প্রথম জীবণে সাম্রাজ্য হাত উপুড় করে দ্বারকানাথকে যে সম্মান, প্রতিপত্তি, ধন, সম্পদ, প্রতিষ্ঠা দিয়েছে, সেই ঠাট বজায় রাখতে, তাকে শেষ বয়সে বিপুল পরিমাণ ঋণ করেও সাম্রাজ্যের বন্ধুত্বের সম্মান রাখতে হচ্ছে (পিতার সহিত দেবেন্দ্রনাথের সম্বন্ধ বিষয়ে তাঁহার একজন চরিতাখ্যায়ক লিখিতেন, ‘শুনিয়াছি যে দেবেন্দ্রনাথ কোন দিন তাঁহার পিতার সম্বন্ধে বিশেষ কোন প্রসঙ্গের উত্থাপন করিতেন না। একদিন শুধু বলিয়াছিলেন যে, পিতা ইংলন্ডে থাকিতে তাঁহার হাতখরচের জন্য মাসিক লাখ টাকা করিয়া তাঁহাকে পাঠাইতে হইত। সুতরাং লোকে যে তাঁহাকে ‘প্রিন্স’ বলিয়া ডাকিবে, তাহাতে আর আশ্চর্য্য কি!’ - মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী, সতীশচন্দ্র চক্রবর্তীর পরিশিষ্ট)। সঙ্গে জুড়ল দ্বারকানাথের মৃত্যুর পর প্রায় সবকটি ব্যবসার গণেশ ওলটানোর ঋণ(মহর্ষি আত্মচরিতে বলছেন কোম্পানিগুলোর গণেশ ওলটানোয় ঠাকুর বাড়ির ঋণ ১ কোটি আর পাওনা ৭০ লক্ষ। অর্থাৎ দেনা ৩০ লক্ষ।)।
যতদিন দ্বারকানাথ বেঁচে ছিলেন ততদিন নিজের ব্যক্তিত্ব এবং খুঁটির জোরে বেঁচেছেন। কিন্তু সেই সবকটি ঋণ, কড়ায় ক্রান্তিতে ফেরত দিতে হয়েছিল দেবেন্দ্রনাথেদের। দেবেন্দ্রনাথ নিজে বলছেন, তাঁর উচ্ছৃঙ্খল কর্পোরেট পিতার শেষ ঋণটি শোধ করে গিয়ে প্রায় জেলে যেতে হয়েছিল এবং আঙ্গুলের শেষ আংটিটি বাঁধা রাখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন(দেবেন্দ্রনাথের অঙ্গুলিতে একটি বহুমুল্য অঙ্গুরীয় ছিল। তাঁহার বিষয় সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত করিবার সময়ে তিনি এই অঙ্গুরীটি সেই তালিকাভুক্ত করিতে ভুলিয়া গিয়াছিলেন। যখন গর্ডন সাহেব সভার মধ্যে তাঁহাদের বিষয় সম্পত্তির তালিকা পাঠ করিতেছিলেন, তখন দেবেন্দ্রনাথ সভাতে গাত্রোত্থান করিয়া বলিলেন, ‘আমার অঙ্গুলিতে একটি বহুমুল্য অঙ্গুরী আছে; তালিকা প্রস্তুতের সময়ে আমি তাঁহার উল্লেখ করিতে ভুলিয়া গিয়াছিলাম। এই অঙ্গুরিও তালিকাভুক্ত করুন।’ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী, সতীশচন্দ্র চক্রবর্তীর পরিশিষ্ট)। তাও সম্ভব হয় নি। অন্য এক পারিবারিক বন্ধু সেই দায় নেন। ফলে দ্বারকানাথ তাঁর সন্তানদের কাজকর্ম দিয়েই হয়ত অনুভব করতে পারছিলেন যে তাঁর উত্তরসূরীদের তাকে মনে রাখার কোনও কারণ নেই।
যতদিন দ্বারকানাথ বেঁচে ছিলেন ততদিন নিজের ব্যক্তিত্ব এবং খুঁটির জোরে বেঁচেছেন। কিন্তু সেই সবকটি ঋণ, কড়ায় ক্রান্তিতে ফেরত দিতে হয়েছিল দেবেন্দ্রনাথেদের। দেবেন্দ্রনাথ নিজে বলছেন, তাঁর উচ্ছৃঙ্খল কর্পোরেট পিতার শেষ ঋণটি শোধ করে গিয়ে প্রায় জেলে যেতে হয়েছিল এবং আঙ্গুলের শেষ আংটিটি বাঁধা রাখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন(দেবেন্দ্রনাথের অঙ্গুলিতে একটি বহুমুল্য অঙ্গুরীয় ছিল। তাঁহার বিষয় সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত করিবার সময়ে তিনি এই অঙ্গুরীটি সেই তালিকাভুক্ত করিতে ভুলিয়া গিয়াছিলেন। যখন গর্ডন সাহেব সভার মধ্যে তাঁহাদের বিষয় সম্পত্তির তালিকা পাঠ করিতেছিলেন, তখন দেবেন্দ্রনাথ সভাতে গাত্রোত্থান করিয়া বলিলেন, ‘আমার অঙ্গুলিতে একটি বহুমুল্য অঙ্গুরী আছে; তালিকা প্রস্তুতের সময়ে আমি তাঁহার উল্লেখ করিতে ভুলিয়া গিয়াছিলাম। এই অঙ্গুরিও তালিকাভুক্ত করুন।’ মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী, সতীশচন্দ্র চক্রবর্তীর পরিশিষ্ট)। তাও সম্ভব হয় নি। অন্য এক পারিবারিক বন্ধু সেই দায় নেন। ফলে দ্বারকানাথ তাঁর সন্তানদের কাজকর্ম দিয়েই হয়ত অনুভব করতে পারছিলেন যে তাঁর উত্তরসূরীদের তাকে মনে রাখার কোনও কারণ নেই।
শেষ পর্যন্ত তিনি লন্ডনে ব্রিটিশ পোস্ট অফিসে মাত্র দুঘণ্টায়
দুলাখ চিঠিপত্র বিলির ব্যবস্থা প্রত্যক্ষ করেন। ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের কাজও
দেখেন। দেখেন নোট ছাপানর পদ্ধতি। রেল ব্যবস্থা দেখেন। লিভারপুলে রেল ইঞ্জিন তৈরির
কারখানায় যান। সামরিক এবং অসামরিক জাহাজ নির্মান কারখানাও দেখেন। আরও অনেক কাজ
কারবার দেখেন যা এই প্রবন্ধের উল্লেখের বিষয় নয়। তাঁর মত উদ্যোগী কর্পোরেট
সংস্কৃতিঋদ্ধ মানুষ, সাম্রাজ্যের মূল কেন্দ্র, মেট্রপলিটনে গিয়ে যে যে কাজগুলি
করার দরকার, ঠিক সেই কাজগুলি মন দিয়ে করেছেন।
No comments:
Post a Comment