Farida আপু আমায় প্রশ্ন করেছেন, সুশীল চৌধুরীর লেখা/গবেষণা কোথায় পড়লে ? আর কেউ পড়ে না কেন? ব্রিটিশ মিথ্যা অপবাদে ভরপুর ইতিহাস পাঠ থেকে বিরত হয় না কেন শিক্ষিত বাঙ্গালী ?
আমাদের উত্তরছিল
সুশীলবাবুর নিচের দুটো বই পড়াগিয়েছে
১) From Prosperity to Decline_ Eighteenth Century Bengal
এবং
২) Michel Morineauর সঙ্গে Merchants, Companies and Trade_ Europe and Asia in the Early Modern Era
পলাশীর আগের ৫০ বছর এবং তার পরের বাণিজ্য ইত্যাদি বুঝতে ভীষণ সাহায্য করেছে প্রথম বইটা।
সুশীলবাবুর নিচের দুটো বই পড়াগিয়েছে
১) From Prosperity to Decline_ Eighteenth Century Bengal
এবং
২) Michel Morineauর সঙ্গে Merchants, Companies and Trade_ Europe and Asia in the Early Modern Era
পলাশীর আগের ৫০ বছর এবং তার পরের বাণিজ্য ইত্যাদি বুঝতে ভীষণ সাহায্য করেছে প্রথম বইটা।
এতদিন পলাশীপূর্ব বাংলা আর পলাশী সম্বন্ধে আমরা যা জানতাম-
১) পি জে মার্শালের মত বেশ কিছু ইওরোপিয় ও বাঙালি কেম্ব্রিজতাত্ত্বিক পলাশীতে ইংরেজদের স্বার্থ কিছু ছিল না দেখিয়েছেন।
২) লুঠও খুব বেশি ইংরেজ করে নি সেটাও এরা দেখিয়েছেন। বলেছেন ইংরেজ যা নিয়েছে(লুঠেছে) দিয়েছে অনেক বেশি। পলাশী না হলে এই ইওরোপিয় সুবিধেগুলো বাংলা পেত না। পলাশী বাংলার পক্ষে আশীর্বাদ - যা আদতে মধ্যবিত্তের দৃষ্টিভঙ্গী - এবং মুসলমান-অমুসলমান ভদ্রদের পলাশীতে সত্যিই লাভ হয়েছে।
৩) কেম্ব্রিজ তাত্ত্বিকদের বক্তব্য অসীম ধনী ইওরোপিয়রা বাংলায় বিপুল সোনা আনত, সেই সোনা দেখে নবাবদের মাথা খারাপ হয়ে যায় এবং তা দখল করতে যায়। পদে পদে তারা ইংরেজদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।
৪) তাই ইংরেজদের স্বার্থের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা জমিদার, সদাগর ইত্যাদিরা নবাবের ওপর খেপে যায়।
৫) ইওরোপিয়রা সেই বিপুল সোনা আনা কমিয়ে দেওয়ায় এদের স্বার্থে ঘা পড়ছিল। ফলে ইংরেজরা নয় মূলত দেশিয় স্বার্থীরা পলাশি করে।
১) পি জে মার্শালের মত বেশ কিছু ইওরোপিয় ও বাঙালি কেম্ব্রিজতাত্ত্বিক পলাশীতে ইংরেজদের স্বার্থ কিছু ছিল না দেখিয়েছেন।
২) লুঠও খুব বেশি ইংরেজ করে নি সেটাও এরা দেখিয়েছেন। বলেছেন ইংরেজ যা নিয়েছে(লুঠেছে) দিয়েছে অনেক বেশি। পলাশী না হলে এই ইওরোপিয় সুবিধেগুলো বাংলা পেত না। পলাশী বাংলার পক্ষে আশীর্বাদ - যা আদতে মধ্যবিত্তের দৃষ্টিভঙ্গী - এবং মুসলমান-অমুসলমান ভদ্রদের পলাশীতে সত্যিই লাভ হয়েছে।
৩) কেম্ব্রিজ তাত্ত্বিকদের বক্তব্য অসীম ধনী ইওরোপিয়রা বাংলায় বিপুল সোনা আনত, সেই সোনা দেখে নবাবদের মাথা খারাপ হয়ে যায় এবং তা দখল করতে যায়। পদে পদে তারা ইংরেজদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।
৪) তাই ইংরেজদের স্বার্থের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা জমিদার, সদাগর ইত্যাদিরা নবাবের ওপর খেপে যায়।
৫) ইওরোপিয়রা সেই বিপুল সোনা আনা কমিয়ে দেওয়ায় এদের স্বার্থে ঘা পড়ছিল। ফলে ইংরেজরা নয় মূলত দেশিয় স্বার্থীরা পলাশি করে।
সুশীল চৌধুরী মশাই প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন বইতে ইংরেজ ফরাসী ডাচ ইত্যাদি মহাফেজখানা থেকে নেওয়া যথেষ্ট তথ্য দিয়ে এর এক্কেবারে উল্টো মত প্রতিষ্ঠা করেছেন । তাঁর মোদ্দা যুক্তি হল-
১) ইওরোপিয়রা বিশ্ব লুটে বাংলায় মোট যে সোনা এবং বিনিয়োগ আনত বাংলায় সে পরিমান তাদের বাংলার বিপুল ব্যবসার জন্যে যথেষ্ট ছিল না।
২) ইওরোপিয়দের বাংলায় এশিয় নানান ব্যাঙ্কারের কাছে বিপুল পরিমান মোট বিনিয়োগের এক তৃতীয়াংশ অর্থ ধার করতে হত।
৩) ইওরোপিয়দের মোট বাণিজ্য ছিল এশিয়দের অনেক কম।
৪) বাংলায় শুধু অইওরোপিয়দের সোনা দিয়ে ব্যবসা করতে হত না, এশিয় বণিকদেরও একই শর্তে তাদেরো সোনা দিয়েই বাংলায় ব্যবসা করতে হত। মানে একটা লেভেল-প্লেলেয়িং ফিল্ড ছিল - দেশিয় বণিকদের অনাবশ্যিক সুবিধে ছিল না - যে সুবিধেরা এখন বিশ্বায়নের যুগে ইওরোপিয় বণিকেরা নেয়।
৫) তথাকথিত ধনী ইওরোপিয় বণিকদের দুর্দশায় ক্ষুণ্ণ হয়ে বাংলায় পলাশী হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
৬) ইংরেজ আমলাদের রাষ্ট্রীয় ফরমান নকল করে বিনা শুল্কে ব্যক্তিগত ব্যবসা বন্ধ করার উদ্যম নেন নবাবেরা, তার বিরুদ্ধে এবং ডুপ্লের অসীম উদ্যমে ফরাসীদের ব্যবসা ভাগ্য ঈর্ষান্বিত হয়েই ইংরেজরা পলাশী চক্রান্ত করে।
৭) তাই পলাশীর আগে তারা প্রথমে ফরাসডাঙ্গা দখল করে, তারপরে পলাশি করে।
৮ ) পলাশীর দায় সম্পূর্ণ ইংরেজদেরই।
---
ব্যতিক্রমী ঐতিহাসিক সুশীল চৌধুরী মশাইএর ফ্রম প্রস্পারিটি টু ডিক্লাইন বাংলার ভাগ্য বিপর্যয়ের অকথিত কাহিনী। এটা পড়া প্রত্যেক বাঙ্গালির আবশ্যিক কর্ম। বিশেষ করে যে মিথ্যাচার ইওরোপিয়রা আর তাদের বশংবদরা গত আড়াইশ বছর ধরে করে আসছে সে চক্রান্ত জাল ছিন্ন করে আদত তথ্য প্রকাশ করতে এই বই হাতিয়ার হতে পারে।
https://l.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fdrive.google.com%2Ffile%2Fd%2F1mUcCfqBpa0zyedMCkL9t1zBE_geum8r3%2Fview%3Fusp%3Dsharing&h=AT1ExT0fJYz99K_8yHG9iW2hguPweN1VXMLinMKz3T_tZRq9YlD9GI9U4hw6ZJWsLEz7DtMQXoQP0NyVxh_fjZaXirz3GT9JI4_DxNc82Tlq7c4pWHA3n7osa_mlisdw
No comments:
Post a Comment