জেমস
হোলজম্যান(১৯২৫)
......র(নাম
অনুল্লেখিত) সাফল্যতে আশ্চর্য হওয়ার খুব বেশি কারন নেই, বিশেষ করে যে অস্বাভাবিক সুপারিশের
জোরে চাকরি পেল। স্যর ফ্রান্সিস ডেলাভাল এবং ডিউক অভ য়র্কের সঙ্গে তার
ওঠাবসায় সে বহু প্রখ্যাতর পৃষ্ঠপোষণা পেয়েছে, যারা তাঁকে তাদের নিজের হাতে সুপারিশ
লিখে দিয়েছে কোলব্রুকের উদ্দেশ্যে।
কোম্পানির চাকরিতে
বহু সময়ে প্রখ্যাতদের অবৈধ সন্তানদের কাজ মিলত। গুঞ্জন উঠল হঠাৎ করে ক্যাভারস্যাক
জমিদারি কেনা চার্লস মারস্যাক নাকি দ্বিতীয় জর্জের অবৈধ পুত্র। হেস্টিংসকে লেখা
চিঠিতে মেজর স্কট জনৈক মিস্টার স্মিথের নাম সুপারিশ করেছিলেন, তিনি নাকি অলডারম্যাল
জন উইকসের “পুত্র” যাকে ক্যাডেট হিসেবে সেনাবাহিনীতে ভর্তি করা হয়। থ্যাকারের
সঙ্গে লর্ড ক্যামডেন জাহাজে ভারতে রওনা হওয়া রবার্ট রে জাহাজেই মারা যায়। সে নাকি
প্রখ্যাত মিস রে আর লর্ড স্যান্ডুইচের অবৈধ পুত্র। রায়ের বিশ্বাস ছিল, তার চাকরির
বদলে তার পিতা কোম্পানির ডিরেক্টর রবার্ট জোন্সকে হান্টিংটন থেকে পার্লামেন্টে আসন
নিশ্চিত করেন।
ক্লাইভ নিজে কম
খাজনার কিন্তু বড় বংশ পরম্পরার দরিদ্র চাষী পরিবার থেকে আসা চাকুরে। ঠিক একই রকম
পারিবারিক অবস্থা থেকে বেশ কিছু নবোবের জন্ম হয়েছে। সপ্তম হেনরির সময়ের ডেভনের
এমব্রুক এলাকা থেকে এসেছিলেন স্যর রবার্ট পল্ক। স্যর জন কল ওয়েস্ট কান্ট্রির একটি
প্রাচীন কিন্তু খুব ধণাঢ্য নয় এমন পরিবারের সন্তান – যাদের ভাগ্য আস্তমিত হয় প্রথম
চার্লসের সময়েই। মেজর স্কট যে শ্রফসায়ার জমিদারির সন্তান, তাদের খুব একটা
স্বচ্ছলতা ছিল না, তবু তারা ষোড়শ শতাব্দ থেকে গ্রামে বাস করছেন এবং তাঁদের কেন্টএর
পারিবারিক ইতিহাস নাকি আরও পুরোনো। স্কটের তিন আপন ভাই এবং এক
খুড়তুতো ভাই ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড স্ট্যানফোর্ড কিন্তু আইসিএস। মেজরের পুত্র
এডওয়ার্ড বাংলার প্রশাসনিক সেবায় নাম করেন।
শাসক শ্রেণীর যারা
ভারতে নবোব হতে গিয়েছেন তাদের নাম খুঁজে পাওয়া সব থেকে সোজা। পার্লামেন্টের অভিজাত
সদস্য রিচার্ড হিপিসলি কক্সির ভাই চার্লস কোম্পানির চাকুরে। সাসেক্সএর ব্যারোনেট
এবং পার্লামেন্টের সদস্য স্যার হেনরি গোরিংএর নাতি চার্লস গোরিংও চাকুরে ছিলেন। হাম্ফ্রে
এসলে এবং লিনক্স নেপিয়ার স্টুয়ার্ট দুই ভায়ের বাবা ডর্সেটশায়ার থেকে সংসদ সদস্য
ছিলেন আর বছরে চৌদ্দ হাজার রোজগার ছিল। ওরেস্টারসায়ারের রাইজ লিচএর রাউজদের আত্মীয়
সি ডবলিউ বি রাউজ জমিদারির অধিকার অর্জন করেন।
হেনরি আর জর্জ
ভ্যান্সিস্টার্টের ভাই আর্থার বার্কসায়ার থেকে পার্লামেন্টের সদস্য সন ১৭৫৭-৬৪
পর্যন্ত। বোন অ্যানে, স্যর রবার্ট পল্ককে বিয়ে করেন। হেনরি ভ্যান্সিস্টার্ট
মাদ্রাজের গভর্নর নিকোলাস মুর্সএর মেয়ে এমিলিয়াকে বিবাহ করেন। তাদের পুত্র
নিকোলাস, বেক্সলির প্রথম ব্যারন এবং চ্যান্সেলার অব এক্সচেকার হন।
অনারেবল এডওয়ার্ড
মঙ্কটন গ্যালোওয়ের প্রথম ভিসকাউন্টের পঞ্চম পুত্র। তিনি মাদ্রাজের গভর্নর লর্ড
পিগোর কন্যা সোফিয়াকে বিবাহ করেন। তাদের পুত্র ক্লদ আইসিস, এবং ১৮১৪ সনে কেপ অব
হুড হোপ – উত্তমাসা অন্তরীপে মৃত্যু বরণ করেন। এডওয়ার্ড মঙ্কটনএর বোন এলিজাবেথ
স্যর ফ্রান্সিস সাইকসের দ্বিতীয়া স্ত্রী।
সাইকস ছিলেন নবোব
যার সম্বন্ধে ছড়াকারেরা ছড়া বেঁধে ছিলেন, ...ওয়ার্দি অফস্প্রিং অব আ বারবার/
স্কুইজড টুইক্সট পাউডার-পাফস এন্ড লেদার। সাইকসএর জন্ম য়র্কশায়ারের টর্নহলের
ডিউসবেরির কাছের এক পুরনো কিন্তু সাধারণ পরিবারে – তবে তার শত্রুরা কবিতায় তাকে
যতটা সামাজিকভাবে নিম্নশ্রেণীর বলেছে সাইকস হয়ত ততটা নিম্নশ্রেণীর ছিল না, তবুও
তিনি চাকুরিতে যে অবস্থানের উচ্চতায় উঠেছিলেন তার পারিবারিক অবস্থানের সঙ্গে সে
সময়ের অন্য চাকুরেদের পারিবারিক অবস্থান ঠিক মেলেওনা।
পল বেনফিল্ড ১৭৪০এর
দিকে গ্লুসেস্টারশায়ারে জন্মান কেউ বলেন তার বাবা মুদির দোকান চালাতেন, কারোর মতে তার
বাবা ছিলেন চেলট্যানহ্যামের আমিন – জমি মাপতেন। হয়ত দুটিই করতেন একই সঙ্গে। হয়ত
দুটি রটনাই তাদের অসম্মান করতে করা হয় নি – এবং এটা পরিষ্কার যে বেনফিল্ড
চেলট্যানহ্যামেরই অধিবাসী ছিলেন।
জেনারেল রিচার্ড
স্মিথের চিজ বিক্রেতা হিসেবে যে পারিবারিক অসম্মানের কথা প্রায়শই বলা হয়ে থাকে
তাতে বোধহয় কান না দেওয়া ভাল – তবুও তার বাবা-মার সম্বন্ধে খুব বেশি কিছু তথ্য
পাওয়া যায় না। তবে তার পরিবার যে খুব বড় সম্মানের পরিবার ছিল না এটা
পরিষ্কার। ১৭৫৩ সালে তিনি মাদ্রাজের সেনাবাহিনীর লেফটান্যান্ট ছিলেন। সে সময় বহু
পারিবারিক গুরুত্ব হীন সেনা অফিসার তার সমান পদে ছিলেন। ফলে পার্লামেন্টে এ রকম
কুলমানহীনদেরকে এত উঁচু পদে বসানোর বিরুদ্ধে প্রশ্ন ওঠে। এই বিতর্কে পার্লামেন্টে কেউ
কেউ তাদের অতীত নিয়ে বেশ কটাক্ষ করেন।
সমাজের ওপরের অংশটা
কোম্পানির চাকরিতে অনেক বেশি প্রতিনিধিত্ব করত। কিন্তু সাধারণভাবে, একটা মন্তব্য
করা যায় যে কোম্পানির চাকরেদের অধিকাংশ ওপরতলা এবং নিচতলা থেকেই শুধু আসত না।
No comments:
Post a Comment