সুত্রঃ গুরুচন্ডালীর ইপ্সিতার একটা লিঙ্ক দেখলামhttp://www.youtube.com/ watch?v=TlNQQyMaGis। আজিম প্রেমজীর বিশ্ববিদ্যালয়ে হর্ষ মন্দারের ভাষন - বৈষম্যবাদী ভারত। সেই সুত্রে এই লেখা লেখা।
অহো! কি হর্ষ! ধনকুবেরতম আজিম প্রেমজির বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের এক প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্ট বৈষম্যবাদী ভারত বিষয়ে পরম বক্তা! ডান হাতের তর্জনী তোলা, বোধহয় ঈশ্বরের দিকে। বিশ্বায়নের যুগে ঈশ্বরই একমাত্র সহায়। গনআন্দোলন কথার কথা। সুশীল সমাজের শহুরে সব আন্দোলনের মিছিল শেষ হয় ক্ষমতার পায়ে। কেউ যান ১০ জনপদ রোডে, কেউ যান আজিম প্রেমজ়িকে বোঝাতে, কেউ অন্য কোনওখানে, যেখানে ক্ষমতা কথা বলে, কাজ করে। বিশ্বায়নে জনগণের প্রভাব তুশ্চু!
বছর দশেক আগে হাতে আসে আইটিসির বাৎসরিক সমীক্ষা। সেই মহার্ঘ কর্পোরেট প্রকাশনায়, মহা মমতায়, সুশীল সমাজের ভাষায়, নানান ভাবে ভারত সমাজের কথা, জৈব চাষের কথা, লাভ এবং উন্নয়নের ফল ভাগাভাগির কথা কি গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছিল! চমৎকার সব বাণী!
ঘোমটা পরা অদ্ভুত উন্নয়নরঙ্গ!
গতকাল ভাজপার যে সাংসদকে চাড্ডি গালি দিয়েছি, আজ সে হয়ত মুলায়েম বা বাম দলে ভিড়ে অপুর্ব ধর্মনিপেক্ষ ছাপ পাচ্ছেন। কয়েক দশক আগে মায়াবতী ভাজপার বান্ধবী, আজ তিনি কংগ্রেসের ত্রাতা। সুশীল সমাজও জলে গল।
গতকাল যারা নিপীড়নমুখী ভারত রাষ্ট্রের প্রতাপী আমলা, আইসিএসদের উত্তরসূরী (অবোধ তারা জানতেন না কি চাকরি নিচ্ছেন!), তারা আজ সে ঘৃণিত কাজ ত্যাগ করে, ভারত সুধী সমাজের মননীয় মুখপত্র। বিশাল সব পুরস্কার জয় করছেন অবহেলে। সক্কলে সুশীল সমাজত্রাতা নেতা। শহুরে সমাজ এই আত্মবলিদানে অসম্ভব উদ্বাহু!
কাল ন্যাকের সদস্য! আজ পদত্যাগ করে ন্যাকা সাজা। যেন জানতেন না যে ন্যাক শুধুই নীতি প্রস্তাবকারী সংগঠন। নীতি তৈরি করে, কিন্তু মান্যতা দেয় না। পরে যেন বুঝে আত্মগ্লানিতে পদত্যাগ। ন্যাক শুধুমাত্র নৈবেদ্যর চূড়া, ক্ষমতার সঙ্গে থাকা মানুষদের গা ঘষাঘষিমাত্র। সেই সব সংগঠনে থেকে সুশীল সমাজে জাতে ওঠা। বিদেশের সুশীল সমাজে ঘোরার ব্যবস্থা। বড় বড় বক্তৃতা দিতে ডাক পাওয়া। এই সব কমিটিতে থেকে দেশে বিদেশে সামাজিক সম্মান অর্জন। ক্ষমতাকে কে না সম্মান করে!
সুশীল সমাজ ক্ষমতায়নে প্রভূত বিশ্বাসী!
আজিম প্রেমজিরা সেই ক্ষমতার মাত্র একটুকু অংশ প্রয়োগ করে, উচ্চমধ্যবিত্তদের নানান ছাড় দিয়ে ইনক্লুসিভ উন্নয়নের তত্বে বিশ্বাসী করান। সমাজের নেতাদের দিয়ে, নিজেদের মঞ্চে সেই সব তত্ব বলিয়ে নেন, ক্ষমতা আর রজমুদ্রার প্রভাবে।
বহুদিন ধরে যারা সরকারি বা কর্পোরেট চাকরি বা ব্যবসারসঙ্গে আন্দোলন করে করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি(এই পোড়া দেশের মানুষের কিচ্ছু হবে না ভেবে, আর পদাঘাতই শুধু পেলাম ভেবে), মনেকরি বিশ্বায়ন এক ঘোরতর বাস্তব। বিশ্বায়নের বিরুদ্ধতা করি। কিন্তু তার কোলে একটু যায়গা চাই। নিজের মত করে নিজের বাগান সাজিয়ে নিই। বড় অর্থ দান পাওয়ার হাতছানিকেই বাস্তব ভাবি। এইড অনুসর্গী বিদেশী সংগঠনসব, দেশী প্রেমজি, টাটামশাইরা ঝুলি উপড়ে দান দেন। এখন আমলাদের থেকেও বেশী রোজগার করি।
আমরা ছোট লোক, মুঢ, অজ্ঞ, মুর্খ, পিছিয়েপড়া, গেঁয়ো, পাশ্চাত্য সভ্যতার বিশালত্বের আকার বুঝিনা, অতীতের, আজকের শহুরেদের এই সব ঘটনাক্রম, বুঝতে পারিনি। আজও পারছিনা।
গ্রামের ছোটলোকেদের সংগঠনে জড়িয়ে রয়েছি। আমাদের পুর্বজরা ১৭৬৩ থেকে স্বাধীনতার লড়াই করেছেন। সে লড়াই আজও চলছে। কেন? স্বতঃসিদ্ধ! কোম্পানির আমল থেকেই বিশ্বায়নের মার বুঝি। তাই লড়াই বুঝি। তাই এই শহুরে এত্ত বড় বড় তত্ব বুঝছি না।
বিশ্বায়নের মার বুঝি। লড়াই বুঝি। প্রাক্তন আমলাদের এই লড়াইটা কেউ যদি বুঝিয়ে দেন দোয়া করে!
অহো! কি হর্ষ! ধনকুবেরতম আজিম প্রেমজির বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের এক প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্ট বৈষম্যবাদী ভারত বিষয়ে পরম বক্তা! ডান হাতের তর্জনী তোলা, বোধহয় ঈশ্বরের দিকে। বিশ্বায়নের যুগে ঈশ্বরই একমাত্র সহায়। গনআন্দোলন কথার কথা। সুশীল সমাজের শহুরে সব আন্দোলনের মিছিল শেষ হয় ক্ষমতার পায়ে। কেউ যান ১০ জনপদ রোডে, কেউ যান আজিম প্রেমজ়িকে বোঝাতে, কেউ অন্য কোনওখানে, যেখানে ক্ষমতা কথা বলে, কাজ করে। বিশ্বায়নে জনগণের প্রভাব তুশ্চু!
বছর দশেক আগে হাতে আসে আইটিসির বাৎসরিক সমীক্ষা। সেই মহার্ঘ কর্পোরেট প্রকাশনায়, মহা মমতায়, সুশীল সমাজের ভাষায়, নানান ভাবে ভারত সমাজের কথা, জৈব চাষের কথা, লাভ এবং উন্নয়নের ফল ভাগাভাগির কথা কি গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছিল! চমৎকার সব বাণী!
ঘোমটা পরা অদ্ভুত উন্নয়নরঙ্গ!
গতকাল ভাজপার যে সাংসদকে চাড্ডি গালি দিয়েছি, আজ সে হয়ত মুলায়েম বা বাম দলে ভিড়ে অপুর্ব ধর্মনিপেক্ষ ছাপ পাচ্ছেন। কয়েক দশক আগে মায়াবতী ভাজপার বান্ধবী, আজ তিনি কংগ্রেসের ত্রাতা। সুশীল সমাজও জলে গল।
গতকাল যারা নিপীড়নমুখী ভারত রাষ্ট্রের প্রতাপী আমলা, আইসিএসদের উত্তরসূরী (অবোধ তারা জানতেন না কি চাকরি নিচ্ছেন!), তারা আজ সে ঘৃণিত কাজ ত্যাগ করে, ভারত সুধী সমাজের মননীয় মুখপত্র। বিশাল সব পুরস্কার জয় করছেন অবহেলে। সক্কলে সুশীল সমাজত্রাতা নেতা। শহুরে সমাজ এই আত্মবলিদানে অসম্ভব উদ্বাহু!
কাল ন্যাকের সদস্য! আজ পদত্যাগ করে ন্যাকা সাজা। যেন জানতেন না যে ন্যাক শুধুই নীতি প্রস্তাবকারী সংগঠন। নীতি তৈরি করে, কিন্তু মান্যতা দেয় না। পরে যেন বুঝে আত্মগ্লানিতে পদত্যাগ। ন্যাক শুধুমাত্র নৈবেদ্যর চূড়া, ক্ষমতার সঙ্গে থাকা মানুষদের গা ঘষাঘষিমাত্র। সেই সব সংগঠনে থেকে সুশীল সমাজে জাতে ওঠা। বিদেশের সুশীল সমাজে ঘোরার ব্যবস্থা। বড় বড় বক্তৃতা দিতে ডাক পাওয়া। এই সব কমিটিতে থেকে দেশে বিদেশে সামাজিক সম্মান অর্জন। ক্ষমতাকে কে না সম্মান করে!
সুশীল সমাজ ক্ষমতায়নে প্রভূত বিশ্বাসী!
আজিম প্রেমজিরা সেই ক্ষমতার মাত্র একটুকু অংশ প্রয়োগ করে, উচ্চমধ্যবিত্তদের নানান ছাড় দিয়ে ইনক্লুসিভ উন্নয়নের তত্বে বিশ্বাসী করান। সমাজের নেতাদের দিয়ে, নিজেদের মঞ্চে সেই সব তত্ব বলিয়ে নেন, ক্ষমতা আর রজমুদ্রার প্রভাবে।
বহুদিন ধরে যারা সরকারি বা কর্পোরেট চাকরি বা ব্যবসারসঙ্গে আন্দোলন করে করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি(এই পোড়া দেশের মানুষের কিচ্ছু হবে না ভেবে, আর পদাঘাতই শুধু পেলাম ভেবে), মনেকরি বিশ্বায়ন এক ঘোরতর বাস্তব। বিশ্বায়নের বিরুদ্ধতা করি। কিন্তু তার কোলে একটু যায়গা চাই। নিজের মত করে নিজের বাগান সাজিয়ে নিই। বড় অর্থ দান পাওয়ার হাতছানিকেই বাস্তব ভাবি। এইড অনুসর্গী বিদেশী সংগঠনসব, দেশী প্রেমজি, টাটামশাইরা ঝুলি উপড়ে দান দেন। এখন আমলাদের থেকেও বেশী রোজগার করি।
আমরা ছোট লোক, মুঢ, অজ্ঞ, মুর্খ, পিছিয়েপড়া, গেঁয়ো, পাশ্চাত্য সভ্যতার বিশালত্বের আকার বুঝিনা, অতীতের, আজকের শহুরেদের এই সব ঘটনাক্রম, বুঝতে পারিনি। আজও পারছিনা।
গ্রামের ছোটলোকেদের সংগঠনে জড়িয়ে রয়েছি। আমাদের পুর্বজরা ১৭৬৩ থেকে স্বাধীনতার লড়াই করেছেন। সে লড়াই আজও চলছে। কেন? স্বতঃসিদ্ধ! কোম্পানির আমল থেকেই বিশ্বায়নের মার বুঝি। তাই লড়াই বুঝি। তাই এই শহুরে এত্ত বড় বড় তত্ব বুঝছি না।
বিশ্বায়নের মার বুঝি। লড়াই বুঝি। প্রাক্তন আমলাদের এই লড়াইটা কেউ যদি বুঝিয়ে দেন দোয়া করে!
No comments:
Post a Comment