Chapter 10: Global Realization, চটজলদি খাবারের বিশ্বায়ন
“[Activist Dave Morris] spoke intensely
about McDonald’s, but stressed that its arrogant behavior was just one
manifestation of a much larger problem now confronting the world: the rise of
powerful multinationals that shift capital across borders with few qualms, that
feel no allegiance to any nation, no loyalty to any group of farmers, workers,
or consumers.”
এই অধায়ে এরিক চেনগুলোর
বিশ্ববাজারের কথা বিশদে আলোচনা করেছেন যাকে ম্যাকডোনাল্ড বলছে গ্লোবাল রিয়েলাইজেসন। আজ তার মূল লভ্যাংশ কিন্তু
আমেরিকার চেন থেকে আসে না, বরং আসে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো থেকে। ব্র্যান্ড ভ্যালুতে কোকাকোলার
থেকেও ম্যাকডোনাল্ডের পরিচিতি বিশ্বে অনেক বেশি। বিদেশে চটজলদি খাবার
কোম্পানিগুলো বাজার ধরার চেষ্টা করছে, তাদের কাঁচামাল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো সেই
দেশেই পণ্য উতপাদন করে তাদের সবরাহ করছে। আমেরিকার উতপাদন পদ্ধতিটাই তারা হুবহু
নকল করছে বিদেশেও। ১৯৯৩
থেকে জে আর সিমপ্লট চিনের ম্যাকডোনাল্ডকে আলু ভাজা সরবরাহ করার জন্য চিনে আলু চাষ
শুরু করে এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কোম্পানি খোলে।
তিনি বলছেন চটজলদি খাবারের
সঙ্গে অত্যধিক মোটা হবার একটি সামানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে। এরিকের আপ্তবাক্য, “By eating like Americans, people all over
the world are beginning to look like Americans.” । এবিয়ে তিনি বহু সমীক্ষা, তথ্য,
বক্তব্য পেশ করেছেন। বিভিন্ন
মহলের সমালোচনায় সম্প্রতি চটজলদি খাবারের চেনগুলো ভারসাম্যের, সুস্বাস্থ্যের খাবার
খাওয়াতে চেষ্টা করলেও তাতে চিড়ে ভেজেনি। আবার তাদের পুরনো মেনুতে ফিরতে হয়েছে,
ফলে দৈনিক ক্যালরি গ্রহণ বেড়েই চলেছে, কমার নাম নেই।
চটজলদি খাবার খেয়ে যদিও
আমেরিকানরা অনেক অর্থ সাশ্রয় করছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের মোটা হওয়া রুখতে
স্বাস্থ্য বাজেট হয়েছে ২৪০ বিলিয়ন ডলার। এক তথ্য তুলে এরিক বলছেন, “Americans
today spend more than $33 billion on various weight-loss schemes and diet
products.”।
আমেরিকা
এখন মোটা হওয়ার প্রযুক্তি রপ্তানি করছে সারা বিশ্বে। পশ্চিম ইয়োরোপে ব্রিটেন এখন সব
থেকে চটজলদি খাবার খেয়ে মোটা হওয়া মানুষের দেশ।
তবুও বিদেশে অনেকেই এই
রেস্তোরাঁগুলোকে আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদের অনুসারি রূপ হিসেবে দেখছেন। ভারতের ব্যাঙ্গালোরে কৃষকেরা
কেন্টাকি ফ্রায়েড চিকেনের প্রথম দোকানটিকে ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তাদের মনে হয়েছিল, এরা জে
ধরণের খাদ্য শৃঙ্খল তৈরি করার উদ্যম নিচ্ছে তাতে ভারতের পারম্পরিক কৃষি ধংস হয়ে
যেতে বাধ্য। এছাড়াও
বিশ্ব জুড়ে ম্যাকডোনাল্ডের চেনেও এধরনের নানান আক্রমনের কথা লিখেছেন তিনি।
তবে খুব আকর্ষণীয় ম্যাকলায়েবেল
বিভাগটি। ম্যাকডোনাল্ডের
বিরুদ্ধে একটি মামলা ব্রিটেনের সব থেকে বেশি দিন চলা হিসেবে রেকর্ড করেছে এবন্দ সারা
বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এবং এই মামলা একটি কাজ করেছে, সেটি হল, জনগণের সামনে
পরিষ্কার ব্যবসা হিসেবে ম্যাকডোনাল্ডের যে ঘোমটা পরানো ছবি ছিল তার দফারফা
করেদিয়েছে।
খুব
সংক্ষেপে বলা যাক। যদিও
এইন অধ্যায়টি খুব বিশদে পড়া দরকার বলে আমরা মনে করি। কয়েক বছর ধরে দুজন লন্ডনের
গ্রিনপিসের সমর্থক হেলেন স্টিল আর ডাভ মরিস,
“What
Wrong with McDonald’s?” নামে
একটি ইস্তেহার বিলি করছিলেন, ম্যাকডোনাল্ডের একটি দোকানের সামনে। আন্দোলনের কর্মীরা যা যা,
যেভাবে চটজলদি খাবারের বিরুদ্ধে ইস্তেহার লেখেন এটি সেই রকমই এক সাধারণ কাগজ। এরা কেউই এই ইস্তেহারটি নিজের
হাতে লেখেন নি। তারা
শুধু এটি বিলি করতেনমাত্র।
অনেকদিন ঠিক এইভাবে চলার পর
কোম্পানি ঠিক করল তারা এদের দেখে নেবে। তাদের সমস্ত সম্পদ জড় করে মশা মারতে
কামান দাগতে শুরু করেদিল ম্যাকডোনাল্ড। এই দুজনের বিরুদ্ধে তারা মামলা ঠুকে দিল। ম্যাকডোনাল্ডের ধারণা ছিল তারা এই
মামলাটি সহজেই জিতে যাবে। এই দুই আন্দোলনকারীর পাশে যারা ছিলেন তারা একে একে সরে
পড়তে লাগলেন। তারা
কিন্তু হতে যান নি। এদের
সামনে সহজ কাজ ছিল ম্যাকডোনাল্ডের সঙ্গে সমঝোতা করে নেওয়া। এখন এদেরই দায় পড়ল তারা যা
প্রচার করছিলেন সেগুলো প্রমান করা। তারা সেটি করলেনও। ম্যাকডোনাল্ডের একটাই ভুল হল,
তারা ইস্তেহারের প্রত্যেক বাক্যকেই মানহানিকর হিসেবে বলেছে, এমন একটি বিষয়, এবং
মানুষ নিয়ে লড়ছে যাদের চুনোপুঁটি বলা যায় এবং বিষয়টি অতি তুচ্ছও বটে। বলা ভাল, এই দুই দয়ে পড়া অভিযুক্ত,
অনেক তথ্য জোগাড় করলেও, তাদের বিরুদ্ধে আনা, সব অভিযোগ খন্ডন করতে পারলেন না। কিন্তু এই মামলা বেশ কিছুদিন
কেটে যাওয়ার পর এই দুই আন্দোলনকারীর দৃঢতার জয় হল অন্যভাবে।
মামালাটি খবর আস্তে আস্তে
সংবাদের শিরোনামে আস্তে লাগল। ফলে অনেকেই ম্যাকডোনাল্ডের নানান বিষয় নিয়ে খোঁচাতে
শুরু করলেন, জানতে পারলেন। এতদিন যেসব বিষাক্ত সম্পদ্গুলো কার্পেটের তলায় জনগনের
চোখের বাইরে সরিয়ে রাখতে পেরেছিল ম্যাকডোনাল্ড, সবার চোখের সামনে সেই কার্পেট ঝাড়া
হতে শুরু করল। অসম্ভব
সব ময়লা বেরোতে শুরু করল বাজারে। ঢি ঢি পড়েগেল। ব্রিটেন জুড়ে একটি জনমত তৈরি
হতে শুরু করল। খবর,
তদন্ত নানান সমীক্ষা ক্রমশঃ ভেতরের পাতা থেকে প্রথম পাতায় আসতে শুরু করল। বিশেষ করে ম্যাকডোনাল্ডের শ্রম
নীতি নিয়ে নতুন করে ভাবা শুরু করল সারা বিশ্ব। বিষয়টি আরও ঢি ঢি পড়ে যায় যখন
খোলসা হয় মামালা জিততে ম্যাকডোনাল্ড আন্দোলনকারীরা কি কাগজ জোগাড় করছে, কি ভাবনা
ভাবছে সে সম্বন্ধে পয়সা খরচ করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের গোয়েন্দাদের লাগিয়েছিল
ম্যাকডোনাল্ড।
শেষ পর্যন্ত
এসের দুজন যে তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অপ্রমান করতে পারে নি। বিচারক তাদের ৬০ হাজার পাউন্ড
জরমানা করলেন।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ক্ষমা চেয়েকোর্টের বাইরে ১০,০০০ ডলার ক্ষতিপূরণ দিলেন। তারা হৌসে অব লর্ডে আবেদন
করলেন। হৌস
শুনল না। তখন
তারা আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হলেন। এখনও এই মামলা শেষ হয় নি।
ম্যাকডোনাল্ড বলল তারা এই
ক্ষতিপূরণ নিতে রাজি নন। তখন কিন্তু ম্যাকডোনাল্ডের
যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, যে ক্ষতি সহজে অর্থের অঙ্কে পূরণ করা যায় না। ইংরেজিতে লেখা এই ইস্তেহার এখন সারা বিশ্বে অন্ততঃ ৫০টি
ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। তিনি শেষ করছেন এই
লাইনটিতে, After intimidating British critics for years, the McDonald’s Corporation
picked on the wrong two people।
No comments:
Post a Comment