১। আমরা সামাজি অর্থনৈতিকভাবে মার্ক্সবাদী নই(যদিও দার্শনিক মার্ক্সের বহুতত্ত্ব আজও অপ্রতিরোধ্য - বিশেষ করে এলিয়েনেশন বা কর্পোরেট পুঁজিকে বুঝতে তিনি আজও অপ্রতিরোধ্য), বামপন্থী কি না জানি না - অরূপদা বলেছেন বামপন্থার তত্ত্ব তিনি খুঁজে পান নি। ফলে কোনটা ধ্রুব সত্য আর কোনটা নয় জানি না।
২। বাংলাকে দেখি হকার কারিগর অর্থনীতির তত্ত্বে - হাজারো উতপাদক হাজারো বিক্রেতা - লাভ বেঁটে যায় সমাজের মধ্যে - প্রযুক্তি কারিগর/সমাজ/গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে, পুঁজির নয়, কাঁচামালের অধিকার অনেকটা কারিগরের রয়টে গ্যাছে।
৩। চার চলকের ইওরোপিয় অর্থনৈতিক তত্ত্ব ভারতের গ্রামীন কারিগর অর্থনীতিতে আজও কাজ করে না। সে অন্য তত্ত্বে এগোয়। ইওরোপিয় তত্ত্ব দিয়ে সারা বিশ্বের সমাজ অর্থনীতিকে বিচার করা আর কত দিন।
৪। আমাদের লেখায় ছোট পুঁজি জাতীয় কোন শব্দবন্ধ ব্যবহার হয় না। তথাকথিত ছোট পুঁজি আদতে বড় শিল্পের অনুসারী শিল্প - সে বড় পুঁজির ধ্বজাধারী - তার ভাবনা, দর্শনের, প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। তবুও বড় পুঁজির অননুসারী যে কোন ছোট বিনিয়োগ কাম্য।
৫। কারিগর অর্থনীতি পুঁজির ওপর নির্ভরশীল নয় কারণ সে বংশপরম্পরা/সমাজ/গোষ্ঠীপরম্পরার দক্ষতা, কাঁচামালের ওপর দখল, তার জ্ঞান ইত্যাদির ওপর নির্ভরশীল।
৬। ঐতিহাসিকভাবে শহরই লুঠেরা, গ্রাম শোষণ করে বেঁচে থাকে। নিজে পরজীবি। সে শুধু ধ্বংস লুঠ খুন করে।
৭। গ্রামীন অর্থনীতি কর্পোরেট দয়ায় বেঁচে নেই - বরং কর্পোরেটরা বেঁচে আছে গ্রামীনদের দয়ায়। চুঁইয়ে পড়ার তাত্ত্বিকেরা কর্পোরেট দালাল।
৮। ২০০৮/১৪১৪ সালের ইওরোপিয় আমেরিকয় অর্থনীতির ধাক্কা সামলাতে সাহায্য করেছিল চাষী কারিগর হকারেরা।
৯। ইন্ডিয়ার কর্পোরেটরা বেঁচে আছে ভারতের গ্রামীন উতপাদন আর চাষীদের দয়ায়। যে বছর ভাল চাষ হয় না সেবছর ইন্ডিয়ার জিডিপি নিচের দিকে গোঁত্তা খায়।
১০। গাঁইয়ারা স্বনিযুক্ত। সেলফ এম্পলয়মেন্ট নামক সরকারি চুষিকাঠি লাগে গ্রামের উদ্বৃত্তে জীবিকা নির্বাহ করা শহুরে কর্পোরেট পদ্ধতিতে পড়াশোনা করা আলালের দুলালদের জন্যে।
১১। আজও ৬০ লক্ষ গ্রামীন পরম্পরার উতপাদন ব্যবস্থা(যা মোট জনসংখ্যার ৬% মাত্র)র বাজার ১-২ লক্ষ কোটি টাকা।
১২। কর্পোরেটরা এই বাজারটা ধরতে পারছে না বলেই ডান, বাম, মধ্যশ্রেণীর শিক্ষিত মেকলিয় বিপ্লবী-অবিপ্লবী বুদ্ধিমানদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কারিগর হকারদের ওপর ওপর। চাষীরা ৬০ বছর আগে কর্পোরেটিকরণের ঝোঁক আটকাতে পারেন নি - কারিগর আর হকার আজও লড়ে যাচ্ছেন তাঁদের মত করে।
No comments:
Post a Comment