জেমস হোলজম্যান(১৯২৫)
ওর্মের থেকে অখ্যাত এবং তার মত বুদ্ধিমানও নন এমন আরেক ইঙ্গ-বঙ্গ ঐতিহাসিক হলেন কর্নেল আলেকজান্ডার ডাও। তার ব্যক্তি জীবন সম্বন্ধে খুব বেশি জানা যায় না। জনশ্রুতি বলে কোন কিছু দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাকে স্কটল্যান্ড ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। বেঙ্কুলিনে সাধারণ নাবিক হিসেবে যান এবং সেখানে গভর্নরের সচিব হিসেবে কাজ করেন। তারপরে তাকে কলকাতায় পাঠানো হয়। আমরা জানছি যে ১৭৬০ সালে তিনি দ্বিতীয় লেফটান্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন ন’বছর পরে লেফট্যান্যান্ট-কলোনি হন এবং বগোলপুরে ১৯৯৮এ মারা যান।
১৭৬৮ সালে তিনি দীর্ঘ ছুটি নিয়ে ইংলন্ডে আসেন। সে সময় লন্ডনে প্রকাশিত হয় তার হিস্টোরি অব হিন্দোস্তান। তারপর সেটিকে আরো বড় করে লেখা হয়। ভারতে ব্রিটিশদের কাজ বিষয়য়ে তিনি সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করেছেন তার বইতে। জোসেফ প্রাইস তার চটি দ্য স্যাডল পুট অন দ্য রাইট হর্সএ অভিযোগ করেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের নানান কুসংস্কারের জন্য ডাওএর বইটা দায়ি।
তার সাফল্যতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ডাও নাটক লেখতে মনস্থ করেন। তার দুটি নাটক ডুরি লেন থিয়েটার প্রযোজনা করে – একটি তাতার ট্রাজেডি জিগনিস – সীমিত সাফল্য পায় ১৭৬৯ সালে। তার নায়ক জিঙ্গিজ খানকে আজকে আমরা চিনি চেঙ্গিজ খান হিসেবে। প্রস্তাবনার শেষ কবিতাটি ছিল
সাচ ইজ দ্য সাব্জেক্ট – সাচ দ্য পোয়েটস থিম/
ইফ আ রাফ সোলজার মে আজিউম দ্যাট নেম;/
হু ডাজ নট অফার য়ু ফ্রম ফ্যান্সি স্টোর/
ম্যানার্স এন্ড মেন – অন ইন্ডিয়াজ বার্নিং শোর,/
ইন ওয়ার লাইক টয়েলস, হি পাসড হিজ য়ুথফুল ইয়ার্স/
এন্ড মেড দ্য তাতার, ইন দ্য শেরিফ অব দ্য স্পিয়ার্স,/
বাট দাউ হি লিভড আমিসট দ্য ক্যানন রোর,/
থান্ডার লাইক য়োর্স হি নেভার ফেসড বিফোর,/
লিসন ইন্ডালজ্যান্ট টু হিজ আর্টলেস স্ট্রেন,/
নর লেট আ সোলজার, কোয়ার্টার আসক ইন ভেইন।
“আর্টলেস স্ট্রেন” একটা গুরুত্বপূর্ণ কবিতা। ট্রেজেডি হিসেবে কিছুটা হলেও তার বর্ননার সঙ্গে মিলে যায়। এর গল্পটি হল একটি গ্রাম্য নায়িকা দুঃখের মধ্যে প্রাণত্যাগ করে এবং তার পিতা আর ভাই লহড়াই করে জীবন শেষ করে।
অন্যটি হল সেথোনা, অতীতের মিশর বিষয়য়ে একটি গল্প। ১৭৭৪ সালে গ্যারিক এটি মঞ্চস্থ করেন। তিনি প্রচুর খরচ করেন এটি মঞ্চে আনতে কিন্তু এটি মাত্র ন দিন চলেছিল।
আইলিস আরউইন ১৭৫১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহন করেন। বাবা জেমস, আইসিএস, এসেছিলেন আয়ার্ল্যান্ডের রসকমন থেকতাকাইলিসকে শিশুকালে লন্ডনে পড়াতে পাঠানো হয়। প্রথমে চিজউইকে রোজের কাছে তারপরে লন্ডনে কোম্পানিতে চাকরির জন্য পড়াশোনা করতে থাকেন। ১৭৬৭তে তিনি মাদ্রাজে রাইটার হিসেবে আসেন। লর্ড পিগোকে ইংলন্ডিয়রা উচ্ছেদ করার সময় তিনি পিগোর পাশে থাকায় দশ বছর পর তাকে ইংলন্ডে পাঠানো হয়। তার ভ্রমন কাহিনী আ সিরিজ অব আডভেঞ্চার্স ইন দ্য কোর্স অব আ ভয়েজ আপ দ্য রেড সি, অন দ্য কোস্টস অব এরাবিয়া আন্ড ইজিপট, এন্ড অব আ রুট থ্রু ডেহার্টস অব থেবাইস ইন দ্য ইয়ার... এর তিনটি সংস্করণ হয় এবং ফরাসী ভাষায় অনুদিতও হয়।
মাদ্রাজে তিনি কবিতাও লিখতেন। ১৭৭২ সালে আ পোয়েম রিটন বাই আ জেন্টলম্যান ইন ইন্ডিয়া লেখা শেষ হয়, প্রকাশিত হয় লন্ডনে ১৭৭৪এ। তিনিটি পর্বে চল্লিশ পাতায় তিনি ভারতকে বর্ননা করতে চেয়েছেন - মোর্ন, ব্রিটন্স!,মোর্ন এন আক্ট য়োর ল’জ অর্ডেইন/
ওয়ানস ফিল ইনফিরিয়র টু ইন্দিয়ান সোয়াইন.../
দ্য হেয়ার, দ্য প্যাট্রিজ, অর দ্য স্টেটিলি ডিয়ার,/
ইজ হিজ ইন কমন উইথ দ্য চিচেস্ট পিয়ার।
No comments:
Post a Comment