এবারও গৌতম ভদ্র'র ইমান ও নিশান থেকে
"এ কথা বলা হয় যে ধর্মীয় চেতনা বা ধর্মাশ্রয়ী চৈতন্যের রাজনৈতিক প্রভাব সীমিত, কৃষক আন্দোলন ও বিদ্রোহী চৈতন্য কখোনোই বৃহত্তর কাঠামোকে প্রভাবান্বিত করতে পারে না। হবসবমের মত পরিশীলিত মার্ক্সবাদী ঐতিহাসিকের মতে, শ্রেণী হিসেবে কৃষকেরা কম সচেতন, তাদের চৈতন্য তুলনামকূলকভাবে নিম্নমানের(a class of low classness). বৃহত্তর অর্থে কৃষকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাস আছে কিন্তু বড় একটা রাজনৈতিক ইতিহাস নেই(Peasants appear to belong in economic & social history, but rarely in political history). তাঁর মতে চীনের ইতিহাস এদিক দিয়ে দলছুট নজির।
"কিন্তু শুধু সাহেবেরাই নন, ভারতের ঐতিহাসিকদের মধ্যেও কেউ কেউ এই মত পোষণ করেছিলেন। হবসবমের লেখার বহুদিন আগে অষ্টাদশ ও উনিশ শতকের কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে নরেন্দ্র কৃষ্ণ সিংহ মহাশয় মোটামুটি এক ধরণের বক্তব্য রেখেছিলেন। কৃষকদের খুচরো বিদ্রোহের তালিকা দেখতে শুনতে ওজনদার হলেও তাদের গুরুত্ব অতিরঞ্জিত করা ঠিক নয়, বৃহত্তর কাঠামোর ওপর তাদের প্রভাব সীমিত।
"...কৃষকদের পিছিয়ে থাকা মানসিকতা বেশ চালু তত্ত্ব। বাইরে থেকে আসা যোজকরাই কৃষক আন্দোলনের প্রকৃত রাজনৈতিক সম্ভাবনাকে কার্যকর করে। তবু খটকা থেকেই যায়।"
No comments:
Post a Comment