তৃতীয় খণ্ড
২৯। তৎক্ষণাৎ নির্দেশ পালন কর
জুলফিকার খাঁ বাহাদুর নুসরত খাঁ নির্দেশক্রমে হনুমন্ত(রাও নিম্বালকর),
অবিশ্বাসী সেনাপ্রধান(মারাঠা)র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চললেন। কোনক্রমে তিনি সম্রাটের
শিবিরের চার মাইলের মধ্যে যাচ্ছিলেন। তিনি সম্রাটেকে একটা আবেদন পত্রে লিখলেন, ‘হঠাতই
আমি সম্রাটের সেনা শিবিরের চার মেইল দূর থেকে যাচ্ছিলাম। আমার মনে হল আমি যদি সম্রাটের
সঙ্গে দেখা না করে যাই তা হলে রীতিরিওয়াজ ভাঙ্গা হবে’। তার আবেদনের ওপরেই সম্রাট লিখলেন,
‘তোমার সুআচারের প্রতি দাদ দিয়েই দুটো কথা বলি, তুমি কেন লুঠেরাদের আমার শিবিরের
চার মাইল দূর দিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিলে? এটা খারাপ আচারের লক্ষ্মণ। এটা তোমার
ব্যর্থতা। দ্বিতীয়ত, যে কাজে তোমায় নিযুক্ত করা হয়েছে। সেই কাজে না গিয়ে, তুমি অন্য
কাজের অনুরোধ করছ? তুমি নির্দেশ পালনের অযোগ্য। সর্বশক্তিমানের নির্দেশ পালন কর,
নবীকে অনুসরণ কর, আর সম্রাটের নির্দেশ পালন কর।
৩০। দক্ষিণী আমলার অহঙ্কার
জুলফিকার নুসরত জঙ্গএর সেনাবাহিনীর খররের কাগজ সূত্রে সম্রাট জানতে পারলেন যে,
একজন পাঁচ হাজারি মনসবদার জাঞ্জু খাঁ ডেকানি, কোন প্রথার তোয়াক্কা না করেই তার ভেরিগুলি
মোষের পিঠে চাপিয়ে নুসরত খাঁয়ের সৈন্যের ভেরিগুলির পাশাপাশি নিয়ে চলেছে। সম্রাট
লিখলেন, ‘আমি এতে কি করতে পারি? আমার কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না। আর এতে কেন নুসরত
খাঁ বিরোধিতা করছে? মুখপোড়া আদিবাসী নেতা যতক্ষণনা নিজের তাসহির প্রদর্শন করবে, ততক্ষন
সেই সেনানী নুসরত জঙ্গের সামনে নিজের বাজনা বাজিয়েই যাবে, এটাই আমাদের প্রাপ্য
ছিল। সে যে নুসরত জঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে একতালে কুচ করে যাচ্ছে, সেটা নুসরতের খুব বড়
অপমান।
মন্তব্য - তাসহির হল ঢাক ঢোল বাজিয়ে গাধায় চড়িয়ে সারা শহর ঘোরানো।
No comments:
Post a Comment