দ্বিতীয় খণ্ড
১৫। রাজকীয় বিশেষাধিকারের নিয়ম লঙ্ঘন
কাবুল সুবা থেকে পাঠানো খবরের কাগজ সূত্রে জানা গেল যে, মুহম্মদ মুয়াজ্জম বাহাদুর শাহ, একদিন সভাগৃহ চালাবার সময় মাটি থেকে তার সিংহাসন এক গজ উঁচুতে স্থাপন করে বসতে শুরু করেন। সম্রাট তার জোড়াপাতায় লিখলেন(কবিতা)
‘শুধুই ইচ্ছেয় আমাদের স্বপ্নগুলি পূরণ হয় না,/ প্রত্যেক পদক্ষেপে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ ধন্য হতে হয়।/ কোন আসনই তুমি (শুধুই)তাড়াহুড়ো করে আপন করে নিতে পার না,/ যতক্ষণ না তুমি মহত্বর প্রত্যেক চরিত্রকে একসঙ্গে জড়ো কর।
খুবই বিস্ময়কর যে, বহু বছরের বন্দী দশা এই দাম্ভিক মনের গর্বিত এবং বোকাটা(শাহজাদা)কে রূপান্তরিত করতে পারে নি। দুটি কঠোর দণ্ডধারীকে এখুনি পাঠাও যাতে তাকে অবিলম্বে খোলা রাজসভার সিংহাসন থেকে তাকে নামিয়ে দেয় এবং তৎক্ষণাৎ সেই মঞ্চটি সেইখানেই ভেঙ্গে দেয়। তারা যদি সেখানে(কাবুলে) পৌঁছে দেখে তখন রাজসভা চলছে না, ততক্ষণ তারা সেখানে থাকবে, যতক্ষণ না রাজসভা শুরু হচ্ছে; তারা অপেক্ষা করবে, এবং সে(শাহজাদা) যা করেছে, তার প্রতিদান হিসেবে, রাজসভা শুরু হলেই আমার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। প্রয়াত সম্রাট শাহজাহান যেভাবে পুত্রদের প্রতি যে অমনোযোগিতা, অসাবধানতা দেখিয়েছেন, তাতে বিভিন্ন পদের ক্ষমতার বিন্যাস পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে, এবং নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মাথারা আজ ভৃত্যে পরিণত হয়েছে’।
(চলবে)
No comments:
Post a Comment