বেনারসির মত গাব্দা শাড়ি বাংলায় কেন চলে, তার সমাজতত্ত্ব বিষয়ে ডডনংএর থেকেও খারাপ জ্ঞান।
তবুও বোকার কয়েকটি মূঢ প্রশ্ন
১) বাংলার রেশম ছিল একদা বিশ্বখ্যাত - ডাচ, ব্রিটিশ, ফরাসী আর পর্তুগিজ কর্পোরেটরা চারশ বছর আগে পলাশি পর্যন্ত কাশিমবাজারের রেশমের ওপর নির্ভরশীল ছিল - ইওরোপিয় রেশম বাজারের ভিত্তি লিয়ঁ আর আমস্টার্ডামকে পেছলে ফেলে দেয় কাশিমবাজার এমন কি পারসি রেশমও পাত্তা পায় না। ১৭৫৭র পরে বিশিল্পায়নে সমস্ত চিত্র পালটে যায়। তখন বাংলা ছাড়া গুজরাট বিখ্যাত ছিল রেশম বস্ত্র উৎপাদনের জন্য। গুজরাট বাংলাকে তুলো দিত আর বাংলা গুজরাটকে দিত রেশম। বাংলার রেশমে বোনা গুজরাটি পাটোলা ডাচেদের হাত ঘুরে দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে দামি ও অভিজাত পরিধেয় ছিল। তখন বেনারসি বা পোচমপল্লি কোথায়? ছিল মুর্শিদাবাদের (পরে বিষ্ণুপুরে আসা) বালুচরি তার হাল্কা রেশমি অনুভূতি আর জ্যাকার্ড পূর্ব অসাধারণ হাতে তোলা কারিগরির দক্ষতা আর জ্ঞান। তাহলে মোটাদাগের বেনারসি যা গরমের এলাকার জন্য নয় তা কি করে বাংলায় চালু হল? উত্তর পাই নি।
২) শাড়ি নামক উৎপাদনের চরিত্রের দুটি প্রধান উপাদান যদি হয় সূক্ষ্মতা আর শাড়ির ওপর তোলা সূক্ষ্ম কারুকার্য - তাহলে বিয়ের জন্য বিখ্যাত বেনারসি বা দক্ষিণের ভারি ভারি শাড়িগুলো শুধু চলছে প্রচারের জোরে - এর বেশি তো আর অন্য কোন তত্ত্ব তৈরি করা মুশকিল - ঠিক যেভাবে বাংলার সূক্ষ্ম সুতির উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ব্রিটিশ মিলের উতপাদনকে ভাল বলে ধনীদের কাছে চালানো হয়েছিল - ১৮২০ সালের পর আজ পর্যন্ত - এখনও ভাল কাপড় তৈরি হয় তাঁতেই। এবং ঠিক যে জন্য ব্রিটিশেরা মসলিনকে ধ্বংস করতে ছোট আঁশের ঢাকাই ফুটি তুলো চাষ নিষিদ্ধ করে বৈদ্যুতিক যন্ত্রে বোনা যায় বড় আঁশের আমেরিকিয় আর মিশরীয় তুলোর গুণগান করতে থাকে - এবং এখন খবরের কাগজে মিশরী বা আমেরিকিয় তুলোর প্রচুর বিজ্ঞাপন আর ক্রেতা। কেউ জানেই না যে বিশ্বের সব থেকে দামি সূতির শাড়ি তৈরি হত বাংলার ফুটি তুলোয় আর দামি তম রেশমি কাপড় তৈরি হত বাংলার রেশমে। তাহলে আমার চেহারার মোটা আকারের বেনারসি আর দক্ষিণী রেশমি শাড়ি কেন বিখ্যাত হল সুন্দর বালুচরি আর স্বর্ণচরি ছেড়ে?
৩) আজও কেন সেই মোটা বেনারসি এই বাংলা-গরমে বধুমাতারা পরবেন বালুচরি ছেড়ে?
তবুও বোকার কয়েকটি মূঢ প্রশ্ন
১) বাংলার রেশম ছিল একদা বিশ্বখ্যাত - ডাচ, ব্রিটিশ, ফরাসী আর পর্তুগিজ কর্পোরেটরা চারশ বছর আগে পলাশি পর্যন্ত কাশিমবাজারের রেশমের ওপর নির্ভরশীল ছিল - ইওরোপিয় রেশম বাজারের ভিত্তি লিয়ঁ আর আমস্টার্ডামকে পেছলে ফেলে দেয় কাশিমবাজার এমন কি পারসি রেশমও পাত্তা পায় না। ১৭৫৭র পরে বিশিল্পায়নে সমস্ত চিত্র পালটে যায়। তখন বাংলা ছাড়া গুজরাট বিখ্যাত ছিল রেশম বস্ত্র উৎপাদনের জন্য। গুজরাট বাংলাকে তুলো দিত আর বাংলা গুজরাটকে দিত রেশম। বাংলার রেশমে বোনা গুজরাটি পাটোলা ডাচেদের হাত ঘুরে দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে দামি ও অভিজাত পরিধেয় ছিল। তখন বেনারসি বা পোচমপল্লি কোথায়? ছিল মুর্শিদাবাদের (পরে বিষ্ণুপুরে আসা) বালুচরি তার হাল্কা রেশমি অনুভূতি আর জ্যাকার্ড পূর্ব অসাধারণ হাতে তোলা কারিগরির দক্ষতা আর জ্ঞান। তাহলে মোটাদাগের বেনারসি যা গরমের এলাকার জন্য নয় তা কি করে বাংলায় চালু হল? উত্তর পাই নি।
২) শাড়ি নামক উৎপাদনের চরিত্রের দুটি প্রধান উপাদান যদি হয় সূক্ষ্মতা আর শাড়ির ওপর তোলা সূক্ষ্ম কারুকার্য - তাহলে বিয়ের জন্য বিখ্যাত বেনারসি বা দক্ষিণের ভারি ভারি শাড়িগুলো শুধু চলছে প্রচারের জোরে - এর বেশি তো আর অন্য কোন তত্ত্ব তৈরি করা মুশকিল - ঠিক যেভাবে বাংলার সূক্ষ্ম সুতির উৎপাদন ব্যবস্থা ধ্বংস করে ব্রিটিশ মিলের উতপাদনকে ভাল বলে ধনীদের কাছে চালানো হয়েছিল - ১৮২০ সালের পর আজ পর্যন্ত - এখনও ভাল কাপড় তৈরি হয় তাঁতেই। এবং ঠিক যে জন্য ব্রিটিশেরা মসলিনকে ধ্বংস করতে ছোট আঁশের ঢাকাই ফুটি তুলো চাষ নিষিদ্ধ করে বৈদ্যুতিক যন্ত্রে বোনা যায় বড় আঁশের আমেরিকিয় আর মিশরীয় তুলোর গুণগান করতে থাকে - এবং এখন খবরের কাগজে মিশরী বা আমেরিকিয় তুলোর প্রচুর বিজ্ঞাপন আর ক্রেতা। কেউ জানেই না যে বিশ্বের সব থেকে দামি সূতির শাড়ি তৈরি হত বাংলার ফুটি তুলোয় আর দামি তম রেশমি কাপড় তৈরি হত বাংলার রেশমে। তাহলে আমার চেহারার মোটা আকারের বেনারসি আর দক্ষিণী রেশমি শাড়ি কেন বিখ্যাত হল সুন্দর বালুচরি আর স্বর্ণচরি ছেড়ে?
৩) আজও কেন সেই মোটা বেনারসি এই বাংলা-গরমে বধুমাতারা পরবেন বালুচরি ছেড়ে?
No comments:
Post a Comment