গেটস ফাউন্ডেসনের অন্যতম নির্দেশক তার বাবা। তিনিই তার
দূরদৃষ্টি প্রয়োগ করে বিশ্ব থেকে ক্ষুধা
দূর করতে উৎসুক। তাই ২০০৬ থেকে মনসান্তোর এক আমলা রবার্ট হর্শের নেতৃত্বে,
ফাউন্ডেসন ২৬৪.৫ কোটি ডলার(www.gatesfoundation.org/about/Documents/BMGFFactSheet.pdf) বিনিয়োগ করেছে আফ্রিকা অ্যাগ্রা প্রকল্পে। ঘোষিত উদ্দেশ্য
ক্ষুধা তাড়ানো। লা ভিভা ক্যাম্পেনেসিয়া বলছে ৭০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োজিত হচ্ছে
কেনিয়ায় মনসান্তো মার্ফত। এবং গেটস ফাউন্ডেসনের ৮০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োজিত হচ্ছে জৈব
কারিকুরিতে(বায়োটেকনোলজিতে) (http://www.organicconsumers.org/articles/article_21606.cfm)।
এছাড়াও ২০১০ সালে হাইতির ভূমিকম্পের পর ফাউন্ডেসন ঘোষণা
করে, তারা গ্লোবাল আগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিওরিটি প্রোগ্রামে ৮৮০ মিলিয়ন ডলার
বিনিয়োগ করবে। যে প্রকল্পের উদ্বোধন হয় হাইতিতে। যার অর্থ আরও বেশী জিএমও বীজের
প্রয়োগ। ২০০৩এ জিএম বীজ আর খাদ্য গবেষণায় ২৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে যার উদ্যেশ্য
বিশ্বের ক্ষুধার্ত জনগণকে ভিটামিন এবং প্রটিন সমৃদ্ধ খাদ্য দেওয়া যায়(দুর্বারকে
এইডস নিয়ন্ত্রণে, বীরভুমের পথ সমিতিকে চাল বিষয়ে গবেষণায়, জলপাইগুড়িতে সেচে ফাউন্ডেসনের
সাহায্যকর্মের দিশা কিন্তু লক্ষ্যনীয়)। ২০০৮এ গেটস ফাউন্ডেসন, গম জিএম বীজ গবেষণায়
কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়কে ২৬.৮ মিলিয়ন ডলার দান করে। ভুট্টার পর মনসান্তোর অন্যতম
লক্ষ্য গমের জিএম বীজের বিকাশ(http://www.organicconsumers.org/articles/article_21606.cfm)।
তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরন করেই কখনও টিকা দিয়ে, ওষুধ
প্রয়োগের মাধ্যমে, বীজের জিন নিয়ন্ত্রণ করে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে, আবহাওয়া
নিয়ন্ত্রণ করে, বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়িয়ে কমিয়ে মানুষের জীবনকে নানান ভাবে
নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন বিল গেটসের ফাউন্ডেসন। ঘোমটা ক্ষুধা মেটানো। কেউ কেউ বলেন
গেটসের আদত উদেশ্য আরও আরও অর্থ, কেউ আবার বলেন ক্ষমতা।
No comments:
Post a Comment