জেমস
হোলজম্যান(১৯২৫)
এচাড়াও কোম্পানির
চাকরিতে আইন ব্যবসায় থাকা বেশ কিছু মাথার ইঙ্গ-বঙ্গ যোগাযোগের উল্লেখ প্রয়োজন। হল
প্লামারের ছোট ভাই স্যর টমাস প্লামার ১৮১২ থেকে ১৮১৮ পর্যন্ত কোম্পানিতে মাস্টার
অব দ্য রোলস হিসেবে কাজ করতেন। টমাস, হেস্টিংসের বিচারের তাঁর অন্যতম উকিল ছিলেন
এবং হাউস অব কমন্সের বারে স্যর রামবোলডএর পক্ষে দাঁড়ান। হেস্টিংসের অন্যতম উকিল
এলেনবরোর প্রথম ব্যারন এডওয়ার্ড ল এবং ভাবী প্রধান বিচারপতি স্যর রবার্ট ডালাস –
দুজনেরই ভারতীয় যোগাযোগ ছিল – দুজনেরই ভাই ইওয়ান ল এবং জর্জ ডালাস কোম্পানি চাকুরে
ছিলেন। ১৭৬৬-১৭৭১এর চিফ জাস্টিস অব কমন প্লি, স্যর জন আর্ডলি উইলমটের সন্তান,
রবার্ট, কোম্পানির চাকুরে ছিলেন। বাথার্স্টএর দ্বিতীয় আর্ল এবং এপস্লের ব্যারন
হেনরি, ১৭৭১-১৭৭৮ পর্যন্ত লর্ড চ্যান্সেলর ছিলেন – তাঁর দুই আত্মীয় রবার্ট
বাথার্স্ট এবং জন স্কাওয়েন কোম্পানি চাকুরে ছিলেন। সলিসিটর জেনারেল ওয়েড্ডারবার্ন
পরে লর্ড লাউবরো হন, তাঁরও ভারতীয় যোগাযোগ ছিল।
ল পরিবারের নানান
সদস্য বিবাহ সূত্রে কোন না কোন ভাবে লতায় পাতায় ভারতীয় স্বার্থে বিপুলভাবে জড়িয়ে
ছিলেন। আইসিএস ইওয়ান ল, কার্লাইলের বিশপ
রেভারেন্ড এডমন্ড লএর পুত্র। বিয়ে করেন য়র্কের আর্চ বিশপ আইসিএস উইলিয়ম
মার্খ্যামের বোন হেনরিয়েটাকে বিয়ে করেন। তাদের দুই পুত্রই ভারতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ
করেন। ইওয়ান লএর ভাইপো এলেনবরোর প্রথম
আর্ল এবং ভারতের গভর্নর জেনারেল হন। ইওয়ানের বোন স্যর টমাস রামবোলডকে বিয়ে করেন,
অন্য বোন মেরি রেভারেন্ড জেমস স্টিফেন লাসিঙ্গটনকে বিয়ে করেন। জেমস স্টিফেন ছিলেন
হেনরি লাসিঙ্গটনের আত্মীয়, পাটনায় নিহত হন। হেনরির বোন শার্লট আইসিএস র্যালফ
লাইসেস্টারকে বিয়ে করেন।
বাংলার প্রশাসনিক
খাতায় ১২ জন লাসিঙ্গটনের নাম উদ্ধার করা গিয়েছে। এরা সকলে ইঙ্গ-বঙ্গ পরিবারের
সদস্য। ১৭৯০ সালে স্যর স্টিফেন লাসিঙ্গটন ব্যারোনেট, কোর্ট অব ডারেক্টরের
চেয়ারম্যান ছিলেন।
করণিক যোগের নবোবেরা
হলেন টমাস হেঞ্চম্যান, র্যানডলফ এবং উইলিয়ম ম্যারিয়ট আর উইলিয়ম ম্যাগপি থাকারে।
চার্চের সঙ্গে হেঞ্চম্যানদের যোগাযোগ অবিসংবাদী। ১৬৬৩ সালে জনৈক হাম্ফ্রে হেঞ্চম্যান
লন্ডনের বিশপ ছিলেন। টমাস হেঞ্চম্যানএর বাবা আইসিএস হাম্ফ্রে মিডলসেক্স, মিডটলটনএর
রেক্টর ছিলেন। য়র্কশায়ারের ওয়েস্ট রাইডিঙের রেক্টর অব ডারফিল্ড এবং ডেনবির চতুর্থ
আর্লএর কন্যা লেডি ডায়নার দ্বিতীয় জর্জের চ্যাপ্লেইন ছিলেন রেভারেন্ড র্যান্ডলফ
ম্যারিয়ট, তাঁর চৌদ্দটি সন্তানের মধ্যে দুজন ছিলেন র্যান্ডলফ ম্যারিয়ট এবং
উইলিয়াম ম্যারিয়ট। আইসিএস র্যান্ডলফ ম্যারিয়টের দুটি সন্তানই ভারতীয় প্রশাসনে
প্রবেশ করে, অন্যজন বাংলার পোস্ট মাস্টার জেনারেল পেরিগ্রিন ট্রেভিসের কন্যাকে বিয়ে
করেন।
হ্যারো হাইস্কুলের
প্রধান শিক্ষক, রেভারেন্ড ডক্টর টমাস থ্যাকারের নাতি হলেন ঔপন্যাসিক উইলিয়ম
ম্যাগপি থ্যাকারে। উইলিয়ম ম্যাগপি থ্যাকারে ১৭৭৬ সালে কলকাতায় আমেলিয়াকে বিবাহ করে
জন কোম্পানিতে প্রশাসনিক সেবার পারিবারিক শৃঙ্খলা স্থাপন করেন। এরা সক্কলে সেনা,
সেবা এবং ডাক্তারিতে প্রবেশ করে তাদের পারিবারিক শেকড় ভারতের প্রশাসনে এবং লন্ডনে
কোর্ট অব ডিরেক্টর পর্যন্ত বিস্তৃত করেন। ম্যাগপির সাতটি বাচ্চা ভারতে শেষ নিশ্বাস
ত্যাগ করেন।
পারিবারিক যোগাযোগ
ছাড়া যে মানুষগুলি অস্বাভাবিকভাবে ভারতে এসেছেন তাদের মধ্যে আলেকজান্দার
ক্যাম্পবেল, রিচার্ড গ্রিফিথ এবং চার্লস ফ্লিটউড অন্যতম। জুনিয়ার মার্চেন্ট হিসেবে
ক্যাম্পবেল ১৭৬৩ সালে ভারতে যাওয়ার আগে ক্রিটিক্যাল রুইভিউয়ার(মানে কি সমালোচক?)
ছিলেন। গ্রিফিথের বাবা-মা উভয়েই ঔপন্যাসিক ছিলেন। পুত্র স্যর রিচার্ড জন গ্রিফিথ
ব্যারোনেট, প্রখ্যাত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হন। তাদের তিন প্রজন্মের নামের তালিকা
ডিরেক্টরি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফিতে রয়েছে। চার্লস ফ্লিটউডের পুত্র আইসিএস চার্লস
ফ্লিটউড ভারতে যাওয়ার আগে এক সময় ডুরি লেন থিয়েটারের মালিক ছিলেন এবং শিশু বয়সে
অভিনয়ও করেন এবং ভারতে গিয়ে মাঝারি গোছের ভাগ্য বদল করেন।
No comments:
Post a Comment