বন্দনা
মধুমাখা প্রেমকথা যোগাও খোদা অন্তরে। দয়া কর এ
উদাসে রে।
বন্দি আমি চারটে কোরান। বন্দি আমি
ঈশা, মুশা, দাউদ, নবি। দয়া কর এ উদাসে রে।
বন্দি আমি ঐ আসমানে – চন্দ্র সূর্য রয় যেখানে। বন্দি আমি জনে জনে, বন্দি পিতামাতারে। দয়া কর এ উদাসে রে।
বন্দি আমি উস্তাদগুরু তিনি হচ্ছেন কল্পতরু। তিনার নামে করলাম শুরু – সোলেমান কয় কাতরে। দয়া কর এ উদাসে রে। (সোলেমান
ফকির)
মুর্শিদা বিনা তালা খুলবে কেমন করে। তোমার মনের
বেড়া লাগাও শক্ত করে।
যেদিকে ঘুরাই আঁখি, সেদিকে দেখি মুর্শিদ। (হালিম মিঞা)
প্রত্যেকে ভালবাসা দিয়েছেন, অনেকে পথ দেখিয়েছেন! শুরু থেকে হামাগুড়ি দিয়ে দিয়ে ব্লগটিকে সযত্নে বয়ে নিয়ে চলেছি আমরা। প্রচুর শিখেছি। আজও শিখছি। যারা উৎসাহ দিয়েছেন, যারা চাবুক মেরে আমাদের শেখাতে চেয়েছেন, যারা নীরবে এসেছেন, দেখেছেন, কিছু পেয়েছেন, অথবা পাননি, নীরবেই চলে গিয়েছেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ। আপনাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে কিছু শিখতে পেরেছি।
২০০৯ থেকে এই ২০১৩, এই চার বছর কখনো দৌড়েছি, কখনো থমকে দাঁড়িয়েছি, অধিকাংশ সময়ে একটি দলের হয়ে, একা হাতে পুরো ব্যাপারটা চালিয়ে নিয়ে গিয়েছি। আসলে আমরা, কলাবতী মুদ্রার নথিকরণ দল, লোকফোক এবং আমি, বিশ্বেন্দু একটা অসমাপ্ত কাজ করে চলেছি, তাঁর নাম দ্বিতীয় ইতিহাসঃ লুঠেরা ইংরেজ, সাথী মধ্যবিত্ত, সাংস্কৃতিক গণহত্যা আর গ্রামীন স্বাধীণতা সংগ্রাম।
গ্রামীণদের দৃষ্টিতে বাংলার যে ইতিহাস আমাদের পূর্বজরা ধরে গিয়েছেন, ছেড়ে গিয়েছেন প্রচুর ইঙ্গিত, যে গ্রামের মানুষ কয়েক হাজার বছর ধরে গায়ে গতরে খেটে, অসম্ভব বৌদ্ধিক মেধায় তৈরি করেছেন টিকে থেকে বিশাল এক জ্ঞান সম্পদ তৈরি করার প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়া দেখার চেষ্টা করেছি আমাদের মত করে, এই কাজ করতে গিয়ে আমাদের কেউ জীবন যাপনের প্রক্রিয়ায় মাঝে ছিটকে গিয়ে আবার ফিরে এসেছে, কেউ এক্কেবারে পেছনের সারিতে থেকে মাথায় ছাতা ধরে আছে পরম মমতায়, যেমন করে এসিয়রা বিশ্বকে মায়ের মমতায় বয়ে নিয়ে আসছিলেন ১৭৫৭ পর্যন্ত, সেই মেধাটাগুলোকে আমরা ধরার চেষ্টা করেছি যে ইতিহাসে বইএর মাধ্যমে, সেই বই-ইতিহাসের মুখপত্র হিসেবে এই ব্লগ বিগত চার বছর কাজ করেছে আগামিদিনে করবে।
এ সুযোগে কেন, কোন প্রণোদনায় এই কাজটি আমরা করলাম, তার বাখান করব কয়েকটি পোস্ট ধরে।
No comments:
Post a Comment