এরিক
দ্বিতীয় অধ্যায়টি শেষ করছেন, কি ভাবে চটজলদি খাবার পাঠশালাগুলোতে ঠাঁই পেতে শুরু করল, সেই পরিকল্পনা বর্ণনায়।
রাষ্ট্র কর বাড়িয়ে দেওয়ায় বিদ্যালয়গুলোকে আর্থিক সঙ্কট থেকে উদ্ধার করতে খাওয়ার চেনগুলো এগিয়ে এল দরাজ হাতে।
১৯৯৩তে এই কলোরাডোই পথ দেখাল।
বার্গার কিং প্রথম স্কুল বাসে বিজ্ঞাপন দিল।
তারপর একে একে টাকার ঝুলি নিয়ে দাঁড়াল ঠাণ্ডা পানীয় আর ফাস্ট ফুড কোম্পানিগুলো।
ততদিনে এসিয়ায় ব্যবসা মার খেয়েছে।
আমেরিকার ৯০ শতাংশ পানীয় বাজার দখল করা তিনটে বড় পানীয় কোম্পানি, কোকাকোলা, পেপসি আর ক্যাডবেরি-সোয়েপস,
তাই নজর দিল
বিদ্যালয়ে
বিক্রি বাড়ানোর দিকে।
একসময়র এই শহরের শিশুদের ঠাণ্ডা পানিয় পেছনে মাথা পিছু খরচ ছিল ৬৭ সেন্ট।
বিদ্যালয়ে ঢোকার পর তাদের আয় দাঁড়াল ২৭ ডলার।
এই বিজ্ঞাপন কাজটির হোতা, ড্যান ডি-রোজ়ের উক্তি, “There are
critics to penicillin,” সব
কিছু ভালোর তিক্ত
সমালোচনা হবেই।
৯৭ থেকে প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পেপসি একটি করে রিসোর্স সেন্টার খলার প্রতিশ্রুতি দেয়।
একজন
আমেরিকিয় বছরে ৬৫ গ্যালন(২৪৬ লিটার) ঠাণ্ডা পানীয় পান করেন।
কোক একে বছরে ২৫ শতাংশ হারে বাড়াবার পরিকল্পনা করে।
এবং এই ধরণের বিদ্যালয় প্রকল্প তার বাহন হয়।
ফলে ম্যাকডোনাল্ডেরমত ফাস্ট ফুডের চেনে প্রবেশ কোকের।
লাভ দুপক্ষের।
আমেরিকানরা স্যান্ডুইচের সঙ্গে সাধারনতঃ পানীয় নেন।
ফলে বিভিন্ন খাদ্যের সঙ্গে কোকের পানীয় জুড়ে দেওয়ায় লাভ দুপক্ষেরই।
আজ বিশ্বে কোক সব থেকে বেশি বিক্রি করে ম্যাকডোনাল্ড চেন।
এবং এই পানীয়
কোম্পানিরা সকলেই
শিশুদের টার্গেট করে।
এ নিয়েও আমেরিকায় অনেক বিতর্ক চলছে।
মাইকেল জ্যাকবসন এগুলোকে জল চুসি, লিকুইড ক্যান্ডি নাম দিয়ে
অপূর্ব সব সমীক্ষা করেছেন।
বিদ্যালয়ে
খাবার বিক্রিই নয়, পড়ুয়াদের মনে ব্র্যান্ড গেঁথে দেওয়ার কাজ করতে শুরু করল এই কোম্পানিগুলো।
এরিক ১৯৯৮এর একটি সমীক্ষা উল্লেখ করে বলছেন, তারা যে সব পাঠ্য সহায়ক তৈরি করে বিদ্যালয়গুলোকে দেয় তার অনেকগুলো তথ্যই চেনের কর্তারা কি ভাবছেন, তার প্রতিফলন, বা তাদের পণ্যগুলোর সরাসরি বা পরোক্ষ প্রচার।
আজ আমেরিকার ৩০ শতাংশ সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের
(হাই স্কুলে)
খওয়ার দোকানে ব্রান্ডএর চটজলদি খাবার বিক্রি হয়।
এই বিদ্যালয়গুলির শিক্ষকদের এরিক নাম দিচ্ছেন ম্যাকটিচার।
আর যারা সরকারে থেকে, বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত না থেকে, কোকের প্রচারে নিজেদের নিয়োগ করেছেন, তারা হলেন কোক ডুড।
১৯৯৭-৯৮তে
কলোরাডো স্প্রিং ইন্ডিপেন্ডেন্ট সাপ্তাহিক এক সরকারি আমলা জন বুশির একটি মেমো ছাপে।
বুশি সেই মেমোটি বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষককে পাঠিয়েছিলেন।
সেই মেমোতে তিনি প্রধান শিক্ষকদের সাবধান করে দিয়ে বলেন, স্কুলগুলোয় পানীয় বিক্রি কমেগেলে, স্কুলগুলির আয়ও কমে যেতে পারে।
অতয়েব সাধু সাবধান! তিনি
মেমোয় অনেকগুলো
বন্ধুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন প্রধান শিক্ষকদের।
১) পড়ুয়াদের মধ্যে কোক পানের বহর বাড়াতে হবে, ২) কোক মেসিনগুলো এমন যায়গায় রাখতে হবে যাতে সব পড়ুয়াই, যে কোনও সময়ে, সারাদিন ধরে পানীয় সহজে কিনতে পারে, ৩) পড়ুয়াদের শ্রেণিকক্ষে পানীয় নিয়ে আসার সুযোগ করে দিতে হবে।
বুশি মাস্টারমশায়দের লিখছেন, “Research shows
that vendor purchases are closely linked to availability. Location, location, location is the key.”
যদি
কোনও প্রধান শিক্ষক মনে করেন,
কোনও ছাত্র কোক
হাতে করে ক্লাসে ঢোকায় তিনি প্রবল অস্বস্তি বোধ করছেন, তবে তিনি অবশয়ই পড়ুয়াকে
ঠাণ্ডা চা,
ফলের রস এমনকি শুধু জলের বোতল নিয়ে ক্লাসে ঢুকতে অনুমতি দিন।
এবং তাকে সেগুলো কিনতে বাধ্য করবেন।
মেমোর শেষে তিনি নিজের নাম লিখছেন কোক ডুড হিসেবে।
এরিক
অধ্যায়টি শেষ করছেন এই তথ্যপূর্ণ স্তবকটি দিয়ে, Bushey left
Colorado Springs in 2000 and moved to Florida. He is now the principal of the
high school in Celebration, a planned community run by The Celebration Company, a subsidiary of
Disney. মন্তব্য
নিষ্প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment