এই শূদ্র-বৈশ্য-মুসলমান উতপাদন-বিতরণ ব্যবস্থা ধ্বংস করে মুসলমান-অমুসলমান ভদ্রদের সহায়তায় সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ
(Dipankarদার জন্য)
হুগলি বন্দরের পতনের সঙ্গে সঙ্গে বন্দর কাশিমবাজারের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেল।বাণিজ্যের প্রসারে হুগলি বাদসাহী বন্দরে রূপান্তর হওয়ায় সাধারণ ব্যবসায়ী কাশিমবাজারে জমায়েত হলেন। বাংলার তখন রপ্তানি বাণিজ্যের সম্ভার কত।
প্রচুর পরিমানে চাল বিভিন্ন দেশ গ্রহণ করতেন, এছাড়া সোরা, রেশম বস্ত্র, তাঁর বস্ত্র, ঘাসের তৈরি থান ও চাটাই জাতীয় জিনিস, চিনি, নীল, ঘি, লঙ্কা বা মরিচ, মোম, লাক্ষা ও মাটির পুতুল বাংলার রপ্তানি বলে গণ্য হত। এছাড়া ছিল আফিংএর সম্ভার। কাঁচা রেশম এবং রেশমজাত নানান সামগ্রী যা খুচরা দ্রব্যাদি নামে খ্যাত হয়েছে।
পূর্বে বাংলার রপ্তানি চলে যেত রেঙ্গুন, পেগু, আচিন, পেনাং, বেনকুলান, বাটাভিয়া, বালামবানগান, মালাক্কা হয়ে মাকাসার প্ররযন্ত, চীনের ম্যাকাও ও ক্যান্টনেও যেত বাংলার দ্রব্য সামগ্রী। পশ্চিমে টাটাহা, গোম্ব্রুন, মুস্কাট, বসরা, ইসাফান, মোচা, জিড্ডা পর্যন্ত আবার পাটে, মোসাম্বা হয়ে আফ্রিকা উপকূল ঘুরে চলে যেত সুদূর ইওরোপে।
রেনেল সাহেব লিখেছেন যে ১৭২৭(১১৩৪ সালে) খ্রীষ্টাব্দে সমস্ত খরচ খরচা বাদ দিয়েও এককোটি তেতাল্লিস লক্ষ সিক্কা টাকা বাংলায় থাকত। এই টাকার মূল্য তখন চোদ্দ সিক্কা টাকায় এক মোহর আর মাত্র আট সিক্কা টাকা সমান এক স্টার্লিং পাউণ্ড। বাংলার বাণিজ্য তখন সুদূর প্রসারী।
বন্দর কাশিমবাজার
সোমেন্দ্রচন্দ্র নন্দী
--
আমাদের মন্তব্য - রেনেল যে বাংলার ব্যবসার মোট বাণিজ্য মোট উদ্বৃত্ত বলছেন, ১ কোটি ৪৩ লক্ষ সিক্কা টাকা, তার মূল্য আন্দাজ কত হতে পারে? প্রায় এই সময়ের একশ বছর পর ১৭২৭/১১২০ সালে কলকাতায় মাসে ২ টাকা রোজগার করে জনৈক মেদিনীপুর নিবাসী ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে স্বচ্ছল ভাবছেন এবং বাড়িতে উদ্বৃত্ত পাঠাবার কথা ভাবছেন।
সোমেন্দ্রচন্দ্র নন্দী
--
আমাদের মন্তব্য - রেনেল যে বাংলার ব্যবসার মোট বাণিজ্য মোট উদ্বৃত্ত বলছেন, ১ কোটি ৪৩ লক্ষ সিক্কা টাকা, তার মূল্য আন্দাজ কত হতে পারে? প্রায় এই সময়ের একশ বছর পর ১৭২৭/১১২০ সালে কলকাতায় মাসে ২ টাকা রোজগার করে জনৈক মেদিনীপুর নিবাসী ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে স্বচ্ছল ভাবছেন এবং বাড়িতে উদ্বৃত্ত পাঠাবার কথা ভাবছেন।
No comments:
Post a Comment