ইতিমধ্যে রবার্ট ম্যাকনামারার বিশ্ব বড় পুঁজি বিনিয়োগের দিকনিরদেশের নিয়ন্তা হিসেবে উত্থান ঘটল। আসলে পুঁজির যে সামরিকীকরণ ঘটছিল বিশ্বজুড়ে সম্পদ, বাজার দখলের লড়াইতে, সেখানে বড় পুঁজির একটি সামাজিক মুখ তৈরি করা জরুরি হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। সেই কাজটি অসম্ভব দক্ষতায় সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন, বড় পুঁজির তাত্বিক এই মানুষটি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার সেনা বাহিনীতে বিমান দপ্তরের পূর্ব-এশিয়ায় বিশ্লেষকের চাকরি করেন ম্যাকনামারা। সেখান থেকে ফোরড মোটর কোম্পানির প্রধান। ফোরড পরিবারের বাইরে তিনিই একমাত্র ফোরড মটরসের ডিরেক্টর। ১৯৬০এ কেনেডি তাকে প্রতিরক্ষা সচিব করে সরকারি কাজে ফিরিয়ে আনেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকাকে জড়িয়ে ফেলএন ম্যাকনামারা। ভিয়েতনাম যুদ্ধের উত্তুঙ্গ সময়েই কেনেডির স্ত্রীর সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখন তিনি বিশ্বব্যাঙ্ক প্রধানের চাকরিতে যান। ১৯৬৮ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন।
তাঁর সময়ে বিশ্বব্যাংক প্রথম পুঁজি বিনিয়োগে দারিদ্র দূরীকরণকে অন্যতম শর্ত হিসেবে চিহ্নিত করে। তাঁর অন্যতম নীতি ছিল In order to do good, you may have to engage in evil। আজকের বড় পুঁজির লব্জ, ইনক্লুসিভ গ্রোথ তত্বের(এই লব্জটি যদিও অনেক পরের তৈরি) সর্বপ্রথম প্রবক্তা তিনি। গরিবি হটাওকে ঘোমটা করে, বিশ্বে কর্পোরেট পুঁজি বিনিয়োগের, প্রযুক্তি প্রয়োগের নতুন দিশা নির্দেশ করেছিলেন ম্যাকনামারা। তিনি ফোরড কোম্পানির উৎপাদনের দর্শন ছড়িয়ে দিলেন বড় পুঁজি নির্ভর, সহজে লাভ কামানোর নানান উদ্যমে। কনভেয়ার বেল্ট নির্ভর শিল্প হিসেবে অন্যান্য শিল্প-সেবা পরকাঠামো দর্শন গড়ে উঠতে লাগল। সাধারণ কর্মীদের আরও বেশি বিনিয়োগ করে দক্ষ করে তোলার প্রয়োজন হল না। ফলে গাড়ি কারখানার ছাঁটাই শ্রমিককে কাজে লাগাতে পারল চট জলদি খাবার শিল্প বা স্বাস্থ্য শিল্প।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার সেনা বাহিনীতে বিমান দপ্তরের পূর্ব-এশিয়ায় বিশ্লেষকের চাকরি করেন ম্যাকনামারা। সেখান থেকে ফোরড মোটর কোম্পানির প্রধান। ফোরড পরিবারের বাইরে তিনিই একমাত্র ফোরড মটরসের ডিরেক্টর। ১৯৬০এ কেনেডি তাকে প্রতিরক্ষা সচিব করে সরকারি কাজে ফিরিয়ে আনেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকাকে জড়িয়ে ফেলএন ম্যাকনামারা। ভিয়েতনাম যুদ্ধের উত্তুঙ্গ সময়েই কেনেডির স্ত্রীর সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখন তিনি বিশ্বব্যাঙ্ক প্রধানের চাকরিতে যান। ১৯৬৮ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন।
তাঁর সময়ে বিশ্বব্যাংক প্রথম পুঁজি বিনিয়োগে দারিদ্র দূরীকরণকে অন্যতম শর্ত হিসেবে চিহ্নিত করে। তাঁর অন্যতম নীতি ছিল In order to do good, you may have to engage in evil। আজকের বড় পুঁজির লব্জ, ইনক্লুসিভ গ্রোথ তত্বের(এই লব্জটি যদিও অনেক পরের তৈরি) সর্বপ্রথম প্রবক্তা তিনি। গরিবি হটাওকে ঘোমটা করে, বিশ্বে কর্পোরেট পুঁজি বিনিয়োগের, প্রযুক্তি প্রয়োগের নতুন দিশা নির্দেশ করেছিলেন ম্যাকনামারা। তিনি ফোরড কোম্পানির উৎপাদনের দর্শন ছড়িয়ে দিলেন বড় পুঁজি নির্ভর, সহজে লাভ কামানোর নানান উদ্যমে। কনভেয়ার বেল্ট নির্ভর শিল্প হিসেবে অন্যান্য শিল্প-সেবা পরকাঠামো দর্শন গড়ে উঠতে লাগল। সাধারণ কর্মীদের আরও বেশি বিনিয়োগ করে দক্ষ করে তোলার প্রয়োজন হল না। ফলে গাড়ি কারখানার ছাঁটাই শ্রমিককে কাজে লাগাতে পারল চট জলদি খাবার শিল্প বা স্বাস্থ্য শিল্প।
ভারত এই চক্রে
ঢুকবে বহুকাল পরে, আইএমএফের অবসরকালীন ভাতাখাওয়া, এক প্রাক্তনীর হাত ধরে। এই আমলা,
আটের দশকে সউথ-সউথ সমীক্ষা লিখে বামপন্থী জগতে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন। তিনি মনমোহন সিং।
ইন্দিরা পথের উল্টো দিকে ঘুরে রাজীব যে পথের সুচনা করেছিলেন, সেই পথকে মহাসড়কে
পরিনত করবেন প্রথমে নরসিংহ-মনমোহন জুড়ি। নতুন সহস্রাব্দে
মনমোহন-চিদাম্বরম-প্রণব-মন্টেক ঘোঁট তাকে পৌঁছে দেবেন নবতম উচ্চতায়।
চক্ষুলজ্জাহীনভাবে ভারতে শুরু হবে কর্পোরেট বন্দন এবং তাকে যতটা পারা যায় সুবিধা
দেওয়ার রাজনীতি।
এই বিশ্বায়নের রাজনীতির বলি হলেন ২২ লক্ষ তাঁতিসহ আরও আড়াই কোটি দক্ষ গ্রামীণ। ভারতে এখন প্রয়োজন
অনেক শিল্প আর শহর গড়ার বেশি শ্রমিক। তাই পারম্পরিক শিল্প থেকে ছাঁটাই করে যত
সম্ভব শিল্পীকে পরিকাঠামো শিল্পে জুড়ে দেওয়া যাবে, ভারত তত বেশি করপোরেটাইজেসনের
দিকে এগোতে থাকবে। গ্রাম ধংস করে সহরীকরনের যে তত্ব আর দর্শন ভারত সরকার আর ভারতের
রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে, সেই দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখতে হবে এই বস্ত্র
শিল্পীদের কমার ঘটনা। এর সঙ্গে জুড়েছে মিল মালিকদের স্বার্থ। মিল মালিকদের স্বার্থ
আসলেতো কর্পোরেট স্বার্থ। আর এখন কর্পোরেট স্বার্থ দেখা সরকারের প্রাধান্য। দেশ
জোড়া হাতে টানা তাঁতিদের সংগঠন নেই বললেই চলে। তাই সরকার এদের বাজেট বরাদ্দ বছরের
শেষে কেটে মিল মালিকের জন্য ব্যয় করে। কেউ বলার নেই। শুধু বঙ্গীয় পারম্পরিক কারু ও বস্ত্র শিল্পী সঙ্ঘ ছাড়া।
No comments:
Post a Comment