ইপ্সিতারা
তাঁদের ব্লগে এটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেই আলোচনায় কেউ কেউ বলছেন কিছুটা
হলেও এটিতে বলা হয়েছে মুসলমানের হানাদারিতে বাংলার জ্ঞানচর্চা গোল্লায় গেল।
আর উপন্যাস হিসেবে এটি খুব খাজা - নীরদ চৌধুরীর ভাষায় শস্তা পেপারব্যাক
জাতীয় উপন্যাস। আমাদের উত্তর-
আমাদের ধারণা ইসলামি আমলে সব জ্ঞানবিজ্ঞানচর্চা নষ্ট হয়ে গেল বোধহয় তা বলা
মুশকিল - উনি তা বলতে চেয়েছেন কি না প্রথম পাঠে বুঝি নি - বুঝতে হবে পরের
দিকে কোনো একসময় পড়ে - একটু গোলা লোক আমরা - মাথা খুব পরিষ্কার নয় - প্রথম
পাঠে সবকিছু বুঝতে পারি না। শ্রুতি একটা বড় অবলম্বন ছিল পড়ুয়া আর
অধ্যাপকদের। শুধু পুঁথি পড়াই জ্ঞানচর্চার অবলম্বন ছিল না - এটা আমরা সক্কলে
জানি - শুধু জ্ঞানদেওয়ার মত করে বলাগেল। প্রায় দুশো বছর আগে চার্লস উইশের
কলণ সম্বন্ধে লেখাটি যুদ্ধবাজ ইসলাম পরবর্তী অন্ধ্রে ভারতীয় অঙ্কচর্চার
দুহাজার কাছাকাছি বছরের ধারাবাহিক উদাহরণ - এটা দেখিয়েছেন চন্দ্রকান্ত
রাজু।
তবে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় না যে জ্ঞানচর্চার উদাহরণ দিয়েছেন সেগুলি শুধু বাংলার জ্ঞানচর্চা। যে অঙ্কের উদাহরণ দিয়েছেন, তা ভারতীয় জ্ঞানচর্চা। তবে বাংলায় এ সময় ধাতুবিদ্যার রসরত্নসমুচ্চয় বা কৃষি পরাশরের মত প্রযুক্তির বিষয় কিন্তু লেখা হয়েছে।
আর উপন্যাসের আঙ্গিক নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। সে বিচারের অধিকার আমাদের আছে বলে মনে করি না। বাংলা লেখায় মা সরস্বতী আমাদের দলের সক্কলে। বিদ্যাসাগর মশাই বলে গিয়েছেন তিনি বাজারে সরস্বতীকে বাঁদর নাচ নাচাচ্ছেন - আমরা কোন ছার। আমাদের কিছুমিছু বলার আছে তাই বাধ্যহয়ে কলম ধরি।
আমরা শুধু বলতে চেয়েছিলাম প্রীতম বাবু যা করেছেন, তা ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনায় ব্যতিক্রম - কেননা বাংলা/ভারতের জ্ঞানচর্চার ইতিহাস খুব বেশি উপন্যাসে ধরা নেই - যদিও বাংলার খুব বেশি উপন্যাস পড়েছি এমন দাবি করা যাবে না - অধিকাংশ উপন্যাস রাজনীতির ঘণঘটা - হাজারি প্রসাদ দ্বিবেদীর বানভট্ট কি আত্মকথার অনুবাদ বাণভট্টের আত্মকথা বা মহাশ্বেতা দেবীর বর্গি হামলার সময়ের আন্ধারমাণিক বা চৈতন্যর সমসাময়িক বিবেকবিদায় পালাতেও কেন্দ্রে রাজনৈতিক ঘটনা। শুধু বাংলার অর্থনীতি ধ্বংসের সময়টি অপূর্ব দক্ষতায় ধরেছিলেন চণ্ডীচরণ সেন মশাই - তথ্যে দাঁড়িয়ে থেকে।
তবে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় না যে জ্ঞানচর্চার উদাহরণ দিয়েছেন সেগুলি শুধু বাংলার জ্ঞানচর্চা। যে অঙ্কের উদাহরণ দিয়েছেন, তা ভারতীয় জ্ঞানচর্চা। তবে বাংলায় এ সময় ধাতুবিদ্যার রসরত্নসমুচ্চয় বা কৃষি পরাশরের মত প্রযুক্তির বিষয় কিন্তু লেখা হয়েছে।
আর উপন্যাসের আঙ্গিক নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। সে বিচারের অধিকার আমাদের আছে বলে মনে করি না। বাংলা লেখায় মা সরস্বতী আমাদের দলের সক্কলে। বিদ্যাসাগর মশাই বলে গিয়েছেন তিনি বাজারে সরস্বতীকে বাঁদর নাচ নাচাচ্ছেন - আমরা কোন ছার। আমাদের কিছুমিছু বলার আছে তাই বাধ্যহয়ে কলম ধরি।
আমরা শুধু বলতে চেয়েছিলাম প্রীতম বাবু যা করেছেন, তা ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনায় ব্যতিক্রম - কেননা বাংলা/ভারতের জ্ঞানচর্চার ইতিহাস খুব বেশি উপন্যাসে ধরা নেই - যদিও বাংলার খুব বেশি উপন্যাস পড়েছি এমন দাবি করা যাবে না - অধিকাংশ উপন্যাস রাজনীতির ঘণঘটা - হাজারি প্রসাদ দ্বিবেদীর বানভট্ট কি আত্মকথার অনুবাদ বাণভট্টের আত্মকথা বা মহাশ্বেতা দেবীর বর্গি হামলার সময়ের আন্ধারমাণিক বা চৈতন্যর সমসাময়িক বিবেকবিদায় পালাতেও কেন্দ্রে রাজনৈতিক ঘটনা। শুধু বাংলার অর্থনীতি ধ্বংসের সময়টি অপূর্ব দক্ষতায় ধরেছিলেন চণ্ডীচরণ সেন মশাই - তথ্যে দাঁড়িয়ে থেকে।
No comments:
Post a Comment