উপমহাদেশিয় মুঘল ইত্যাদি শাসকদের বিশ্ববিক্ষা নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন ওঠে। মূলতঃ ইওরোমুখ্য আমাদের দিকে এই প্রশ্নগুলি ছুঁড়ে দ্যান। তাঁদের অবগতির জন্যে আকবর পাদশার গ্রন্থাগারের ইওরোপিয় বইএর তালিকা তুলে দেওয়া গেল। যে সব জেসুঈট তাঁকে অবাক করিয়ে দ্যাওয়ার জন্যে উত্তম ছাপা বই নিয়ে এসেছিলেন, তাঁরা যে তাঁরমত অশিক্ষিতর রাজার ইওরোপের ইতিহাস, ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদিতে জ্ঞান আর তার গ্রন্থাগার দেখে হুব্বা বনে গিয়েছিলেন এটা পরিষ্কার। না হলে তৃতীয় ভারত মিশনে আসা জেসুঈট ফাদারদের, আকবর তাঁর গ্রন্থাগার ঘুরিয়ে দেখিয়ে ইওরোপিয় বই নিতে বলতেন না বা ইয়োরোপীয় বেশ কিছু বই উপহারও দিতেন না।
তার প্রচুর ইওরোপিয় বইএর সংগ্রহ ছিল, সেটা তিনি তৃতীয় মিশনে আসা ফাদারদের ঘুরিয়ে দেখান ১৫৯৫ সালে। তাদের বলেন যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারা সেই গ্রন্থাগার থেকে কয়েকটি বই নিতে পারেন। ফাদারেরা আকবরের গ্রন্থাগার থেকে রয়্যাল বাইবেল এবং তার নির্ঘন্টু, সেন্ট টমাস একুইনাসের সুমা এবং অন্যান্য বই, বিদ্বান লেখক ডোমিঙ্গো ডি সোটো এবং ফরসগলিওনের এস এন্টনিনো নানান বই, সিলভেস্টার পোপ(মৃ ১০০৩) এবং কার্ডিনাল ক্যাজনট্যান (১৪৭০-১৫৩৪)এর নানান বই, সেন্ট ফ্রান্সিসের ক্রনিকা, হিস্ট্রি অব পোপ, ল’জ অব পর্তুগাল, আলফান্সো আলবুকার্কের কমেন্টারিজ, জেরোম জেভিযার্সের আত্মীয় ব্রাজিলের মিশনারি নাভারের হুয়ান এসপিলেতা(মৃ ১৫৫৫)র বই, সেন্ট ইগনিসাসের এক্সারসিসিয়া স্পিরিচুয়ালিয়া, জেসুঈট ইমানুয়েল আলভারেজের (১৫২৬-১৫৮২) কন্সটিটিউসনস অব দ্য সোসাইটি এবং ল্যাটিন ব্যাকরণ এবং ইত্যাদি সংগ্রহ করেন।
সূত্রঃ বিমল কুমার দত্ত'র লাইব্রেরিজ এন্ড লাইব্রেরিয়ানশিপ ইন এনসিয়েন্ট এন্ড মেডিভ্যাল ইন্ডিয়া বই সূত্রে জ্ঞানচক্ষু উন্মোচন হল
No comments:
Post a Comment