বন্ধুরা বাংলা রেজিমেন্টের জন্য দরবার করছেন। অতীতে Dipankarদা দাবি করেছেন। গোর্খা রেজিমেন্টের গোর্খাল্যান্ডের জন্য বন্দুক তোলার হুমকির ভিডিও দেখে আমাদের বাংলাদেশের বন্ধু Sihabul Islamও দাবি জানাচ্ছেন।
বাংলা রেজিমেন্ট থাকলেও কি হত আমরা জানি না। খুব বেশি হলে বিদ্রোহ করত। আপাতত ভারত রাষ্ট্রের যা সামরিক বাহুবল তাতে কতদূর কী হত বলা মুশকিল।
কিন্তু গোর্খাল্যান্ড বিষয়ে সমস্যা হল বাঙালি শহুরে বাম-উদার-ভদ্রলোকেদের মানসিকতা। তারা কি চান তারাই জানেন না। তাদের না আছে নিজস্ব সম্পদ, না আছে সাংগঠনিক জোর। অথচ তাঁরা নিজেদের চাকরি-ব্যবসা-দালালি ঠিক রেখে রাষ্ট্রের, আন্দলনের নীতি নির্ধারণের শেষ কথা হয়ে উঠেছেন।
আমরা যারা খেটেখাওয়া ছোটলোক কারিগর, তারা পাহাড়ের আন্দোলনকারীদের দাবি আর সমতলে তাঁদের বন্ধুদের দাবির মাঝে পড়ে শঙ্কিত হয়ে রয়েছি। কেননা পাহারিয়া আন্দোলনকারীদের দাবি এক ধরণের আর তাঁদের সমতলের বন্ধুদের দাবি অন্যরকম। কয়েক বছর আগে বহু উস্কানিতে ভোটের আগে গোর্খারা সমতলে নেমে লড়াই করেছিল। আজও এই অবস্থা হবে কিনা জানি না।
যেভাবে গোর্খা সেনা বাহিনী(কথা বলছেন একজন কিন্তু তাঁকে সমর্থন করছেন পিছনের সেনারা) প্রকাশ্যে বন্দুক তুলে এই আন্দোলনকে মদত দিচ্ছেন, সেটা শঙ্কাজনক শুধু এই বারুদভরা আন্দোলনের প্রেক্ষিতেই নয় সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক রাখায়। সাধারণত ভারতের সেনাবাহিনী রাজনীতিতে খুব একটা মাথা গলায় না - ক্ষমতার নির্দেশ ছাড়া। তাহলে কি এ ক্ষেত্রে ক্ষমতা নতুন সমীকরণ চাইছে?
এ নিয়ে নতুন করে ভাবা দরকার।
অন্তত আমরা, বৈশ্য-শূদ্র-মুসলমান এবং অন্যান্য পরম্পরার সমাজের কারিগরেরা সাঙ্গঠনিকভাবে তো ভাবব সেটা নিশ্চিত - আগামী সপ্তাহে দিনাজপুরে ওয়াটাগের বৈঠক আছে।
সেখানে কিছু না কিছু সিদ্ধান্ত তো হবেই।
No comments:
Post a Comment