Friday, June 9, 2017

ইন্ডিয়ান টিচার্স অব বুদ্ধিস্ট ইউনিভার্সিটিজ১

ফনীন্দ্রনাথ বোস

১৯২৩ সালে বিশ্বভারতীর শিক্ষক ফনীন্দ্রনাথ বোসের বই ইন্ডিয়ান টিচার্স অব বুদ্ধিস্ট ইউনিভার্সিটিজ প্রকাশ পায় মাদ্রাজের থিয়োজাফিক্যাল পাব্লিশিং হাউস থেকে।
তিব্বতি বৌদ্ধবাদকে সমতলে আনতে যে সব প্রাচ্য ও প্রাতীচ্য দেশিয় কাজ করেছেন তাদের নামোল্লেখ করছেন ফনীবাবু। উল্লেখ্য ব্রিটিশেরা তিব্বতে অন্যান্য ইওরোপিয়দের তুলনায় পরে পা রাখে। তবে ঔপনিবেশিক অভিযানের অধিকাংশই এলাকা দখল আর সম্পদ লুঠের চেষ্টার উদ্যমের মুখড়া এটাও মনে রাখা দরকার।
আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার, একমাত্র মহামহোপাধ্যায় সতীশচন্দ্র আর শরৎ রায় ছাড়া তিব্বত অভিযানে যাওয়া কোন ভারতীয়র নাম উল্লেখ করেন নি ফনীন্দ্রনাথ। এটি ঔপনিবেশিক মনীষার ধারাবাহিকতা।
এই বইয়ের সারাংশ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করারা চেষ্টা করব।
--
১৫৮০ সালে প্রথম পা রাখেন স্পেনিয় সাধু, সোসাইটি অব জেসাস পন্থের ফাদার এন্টোনিও দ্য আন্দ্রাদে। তিনি তব্বত বিষয়ে Nuevo descubrimiento del gran Cathayo, a Reynos de Tibet। তাঁর পরে তাঁরই পন্থের আরেক সাধু জাঁ গুরেবার লেখেন ট্রাভেলস ফ্রম চায়না ট ইওরোপ ১৬৬১। এই পন্থেরই আরেক সাধু এইচ দেসিদেরি লেখেন ট্রাভেলস ইন্টু টিবেট ইন ১৭১৪। অষ্টাদশ শতের শেষে জর্জ বোগলি প্রকাশ করেন রিলেশন দু তিবেত ১৭৭৮ সালে।

তখনও কোন ব্রিটিশ তিব্বতে পা দেন নি। প্রথম যান স্যামুয়েল টার্নার এবং টমাস ম্যানিং। ১৮০৬ সালে টার্নার ভূটানে যান এবং অভিজ্ঞতা লেখেন এন একাউন্ট অব এন এম্বাসি টু দ্য কোর্ট অব তেশো লামা ইন টিবেট। ম্যানিং লাসায় পৌঁছন ১৮১১-১২ সালে। তাঁর জীবনী সহ যাত্রা অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন ১৮৭৬ সালে ক্লেমেন্টস মার্খহ্যাম।

উপনিবেশ সরকারও তিব্বতে তাদের প্রতিবিধি পাঠায়। দার্জিলিংএর সুপারিন্টেন্ডেন্ট এ ক্যাম্পবেল তার তিব্বত যাত্রার অভিজ্ঞতা এশিয়াটিক সোসাইটি পত্রিকায় লেখেন ইটিনারি ফ্রম ফাঁড়ি ইন টিবেট টু লাসা উইথ এপেন্ডেড রুটস ফ্রম দার্জিলিং টু ফাঁড়ি।

১৮৪৮সালে লেফটানেন্ট রিচার্ড স্ট্রেচি মানস সরোবর অবদি অভিজ্ঞতা প্রকাশিত হয় ন্যারেটিভ অব আ জার্নি টু দ্য লেকস রাক্ষসতাল এন্ড মানসরোবর ইন ওয়েস্টার্ন টিবেট ১৯৯০ সালে।

বাংলা এবং ভারত লুঠের জন্য আয়োজিত ত্রিকোনমিতি সমীক্ষার দল থেকে একজন পণ্ডিতকে পাঠানো হয়। তাঁর যাত্রা সমীক্ষা প্রকাশ পায় ১৮৬৭ সালে সেটির নাম ছিল রুট সার্ভে ফ্রম ব্রিটিশ ইন্ডিয়া ইন্টু গ্রেট টিবেট থ্রু দ্য লাসা টেরিটরিজ, এন্ড এলং দ্য আপার কোর্স অব দ্য ব্রহ্মপুত্র রিভার অর নারি-চু সাংপো মেড বাই পণ্ডিত... এন্ড কম্পাইলড ফ্রম দ্য অরজিনাল মেটিরিয়ালস বায় ক্যাপ্টেন টি গি মন্টগোমারি।

তিন বছর পর আরেক ভারতীয় পৌঁছনোর সমীক্ষা প্রকাশ পায় একাউন্ট অব এটেম্পট বাই আ নেটিভ এনভয় টু রিচ দ্য ক্যাথলিক মিশনারিজ অব টিবেট ক্যাপটেন জে গ্রেগরির নামে। সাত বছর পর আরেক পণ্ডিত অসম হয়ে তিব্বত পৌঁছন, তার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন একাউন্ট অব দ্য পান্ডিটস জার্নি ইন দ্য গ্রেট টিবেট ফ্রম লেহ ইন লাদাখ টু লাসা এন্ড অব হিজ রিটার্ন টু ইন্ডিয়া ভায়া অসম নামে ক্যাপ্টেন এইচ ট্রটারএর লেখনিতে।

উনবিংশ শতের শেষের দিকে ডবলিউ ডবলিউ রকহিল ১৮৯১তে ল্যান্ড অব দ্য লামাজ এবং পরের বছর ট্রাভেল ইন টিবেট এডিনবরা রিভিয়ুতে প্রকাশ পায়। শ্রীমতী ইসাবেলা বিশপ আ জার্নি থ্রু লেসার টিবেট লেখেন ১৮৯২ সালে। ১৮৯৩ সালে স্কটিশ জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটিতে বক্তৃতা দেন। তাঁর ভাষ্যে আরেকটি বই এডভেঞ্চার্স ইন টিবেট ইঙ্কলুডিং দ্য ডায়েরি অব মিস আনি আর টেইলর্স রিমার্কেবল জার্নি ফ্রম টান-চান তু টা-চিওর-লু থ্রু দ্য হার্ট অব দ্য ফর্বিডন ল্যান্ড ১৯০১ সালে প্রকাশ করেন উইলিয়ম কেরি। এছাড়াও এ আর টেলর, শমা দি কোরোস, ওয়াডেল সহ অন্যান্যরা তিব্বতে গিয়ে তার ধর্ম আর মানুষজন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে রায় শরৎ চন্দ্র দাস বাহাদুর এবং মহামহোপাধ্যায় সতীশ চন্দ্র বিদ্যাভূষণের তিব্বত ভ্রমণের কথা যেন ভুলে না যাই। শরৎ চন্দ্রকে তিব্বতে পাঠায় ঔপনিবেশিক সরকার যা তিনি প্রকাশ করেন জার্নি টু লাসা এন্ড সেন্ট্রাল টিবেট ১৯০২ সালে। ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় সতীশ চন্দ্র সিকিমে যান।

No comments: