাল বাজার তৈরি হয়েছে কর্পরেটদের দয়ায়।
কিন্তু আমরা যারা কর্পোরেট বিরোধী সমাজের লক্ষ্যে কাজ করি তাঁদের কাছে এই জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব অসাধারণ। প্রত্যেকটা পরিবারের নিজস্ব টোটকা ছিল। সেই জ্ঞান কর্পোরেট মহিলারা আর জ্ঞান হিসেবে মানতে চাইছেন না, রাস্তার ধারে ওষুধের দোকান আছে সেখানে যাও ব্যাস, দুমিনিটের ম্যাগির মত সমস্যার চটজলদি সমাধান।
ফলে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার আছে। একটু সময় নিয়ে একটা বড় করে প্রদর্শনী করার আছে।
তার জন্য মাসিমাদের মত মানুষের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা জরুরি। তারপরে কাজে নামা, মাঘের দিকে।
No comments:
Post a Comment