আলোচক বলেছেন, লেখক ইংরেজদের ভারত দখলে বক্সারএর গুরুত্ব অসীম দেখেয়েছেন। এছাড়াও মুঘলদেরও নাকি প্রশংসা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে আমাদের কথা
মুঘলেরা সে সময় বিশ্বের গুরুত্বপুর্ণতম সাম্রাজ্য ছিল এটা না বল্লেও চলে। সে সময় বিশ্বের সেরা অঞ্চল ছিল উপমহাদেশ আর উপমহাদেশের সেরাতম অঞ্চল প্রথমে বাংলা পরে দাক্ষিনাত্য। সারা বিশ্ব থেকে লোক আসত উপমহাদেশে ভাগ্য ঘোরাতে।
ইংরেজদের বক্সার যুদ্ধের নিয়ে বহুত দ্বিমত আছে। আমরা মনেকরি বক্সার নয় পলাশীর চক্রান্ত বিশ্ব ইতিহাসের মোড় ঘোরাল। বক্সারকে প্রাধান্য দিয়েছেন প্রাথমিকভাবে হাবিব থাপার ইত্যাদির মত বামপন্থী ঐতিহাসিকেরা। যারা লুঠ নিয়ে কাজ করবেন, তাদের বাংলাকে গুরুত্ব দিতেই হবে।
কারণ সুশীল চৌধুরীমশাই স্পষ্ট বলছেন
১) পলাশী সফল করতে চন্দননগর দখল করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কারণ আলিবর্দি আর সিরাজ ইংরেজদের ব্যক্তিগত ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রায়। উলটে ফরাসীদের প্রভূত গুরুত্ব দিচ্ছিলেন। ১৭৩০এর ডুপ্লের সময় থেকে জাহাজ রপ্তানি ইত্যাদির সংখ্যায় এটা প্রমান করেছেন সুশীলবাবু।
২) পলাশীর আগে ইওরোপিয়রা যৌথভাবে বাংলায় যা বাণিজ্য করতে তার থেকে প্রায় দেড়গুণ বেশি বাণিজ্য করত বাংলার এশিয় বণিকেরা - এবং প্রত্যেককে রূপো বা অন্যান্য দামি ধাতু নিয়েই বানংলায় বাণিজ্য করতে হত।
৩) ইওরোপিয়রা যা বিনিয়োগ আনত তার দেড়্গুণ ধার করত বাংলায় দাদনি বণিকদের থেকে। ফলে তারা যে খুব ধনী ছিল তা বলা যাবে না। তাদের সম্পদের দিকে লক্ষ্য রেখে পলাশী হয়েছে বলা যাবে না। তার প্রমান পলাশীর আগে তারা উপমহাদেশেই একটাও যুদ্ধ জেতে নি।
৪) পলাশীর লুঠ ছিল আদতে বিশ্ব ইতিহাসের উলটপুরাণ। যে কাজটা ইওরোপিয়রা করার চেষ্টা করছিল ক্রুসেড থেকে। সে কাজটা করতে পারল ইংরেজরা।
৫) পলাশীর পরে বিশ্বের সমৃদ্ধতম অঞ্চল থেকে কত সম্পদ নিয়ে গিয়েছে তার কোন হিসেব হয় নি। সেই সম্পদে শিল্পায়ন হয়েছে, ভারতের অন্যান্য অঞ্চল জয় হয়েছে।
মুঘলেরা সে সময় বিশ্বের গুরুত্বপুর্ণতম সাম্রাজ্য ছিল এটা না বল্লেও চলে। সে সময় বিশ্বের সেরা অঞ্চল ছিল উপমহাদেশ আর উপমহাদেশের সেরাতম অঞ্চল প্রথমে বাংলা পরে দাক্ষিনাত্য। সারা বিশ্ব থেকে লোক আসত উপমহাদেশে ভাগ্য ঘোরাতে।
ইংরেজদের বক্সার যুদ্ধের নিয়ে বহুত দ্বিমত আছে। আমরা মনেকরি বক্সার নয় পলাশীর চক্রান্ত বিশ্ব ইতিহাসের মোড় ঘোরাল। বক্সারকে প্রাধান্য দিয়েছেন প্রাথমিকভাবে হাবিব থাপার ইত্যাদির মত বামপন্থী ঐতিহাসিকেরা। যারা লুঠ নিয়ে কাজ করবেন, তাদের বাংলাকে গুরুত্ব দিতেই হবে।
কারণ সুশীল চৌধুরীমশাই স্পষ্ট বলছেন
১) পলাশী সফল করতে চন্দননগর দখল করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কারণ আলিবর্দি আর সিরাজ ইংরেজদের ব্যক্তিগত ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন প্রায়। উলটে ফরাসীদের প্রভূত গুরুত্ব দিচ্ছিলেন। ১৭৩০এর ডুপ্লের সময় থেকে জাহাজ রপ্তানি ইত্যাদির সংখ্যায় এটা প্রমান করেছেন সুশীলবাবু।
২) পলাশীর আগে ইওরোপিয়রা যৌথভাবে বাংলায় যা বাণিজ্য করতে তার থেকে প্রায় দেড়গুণ বেশি বাণিজ্য করত বাংলার এশিয় বণিকেরা - এবং প্রত্যেককে রূপো বা অন্যান্য দামি ধাতু নিয়েই বানংলায় বাণিজ্য করতে হত।
৩) ইওরোপিয়রা যা বিনিয়োগ আনত তার দেড়্গুণ ধার করত বাংলায় দাদনি বণিকদের থেকে। ফলে তারা যে খুব ধনী ছিল তা বলা যাবে না। তাদের সম্পদের দিকে লক্ষ্য রেখে পলাশী হয়েছে বলা যাবে না। তার প্রমান পলাশীর আগে তারা উপমহাদেশেই একটাও যুদ্ধ জেতে নি।
৪) পলাশীর লুঠ ছিল আদতে বিশ্ব ইতিহাসের উলটপুরাণ। যে কাজটা ইওরোপিয়রা করার চেষ্টা করছিল ক্রুসেড থেকে। সে কাজটা করতে পারল ইংরেজরা।
৫) পলাশীর পরে বিশ্বের সমৃদ্ধতম অঞ্চল থেকে কত সম্পদ নিয়ে গিয়েছে তার কোন হিসেব হয় নি। সেই সম্পদে শিল্পায়ন হয়েছে, ভারতের অন্যান্য অঞ্চল জয় হয়েছে।
ফলে পলাশি না হলে বক্সার অবদি যেতেই পারে না ইংরেজরা
No comments:
Post a Comment