সোনাধরেরা কেউ
কারোর উতপাদনে দখলদারি করতেন না। টাকার জোরে, জোর করে এক উৎপাদক অন্যজনের উৎপাদন
ব্যবস্থা কিনে নিতে পারতেন না। নবীন ইয়োরোপের শিল্প উৎপাদন, যা সারা বিশ্বের
রাষ্ট্রগুলি নকল করছে, এক অসম্ভব অসাম্যময় উৎপাদন ব্যবস্থা। যেখানে বড় আরও বড় আরও
মুনাফাভিত্তিক শিল্প কারখানা তৈরি চেষ্টা, যার কর্পোরেটিয় ভদ্রস্থনাম কনসলিডেশন।
আদতে তিমি তিমিঙ্গিলের কাহিনী।
মাৎস্যন্যায় শিশু। পৃথিবী বেড়ে ওঠার স্বাভাবিক নিয়ম বিরোধী এক অস্বাস্থ্যকর উদ্যম
জেঁকে বসছে সারা বিশ্বের শিল্পনীতিতে ক্রমশঃ যত দিন যাচ্ছে ততই। আজও এই বিশ্বায়নের
দিনেদুপুরে সরকারি-বেসরকারি উদ্যমে, প্রাকৃতির ধনসম্বলকে, প্রাকৃতিক সম্পদ,
অর্থনীতির ভাষায় কাঁচামাল আখ্যা দিয়ে, যা ইচ্ছে তাই কর্পোরেটীয় লুঠের বাজারকে,
ভারতের কোনও সোনাধরের সম্প্রদায়ই মেনে নেন নি। আজও তাঁরা সজ্ঞানে, সক্রিয়ভাবে
বিরোধিতা করে চলেছেন কর্পোরেটীয় উতপাদন আর ব্যবসা-সংস্কৃতির। যেভাবে ১৭৬৩ থেকে
গ্রামীণেরা লড়াই করছিলেন বিশ্বের লুঠেরা শাসক কর্পোরেট কোম্পানির। আজও কোনো
সোনাধরের অধিকার নেই সেই দর্শণে নিজেদের জারিয়ে নেওয়ার। এর উত্তরে কর্পোরেটরা
চেষ্টা করছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে গ্রাম শিল্পীদের বাজার দখল করতে এবং কয়েক
হাজার বছরের প্রমাণিত বিকশিত গ্রামীণ, সর্বজন প্রযুক্তি ধংস করতে। বিশ্বজয়ী প্রযুক্তি হাতে নিয়েও সোনাধরেরা পশ্চিমি দর্শনে
মাথা নোয়ান না।
কেন? শুধুই কী
দারিদ্র্য! না তথাকথিত বড়-পুঁজিভিত্তিক শিল্পবিকাশে নেতৃত্বদেওয়ার যোগ্যতার অভাব!
না পুঁজির অভাব! কোনটি! মীরা মুখোপাধ্যায় সোনাধর বিশ্বকর্মাদের থেকে কাজ
শিখেছিলেন। সে দিনে, সেই বিশ্বে, এই পরিচিতিটি খুব কম ছিল না। যার জেরে সোনাধর
পৈয়াম বিশ্বকর্মা অথবা তাঁর পিতা বিশ্বজুড়ে অসম্ভব খ্যাতি আর প্রতিপত্তি অর্জন
করতে পেরেছিলেন। সেই খ্যাতির পুঁজিকে
সুচতুর পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করে, সহজেই নিজের গোষ্ঠীর অনেকরই উৎপাদন ব্যবস্থা কিনে
নিয়ে, নিজের একটা বড়সড় কারখানা বানিয়ে ফেলার উদ্যম ছিল চুটকির ব্যাপার। তারপর সাফল্য পেলে আরও বড়, তারপর তার থেকেও বড়, চলতে থাকত বড়ত্বের
বাড়াবাড়ি। বড় লাভের পুঁজি এসে
জমাহত সোনাধরদের পুঁটুলিতে। কোনও শিল্পপতির দাক্ষিণ্য পেয়ে হয়ত সোনাধর বড়
ক্রুসিবল স্টিলের কারখানাও গড়ে ফেলতে পারতেন। সে হাতছানি হয়ত তাঁর সামনে থাকতেও পারত। কেননা যে প্রযুক্তি সোনাধরদের রয়েছে, সেই প্রযুক্তি এখন তাবড় কর্পোরেটদের
অধরা। হয়ত সোনাধর গণ্য হতেন
কর্পোরেট পাইওনিয়ার হিসেবে, যিনি পশ্চিমি বিশ্বকে দিয়েছেন জং ছাড়া লোহা তৈরির
মন্ত্র। কিন্তু একজন সোনাধরও সে পথে হাঁটেননি। বিশ্বখ্যাত সোনাধর আজও তাঁদের
সম্প্রদায়ের এক অনামা শিল্পী-উতপাদকের মতই সাধারণ, বিশেষত্বহীন। ভারত জোড়া তুচ্ছ
মেলাতেও তাঁর দেখা পাওয়া সাধারণ ঘটনা। সেখানেও তার কোনও সঙ্গী
নেই, পরিচারক নেই। তিনি একা। Lokfolk লোকফোক forum of folk লোক tribal আদিবাসী culture সংস্কৃতি of West Bengal পশ্চিমবঙ্গ, বাংলা. LOKFOLK is Bengal বাংলা India's ভারতের traditional পারম্পরিক knowledge system জ্ঞানভাণ্ডার, history ইতিহাস, Indigenous technology প্রযুক্তি. We have two mass bodies গনসংগঠন Bongiyo Paromporik Kaaru O ও Bastro Shilpi Sangho; Bongiyo Paromporik Aavikaar Shilpi Sangho. Journal পত্রিকা, PARAM, পরম. Picture - KaaliKaach কালিকাচ, Dinajpur দিনাজপুর, Madhumangal মধুমঙ্গল Malakar মালাকার
Monday, October 7, 2013
কেন সোনাধর বিশ্বকর্মা৫? Why Sonadhar Viswakarma5
লেবেলসমূহ:
Ancient Iron & Steel Technology of Bastar,
Bastar,
Sonadhar,
Sonadhar Viswakarma,
Viswakarma,
ছত্তিসগড়,
বস্তার,
সোনাধর বিশ্বকর্মা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment