এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের বাচ্চাওয়ালি কামানের কথা আমরা আলোচনা করতে পারি।
এই কামানটি ননাব বাহাদুরের প্রাসাদ এবং ইমামবাড়ার মধ্যের মাঠে দুটি স্তম্ভের ওপর
শোয়ানো রয়েছে। মসনদ অব মুর্শিদাবাদের লেখক পি সি মজুমদার(১৯০৫) বলছেন, এই কামানটি
গৌড়ের শাসক চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতকের মধ্যে কোনও এক সময়ে তৈরি করিয়ে ছিলেন। সেই
পুস্তক থেকে কামানটির বর্ননা তুলে দেওয়া গেল, ‘...কন্সিস্টিং অব টু পিসেস অব
ডিফারেন্ট ডায়ামেটার্স। দ্য স্মলার পর্সান, হুইচ ইজ দ্য চেম্বার্স, ইজ ৩ ফিট
অ্যান্ড ৭ ইঞ্চেস লং উইথ আ গার্থ অব ৪ ফিট অ্যান্ড ৪ ইঞ্চেস; অ্যান্ড দ্য লার্জার
পোর্সান, নেমলি দ্য ব্যারেল, ইজ ১১ ফিট অ্যান্ড ৬ ইঞ্চেস লং উইথ আ গার্থ অ্যাট দ্য
মাজ়ল অব ৭ ফিট অ্যান্ড ৯ ইঞ্চেস। দ্য ডায়ামেটার অব দ্য বোর অ্যাট দ্য মাজ়্ল অব
১ ফুট অ্যান্ড ৭ ইঞ্চেস। দ্য টাচ হোল হ্যাজ় বিন প্লাগড উইথ মেল্টেড আয়রন। ইলেভেন
রিংস বাইন্ড দ্য রট আয়রন বারেল, দ্য ইনার সার্ফেস অব হুইচ বিয়ার্স অ্যামপ্ল
এভিডেন্স অফ দ্য গান্স গ্রেট অ্যান্টিকুইটি। দ্য রিম সাউন্ড দ্য মঅ্যাল ইজ়
অরনামেন্টেড উইথ পেটালস, হোয়াইল ওয়ান অব দ্য রিংস রিজেমব্লসআ স্ট্রিং অব বিডস। অন
দ্য আপার হাফ অব দ্য ব্যারেল সার্ফেস, নিয়ার দ্য মাজ়ল, ফর্টিন লাইন্স, সেভেন অন
ইচ সাইড, ইনলেড উইথ ব্রাস। এইট স্মলার রিংস আর আটাচড অ্যাট ভেরিয়াস পয়েন্টস। দ্য
ব্রিচ প্লাগ ইজ ড্রিভন আন্টিল ইতস ক্যাম্ফার্ড এন্ড ডোভটেলস অ্যান্ড ফিটস টাইটলি
ইন্টু দ্য চেমবার্স অব দ্য ব্যারেল, হুইচ আর টায়েড টুগেদার উইথ দ্য রিংস আটাচড টু
ইচ।’
এই কামানটি প্রযুক্তিক দিক থেকে একটি অত্যাশ্চর্য বস্তুবিশেষ। আমার জ্ঞান
বলে এটি আধুনিক কালের আগে তৈরি একটি মাত্র কামান যেটি ব্রিচ লোডেড কামান। ১৭৬০
পর্যন্ত ব্রিটিশরা মাজ়ল লোড কামান ব্যবহার করত। আমি মোটেই বুঝতে পারছি না, কিভাবে
ব্রিচ ব্যারেল না ফাটিয়ে কামান থেকে গোলা ছোঁড়া হত। কামানটি তৈরিটি খুব একটি
উচুদরের কাজ নয়। কিভাবে তৈরি হয়েছে তা, কামানের ধাতুর পরীক্ষা না করে বলা যাবে না।
মুর্শিদাবাদেরই জাহানকোষায় যে ধরণের রিবেরমত(টান্সভার্স মার্কিং) দাগ রয়েছে, সেই
ধরণের দাগও বাচ্চাওয়ালিতে রয়েছে। মুঙ্গেরে যেভাবে ছোট ছোট বন্দুক তৈরি করা হয়, সেই
ভাবেই হয়ত রট আয়রনের পাতগুলিকে গোল করে বেঁকিয়ে পরপর রেখে ড্রিল করে দেওয়া হয়েছে।
কামানের চোঙার(ব্যারেল) দুপাশে দুটি আশ্চর্য লাইন রয়েছে। আমার ধারণা প্রথমে
ব্যারেলের দুটি অর্ধ ঢালাই করে এই লাইন ধরে দুটিকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজেন্দ্রলাল মিত্র
বলছেন বংলা সুবার ওড়িশার মেয়েরা যে খারু পরে সেটি অবশ্যই লোহার তৈরি। এ ছাড়াও তিনি
বলছেন কালিকা পুরাণে বলা হয়েছে পিট রোগ(জন্ডিস), অ্যানাসার্কা এবং রক্তাল্পতা (এ্যানিমিয়া)
সারাতে লোহার বাসন ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment