ডি পি আগরওয়াল, লোকবিজ্ঞান কেন্দ্র, আলমোড়া
জানি মারতে উঠবেন। যদি বলি কলম্বাস এবং ভাস্কোদাগামা দক্ষ নাবিক ছিল না। সে সময় ইওরোপিয়রা মূলত সমুদ্র চিনত মানচিত্র এবং চার্ট নির্ভর ডেড রেকনিং প্রযুক্তি নির্ভর করে। ফলে তারা অজানা অচেনা সমুদ্রে পথ খুঁজে পেত না। এই প্রহেলিকার মধ্যে আদতে লুকিয়ে আছে ইওরোপিয়দের অঙ্ক না জানার গপ্পটা। ইওরোপে সময় মাপন – সে পঞ্জিকাতেই হোক বা ঘড়িতেই হোক ষোড়শ শতকে এক্কেবারেই ইনএকিউরেট ছিল। এটা রাষ্ট্র এবং চার্চ উভয়ের কাছে খুব এমবারাসিং অবস্থা। সে তুলনায় উপমহাদেশ সে সময় অনেকটাই এগিয়েছিল। ইওরোপে সে সময় সব থেকে ধনীতম অঞ্চল ছিল মুসলমান শাসন অবসান হওয়া স্পেন আর পর্তুগাল। তারা সম্পদ সংরহে বিশ্বের কারখানা চিন আর ভারতের সঙ্গে ব্যবসা করতে উঠেপড়ে লাগল। সে সময়ে গরীবি হঠানোর একমাত্র রাস্তা ছিল উপমহাদেশ এবং চিনের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য – কিন্তু সেটাও চরমতম বিপসসঙ্কুল কাজ। সে সময় ভারতের দিকে যাত্রা করা প্রত্যেকটা সফল সমুদ্র অভিযানে এক তৃতীয়াংশ বণিক পথেই প্রাণ হারাত। প্রাকৃতিক কারণে বা জলদস্যু, প্রাইভেটিয়ার্স ইত্যাদির হামলার জন্যে প্রচুর জাহাজ ডুবে যেত, লুঠ হত – এর আরেক অর্থ জাহাজে ব্যবসার জন্যে নিয়ে আসা পণ্যের সলিল সমাধি অথবা তার বিনিময়ে অর্থ না পাওয়া। ফলে ইওরোপিয়রা বাণিজ্য পথ এবং ইওরোপ এশিয়ার যাত্রাপথ সুরক্ষিত করার উদ্যোগ নিতে থাকে। এর একটা হাতিয়ার হল এশিয় অঙ্কের জ্ঞান আহরণ করা, এবং সেই জ্ঞান সম্বল করে ইওরোপিয় প্রাথমিক স্বচ্ছলতার দিকে যাত্রার পথ নির্নয়।
হ্যাঁ কলম্বাস বা ভাস্কো হয়ত দক্ষ নাবিক ছিল না, কিন্তু তারা ভয়ডরহীন অভিযাত্রী ছিল। এদের কেউই ভারত আরব বা চৈনিকদের মত মহাকাশ নির্ভর নৌবিদ্যা জানত না। তারা শুনেছিল আরবি নাবিকেরা এই ধরণের জ্ঞান অর্জন করেছিল, কিন্তু তারা বুঝতে পারে নি।
অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ নির্ভর করে কলম্বাস যাত্রা শুরু করে কিউবার পৌঁছবার চেষ্টা করে পৌঁছলেন কেপ কডেএ। ভুল কলম্বাস বোঝনি শুধু নয় বরাবরই দাবি করেছে সে তার গন্তব্যে পৌঁছেছেন। এর থেকে প্রমান হয় কলম্বাসের জ্ঞানহীনতা। এরপরেও যত কটা সে চেষ্টা করেছে, সব ভুল দিক নির্দেশ করে ভুল যায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।
একইভাবে ভাস্কো ভারতীয় মুসলমান নাবিক মালামো কানার দিক নির্দেশিকা না পেলে তাকে চিরতরে আফ্রিকার মেলিন্দে উপকূলেই ঘুরতে হত। মালামো সদ্মুদ্রের অক্ষাংশ মাপার জন্যে কমল নামে একটি খুব সাধারণ দেখতে – একটা কাঠের চাকতির সঙ্গে গিঁটলাগা একটা দড়ি জোড়া একটা যন্ত্র ব্যবহার করত যার নাম কমল বা রূপলাগি। The local latitude is almost the same as the altitude of the pole star, or its angular elevation above the horizon. To determine the altitude of the pole star, the wooden board is held in front of the eye, at an appropriate distance, so that it blocks the portion between the horizon and the pole star, and the distance from the eye is measured. Holding the string between the teeth, and counting the number of knots, one measures the distance. In the Arabic-Malayalam language, the pole star is hence called kau, which also means 'teeth'. Vasco da Gama, not understanding the principle of the instrument, thought the pilot was telling the distance with his teeth! He further recorded that he carried back a couple of copies of the instrument to get it graduated in inches! (The instrument involves a harmonic scale, whereas inches refer to a linear scale, so that graduating it in inches is intrinsically impossible.)
No comments:
Post a Comment