পাটনার আফিম কারখানা এবং গুদামের কিছু চিত্র। মাঠ থেকে আনা আফিমের ১কিলোর তাল বানানো হত। ৪০টি তাল নিয়ে হত একটি বাক্স। সেটির নাম চেস্ট। এটি পাইকারি ব্যবসার একক হিসেবে ধরা হত। কর্নওয়ালিশ ভারতে আসার আগে, ১৭৯০ সালে চিনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অবৈধ আফিম রপ্তানি ছিল ৪০০০ চেস্ট। ১৮২০তে কর্নওয়ালিশের সরকারি নীতির ফলে এই পরিমান বেড়ে দাঁড়াল প্রায় দুগুণের কাছাকাছি। ত্রিশের দশকে সেই রপ্তানি আরও বাড়তে শুরু করল এবং ১৮৩৪এ কোম্পানির ভারত বাণিজ্যের একচ্ছত্র আধিপত্য শেষ হয়ে যাওয়ার পর, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আরও বেশি করে আফিম অবৈধ আফিম ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে শুরু করল। প্রথম আফিম যুদ্ধের আগে প্রায় ইংরেজ রাজশক্তি বছরে ভারত থেকে প্রায় ৪০,০০০ চেস্ট রপ্তানি করত। ব্রিটিশদের হিসেবে সেসময় চিনে কম করে এক কোটি আফিম সেবী রয়েছে যার মধ্যে ২০ লক্ষ আফিম মৌতাতে পুরোপুরি আসক্ত।
১৮০০ থেকে ১৮৩৯ সালের মধ্যে আমেরিকার ব্যবসায়ীরা চিনে সরবরাহ করেছিল দশ হাজার চেস্ট আফিম। এবার ভারত থেকে অবৈধ আফিম রপ্তানির লেখাজোখা ১৭৭৩এ ১০০০ চেস্ট, ১৭৯০তে ৪০০০ চেস্ট, ১৮২০র দশকের আগে ১০,০০০ চেস্ট, ১৮২৮এ ১৮,০০০ চেস্ট, ১৮৩৯এ ৪০,০০০ চেস্ট, ১৮৬৫তে ৭৬,০০০ চেস্ট, ১৮৮৪তে ৮১,০০০ চেস্ট। ১৮৮১তে এই রপ্তানি সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছয়(সূত্র চাইনিজ রাউন্ডএবাউট, জনাথন স্পেন্স)।
প্রথম চিত্রে সেই তালগুলো আলাদা আলাদা করে শুকনো করার জন্য প্রথম চিত্রে রাখা হয়েছে। পাশেরটিতে সেগুলো পরিবহনের চিত্র।
নিচেরটিতে তালগুলো কি ভাবে রাখা হত, তার নিদর্শন। লক্ষ্য করুন কি বিশাল এই তাল রাখার তাকগুলি।
কোম্পানি আমলে আফিম ব্যবসায় পাটনা একটা বড় নাম। সোরা ব্যবসায় পাটনাও সব থেকে বড় বিশ্ব পাইকারি বাজার।
সেই স্মৃতি স্মরন করতে কতোগুলো ছবি তুলে দেওয়া গেল।
এটি প্রথম অংশ।
আরও কতগুলো দ্বিতীয় অংশে তুলে দেওয়া যাবে।
No comments:
Post a Comment