ঐতিহাসিক নীহারঞ্জন রায় তাঁর 'বাঙালীর ইতিহাস' গবেষণা গ্রন্থের প্রথম খণ্ডেই নেড়ে শব্দটি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন।নেড়া মাথার বৌদ্ধরা যখন দলে দলে ইসলাম গ্রহন করল তখন ব্রাহ্মণরা উপহাস করে তাদের নেড়ে বা লেড়ে বলে ডাকা শুরু করে।ঘটনাটি শঙ্করাচার্যর সময়ের।বৌদ্ধ বাংলায় তখন ব্রাহ্মণ্যবাদের পুনরুত্থান হচ্ছে।
বাংলার কায়স্থকূল আর এক রকমের প্রতিবাদ করেছিলেন।তারা বর্ণাশ্রমের বিধিমতে ব্রাহ্মণকে উপঢৌকন দিয়ে,মানে পাতি বাংলায় ঘুষ দিয়ে,উপনয়ন সংস্কার বর্জন করেন।বর্ণাশ্রমে ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয় আর বৈশ্য পৈতের অধিকারী।উপবীত ব্রাহ্মণের শুভ্র,ক্ষত্রিয়ের রক্তবর্ণ,বৈশ্যের পীত।বাংলার কায়স্থরা হিন্দুত্বে ফিরলেন। কিন্তু পুরোটা বশ মানলেন না।শাস্তি হিসাবে তাদের শুদ্র ঘোষণা করা হয়।ষাটের দশকে ইলাস্ট্রেটেড উইকলির পাতায় এমিনেন্ট কায়স্থস নামে একটি প্রবন্ধ বার হয়।তাতে কোন বাঙালী কায়স্থের নাম ছিল না।নেতাজী সুভাষ বসু,জগদীশ চন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, দীনবন্ধু মিত্র,সত্যেন দত্ত---- কারোর না।
বাংলার কায়স্থ শুদ্রের কাতারে নেমে এসেছিলেন।
আসলে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।তাতে করে কায়স্থরা কিছু বিপন্ন বোধ করেন নি।বর্ণাশ্রমের বিধান এমনিতেই, আগে থেকেই তাদের ক্ষেত্রে শিথিল ছিল।বুঝতে হলে কায়স্থ শব্দটির উৎসে যেতে হয়।
কায়াতে স্থিত তাই কায়স্থ।পৌরাণিক মিথ অনুযায়ী পরশুরাম যখন ক্ষত্রিয় নিধন শেষ করেন মাতৃগর্ভে যে ক্ষত্রিয় সন্তান রয়ে গেছিল তারাই কায়স্থ।নীহাররঞ্জন নতুন ব্যাখ্যা দিলেন।
কায়স্থ কথাটির প্রথম ব্যবহার পাই কবি কালিদাসের বিক্রমোবর্শীয় নাটকে।উজ্জ্বয়িনী নগরীর প্রথম কায়স্থ মানে আজকের পরিভাষায় মেয়রের উল্লেখ আছে সেখানে।কায়া মানে প্রশাসনিক কায়া।রাজকর্মচারীরা ছিলেন করণিক থেকে মন্ত্রী,সান্ত্রী সবাই।কায়স্থরা তাই ভারতের প্রথম নাগরিক সম্প্রদায়।কায়স্থ কোন স্বতন্ত্র বর্ণ নয়।বর্ণশঙ্কর।ইনটারকাস্ট বিবাহের সন্তান সময়ক্রমে।এবং সানন্দে শুদ্র।
সেন রাজারা এসে কৌলীন্যপ্রথা চালু করে কায়স্থদের একটা অংশকে বশ করেছিলেন।বেঁকে বসেন দত্তরা।দত্তরা কুলীন অভিধা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
ভারতে বর্ণাশ্রমভাঙা শুদ্র সন্ন্যাসী নরেন্দ্রনাথ দত্ত, আমাদের স্বামী বিবেকানন্দ,এই ঐতিহ্য থেকেই ডাক দিয়েছিলেন-- চণ্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই।
বাংলার কায়স্থকূল আর এক রকমের প্রতিবাদ করেছিলেন।তারা বর্ণাশ্রমের বিধিমতে ব্রাহ্মণকে উপঢৌকন দিয়ে,মানে পাতি বাংলায় ঘুষ দিয়ে,উপনয়ন সংস্কার বর্জন করেন।বর্ণাশ্রমে ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয় আর বৈশ্য পৈতের অধিকারী।উপবীত ব্রাহ্মণের শুভ্র,ক্ষত্রিয়ের রক্তবর্ণ,বৈশ্যের পীত।বাংলার কায়স্থরা হিন্দুত্বে ফিরলেন। কিন্তু পুরোটা বশ মানলেন না।শাস্তি হিসাবে তাদের শুদ্র ঘোষণা করা হয়।ষাটের দশকে ইলাস্ট্রেটেড উইকলির পাতায় এমিনেন্ট কায়স্থস নামে একটি প্রবন্ধ বার হয়।তাতে কোন বাঙালী কায়স্থের নাম ছিল না।নেতাজী সুভাষ বসু,জগদীশ চন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, দীনবন্ধু মিত্র,সত্যেন দত্ত---- কারোর না।
বাংলার কায়স্থ শুদ্রের কাতারে নেমে এসেছিলেন।
আসলে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।তাতে করে কায়স্থরা কিছু বিপন্ন বোধ করেন নি।বর্ণাশ্রমের বিধান এমনিতেই, আগে থেকেই তাদের ক্ষেত্রে শিথিল ছিল।বুঝতে হলে কায়স্থ শব্দটির উৎসে যেতে হয়।
কায়াতে স্থিত তাই কায়স্থ।পৌরাণিক মিথ অনুযায়ী পরশুরাম যখন ক্ষত্রিয় নিধন শেষ করেন মাতৃগর্ভে যে ক্ষত্রিয় সন্তান রয়ে গেছিল তারাই কায়স্থ।নীহাররঞ্জন নতুন ব্যাখ্যা দিলেন।
কায়স্থ কথাটির প্রথম ব্যবহার পাই কবি কালিদাসের বিক্রমোবর্শীয় নাটকে।উজ্জ্বয়িনী নগরীর প্রথম কায়স্থ মানে আজকের পরিভাষায় মেয়রের উল্লেখ আছে সেখানে।কায়া মানে প্রশাসনিক কায়া।রাজকর্মচারীরা ছিলেন করণিক থেকে মন্ত্রী,সান্ত্রী সবাই।কায়স্থরা তাই ভারতের প্রথম নাগরিক সম্প্রদায়।কায়স্থ কোন স্বতন্ত্র বর্ণ নয়।বর্ণশঙ্কর।ইনটারকাস্ট বিবাহের সন্তান সময়ক্রমে।এবং সানন্দে শুদ্র।
সেন রাজারা এসে কৌলীন্যপ্রথা চালু করে কায়স্থদের একটা অংশকে বশ করেছিলেন।বেঁকে বসেন দত্তরা।দত্তরা কুলীন অভিধা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
ভারতে বর্ণাশ্রমভাঙা শুদ্র সন্ন্যাসী নরেন্দ্রনাথ দত্ত, আমাদের স্বামী বিবেকানন্দ,এই ঐতিহ্য থেকেই ডাক দিয়েছিলেন-- চণ্ডাল ভারতবাসী আমার ভাই।
No comments:
Post a Comment