ইওরোপ এশিয়ায় আসার আগে স্বনির্ভর
দেশগুলির নিজেদের মধ্যে বহু শত বছর ধরে সাধারণ এবং ধনীদের জন্য নানান
পণ্যের বিপুল পরিমাণের ব্যবসা চলত। এর একটা উদাহরণ পাই বাংলার মঙ্গলকাব্যে
সওদাগরদের বাংলা-শ্রীলঙ্কার ব্যবসা উদ্যমে।
বা কলিন জর্জ ফ্রেড্রিক সিমকিন ট্রাডিশনাল ট্রেড অব এশিয়া বইতে বিভিন্ন
এশিয় বাণিজ্যপথের নথি করণ করছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলছেন, জাপান, কোরিয়া,
চিন, পূর্ব তুর্কমেনিস্তান, তিব্বত, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, লাওস,
কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, সুমাত্রা, আফগানিস্তান, ইরাণ, জাভা, মালয়, বার্মা,
ফিলিপিন্স এবং তাইওয়ানের মধ্যে আন্তবাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ইয়োরোপীয়রা
এই বিস্তৃত এশিয় সমুদ্র/ভূপৃষ্ঠ বাণিজ্যে বলপূর্বক দখলদারি করে তাদের
লুঠের-খুনের সাম্রাজ্য তৈরি করেছিল।
পঞ্চদশ শতকে মালাক্কার উদাহরণে বোঝা যাবে কত বিস্তৃত ছিল, এশিয় দেশগুলির মধ্যে আন্তবাণিজ্য সম্পর্ক, যাকে ইওরোপ ‘পরম্পরার বাণিজ্য’ দেগে দিয়েছে। মালাক্কার চার নৌপোত কর্তা(শাবান্দার)র দায়িত্বে ছিল চার দিকের বাণিজ্যে দেখা শোনা করা। প্রথম শাবান্দার দেখতেন জাভা এবং ইন্দোনেশিয়ার অন্য অঞ্চলের সমুদ্র বাণিজ্য। দ্বিতীয়জন দেখতেন চিন, চম্পা, বার্মা, এবং থাইল্যান্ডের বাণিজ্য। তৃতীয়জন দেখতেন বাংলা, মালাবার এবং উত্তির সুমাত্রার জাহাজগুলি। চতুর্থজনের দায়িত্ব ছিল গুজরাট থেকে আসা বাণিজ্য জাহাজগুলি নজরদারি করা। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বাণিজ্যে উদগ্রীব সওদাগরদের ভাষার সঙ্গে মালাক্কার ভাষা মিলে আশিটি ভাষা তৈরি হয়।
টম পিরেজ মালাক্কা এবং গুজরাটের বাণিজ্যের উদাহরণ দিয়েছেন। টম ছিলেন পর্তুগিজ সরকারি কর্মচারী যিনি মালাক্কার ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলি ১৫১২ থেকে ১৫১৫ পর্যন্ত ঘুরে দেখার দায়িত্বে। তিনি লিখছেন – গুজরাট থেকে মালাক্কার প্রতি বছর চারটি জাহাজ আসে। জাহাজগুলির পণ্য দ্রব্যের মোট মূল্য মনে হয় সত্তর থেকে আশি ক্রুদোজও হতে পারে। তারা জাহাজ করে আনে তিরিশ রকমের কাপড়, তাঁরা পাচক আনে যেগুলি মাটির মত দেখতে, তাঁরা গোলাপজল আর আফিমও আনে। তাঁরা কাম্বে আর আদেন থেকে নিয়ে আসে বীজ, শস্য, ট্যাপেস্ট্রি, সুগন্ধী – তাঁরা মোটামুটি চল্লিশ ধরণের পণ্য নিয়ে আসে।
বাস্তব হল, পর্তুগিজেরা তাঁদের এশিয় সমুদ্র বাণিজ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পেরেছিল এই বাণিজ্য পথগুলি ধরে, দাদালি করে পরের দিকে এই পথ দখল করে।
পঞ্চদশ শতকে মালাক্কার উদাহরণে বোঝা যাবে কত বিস্তৃত ছিল, এশিয় দেশগুলির মধ্যে আন্তবাণিজ্য সম্পর্ক, যাকে ইওরোপ ‘পরম্পরার বাণিজ্য’ দেগে দিয়েছে। মালাক্কার চার নৌপোত কর্তা(শাবান্দার)র দায়িত্বে ছিল চার দিকের বাণিজ্যে দেখা শোনা করা। প্রথম শাবান্দার দেখতেন জাভা এবং ইন্দোনেশিয়ার অন্য অঞ্চলের সমুদ্র বাণিজ্য। দ্বিতীয়জন দেখতেন চিন, চম্পা, বার্মা, এবং থাইল্যান্ডের বাণিজ্য। তৃতীয়জন দেখতেন বাংলা, মালাবার এবং উত্তির সুমাত্রার জাহাজগুলি। চতুর্থজনের দায়িত্ব ছিল গুজরাট থেকে আসা বাণিজ্য জাহাজগুলি নজরদারি করা। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বাণিজ্যে উদগ্রীব সওদাগরদের ভাষার সঙ্গে মালাক্কার ভাষা মিলে আশিটি ভাষা তৈরি হয়।
টম পিরেজ মালাক্কা এবং গুজরাটের বাণিজ্যের উদাহরণ দিয়েছেন। টম ছিলেন পর্তুগিজ সরকারি কর্মচারী যিনি মালাক্কার ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলি ১৫১২ থেকে ১৫১৫ পর্যন্ত ঘুরে দেখার দায়িত্বে। তিনি লিখছেন – গুজরাট থেকে মালাক্কার প্রতি বছর চারটি জাহাজ আসে। জাহাজগুলির পণ্য দ্রব্যের মোট মূল্য মনে হয় সত্তর থেকে আশি ক্রুদোজও হতে পারে। তারা জাহাজ করে আনে তিরিশ রকমের কাপড়, তাঁরা পাচক আনে যেগুলি মাটির মত দেখতে, তাঁরা গোলাপজল আর আফিমও আনে। তাঁরা কাম্বে আর আদেন থেকে নিয়ে আসে বীজ, শস্য, ট্যাপেস্ট্রি, সুগন্ধী – তাঁরা মোটামুটি চল্লিশ ধরণের পণ্য নিয়ে আসে।
বাস্তব হল, পর্তুগিজেরা তাঁদের এশিয় সমুদ্র বাণিজ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পেরেছিল এই বাণিজ্য পথগুলি ধরে, দাদালি করে পরের দিকে এই পথ দখল করে।
No comments:
Post a Comment