পাঁচশালা বন্দোবস্ত বিফল হওয়ার ১৭৭৪এ কোম্পানির সুপ্রিম
কাউন্সিলএর সদস্য, হেস্টিংসএর চরম শত্রু, ফিলিপ ফ্রান্সিস, ভারতে আসেন। অনেকেই কর্নওয়ালিসকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের জনকরূপে বর্ণনা করলেও আদতে ফিলিপ
ফ্রান্সিসকে বাঙলা সুবায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের জনক বলাচলে। ১৭৭৬এ কলকাতা কাউন্সিলের কাছে বিশদে রাজস্ব ব্যবস্থার ছক পেশ করেন ফিলিপ। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হেস্টিংস-বারওয়েল পরিকল্পনাকে বানচাল করতে
ফ্রান্সিসএর এই প্রস্তাব। ফিলিপের প্রস্তাবের কেন্দ্রে ছিলেন
জমিদারেরা। তাঁর যুক্তি, জমিদার আদত জমির মালিক। শাসক ভূমিরাজস্বের হকদার কিন্তু মালিক নন। কেড়ে নেওয়া দেওয়ানির অধিকার তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। তিনি বাঙলা সুবায় কোম্পানির রাজস্ব হিসাব কষলেন ৩,১০,৬৪,২৩২টাকা। সরকারের প্রয়োজন অনুসারে রাজস্ব কী হবে তাও সরকারকে ঠিক করার পক্ষে মত দেন। তবে জমিরাজস্বের বিস্তৃত হস্তবুদ তৈরির বিপক্ষে মত ছিল তার, তিনি বিগত তিন
বছরের কর আদায়ের গড় থেকে এই রাজস্ব নির্ধারনের পক্ষে ছিলেন। ব্রিটেনে গিয়ে তিনি তার পরিকল্পনার প্রচার চালান। ১৭৭৬এর ২২ জানুয়ারি ফ্রান্সিসের পরিকল্পনা বিখ্যাত মিনিটে বিস্তারিত পেশ
হয়। প্রধাণমন্ত্রী পিট আর বোর্ড আর কন্ট্রোলএর প্রধাণ
হেনরি ডান্ডাস তার পরিকল্পনায় বেশ প্রভাবিত হন। তাঁর সবকটি প্রস্তাব গৃহীত না হলেও, মোদ্দাপ্রস্তাবগুলি কিন্তু কোম্পানি
মেনে নেয়। তাই ফ্রান্সিসকে বাঙলার ভূমিব্যবস্থা
ধংসের প্রধাণ প্রক্রিয়া চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অন্যতম কারিগর বলা চলে। ১৭৭৬এ হেস্টিংস, ডি এন্ডারসন, চার্লস ক্রফটস, জর্জ বগলকে নিয়ে আমিনি কমিশন
গঠণ করেন। ২৫ মার্চ আমিনি কমিশন তার সমীক্ষা
পেশ করে।
ফিলিপ ফ্রান্সিস
No comments:
Post a Comment