Chapter 4:
Success সাফল্য
“Becoming
a franchisee is an odd combination of starting your own business and going to
work for someone else.”
এই অধ্যায়েও এরিক পাঠকদের কলোরাডো শহরে নিয়ে যান। শহরের নিম্নবিত্ত এলাকা পুয়েবলোয় তিনি সঙ্গী হন এক পিতজ়া ডেলিভেরি বয় কাবংএর। কাবং লিটল সিজ়ার চেনের এই শহরের একটি ফ্রাঞ্চাইজ়িতে কাজ করে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে স্থানীয় মহাবিদ্যালয়ে। যদিও কাবং নিম্নঅর্থনীতির এলাকায় থাকে, যেহেতু সে তুলনায় ধনী পাড়ায় এই কাজটি করে, সেহেতু সে নিজেকে তার সমাজের গণ্যমান্য বলে মনে করে।
কাবংএর কত্তা, ফ্রাঞ্চাইজ়ির মালিক, ডেভ ফিমস্টার জাতীয় হকি লিগের খেলোয়াড় ছিল। আঘাত লাগায় খেলা ছেড়ে দিতে হয়। শেষে এই ফ্রাঞ্ছাইজ়ি খুলে বসেন। ফ্রাঞ্চাইজ়ির অর্থনীতিটা এই রকম, তাকে প্রতি হপ্তায় ৩০০ ডলার দিয়ে এসিস্টান্ট ম্যানেজারের কাজ শিখতে হয়েছে, ফ্রাঞ্ছাইজ়িকে দিতে হয়েছে ১৫০০০ ডলার। ফ্রাঞ্চাইজ়ি পাওয়ার পর থেকে তাকে ৫ শতাংশ, আর বিজ্ঞাপনের জন্য ৪ শতাংশ কোম্পানিকে দিতে হয়। তার রেস্তরাঁর তৈরি, সাজানোর খরচও তাকে দিতে হয়েছে। এরিকের গুনতিতে প্রথম পিতজাটি বিক্কিরির আগে ডেভকে গুনতে হয়েছে কড়কড়ে ২ লাখ ডলার, পাতি বাংলা হিসেবে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার কাছাকাছি একটা অংক। আসলে পুরো বিনিয়োগটা ধারের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এবং তিন বছর ধরে তাকে এই ধার কড়ায় ক্রান্তিতে শোধ করতে হয়েছে।
আসলে কর্ক যে ভাবে সময় নিয়ে, ভেবেচিন্তে ফ্রাঞ্চাইজ়ি খুলেছেন, অন্যরা সেভাবে এগোয় নি। ধুরন্ধর বেচু কর্ক জানতেন ফ্রাঞ্চাইজ়ির সফলতার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ব্যবসার সাফল্যের প্রাণ ভোমরা। প্রথম দিকে ম্যাকডোনাল্ডের ফ্রাঞ্চাইজ়ি নেওয়ার দাম ছিল মাত্র ৯৫০ ডলার। কর্ক চুক্তিপত্রে বেশি সময় না দিয়ে অনেক বেশি সময় ব্যয় করতেন, ফ্রাঞ্চাইজ়ির কিভাবে আরও বেশি পণ্য বিক্রি হবে সেই পরিকল্পনায়। পাঁচের দশকে অনেক সময় দেখা গিয়েছে কর্কের তুলনায় অনেক বেশি রোজগার করেছে ফ্রাঞ্চাইজ়ি মালিক।
তিনি ফ্রাঞ্চাইজ়ির মালিক হিসেবে পছন্দ করতেন যিনি নিজে দোকান চালাবে। তিনি খুব ধনী বিনিয়োগকারী চাইতেন না, যিনি এই ব্যবসাকে আর একটা ব্যবসা হিসেবে দেখবেন। কর্ক চাইতেন এমন মানুষ যিনি সব ছেড়ে ছুড়ে শুধুই ম্যাকডোনাল্ডের উন্নতি, নিজের দোকানের বিকাশের পেছনে পড়ে থাকবেন। নতুন করে নতুন জীবন শুরু করবেন। তিনি ফ্রাঞ্চাইজ়ি মালিক কথা মন দিয়ে শুনতেন এবং সেগুলো প্রয়োগও করতেন। ম্যাকডোনাল্ডের উন্নয়নের অধিকাংশ ভাবনা এসেছে ফ্রাঞ্চাইজ়ি মালিকদের থেকেই। কর্কের সাফল্যের মূল মন্ত্রই হল, emphasis on simplicity and uniformity, the ability to
replicate the same retail
environment at many locations. ম্যাকডোনাল্ডের দেখাদেখি একই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ১৯৬৯ সালে ডোনাল্ড আর ডরিস ফিশার সান ফ্রানসিসকোয় জেনেরাশন গ্যাপ নাম দিয়ে একটি দোকান খলেন। ৩০ বছর পর সারা বিশ্বে ১৭০০ কোম্পানি গ্যাপের নানান ব্যবসা করছে।
খুব বিশদে ডেভের উদাহরণ দিয়ে এরিক খুব কড়া ভাষায় নিন্দা করছেন চটজলদি খাবারের ফ্রাঞ্চাইজ়ি ব্যবস্থাকে। তিনি বলছেন এই কোম্পানিরা নানান মিথ্যেকে সত্যির মোড়কে ফ্রাঞ্চাইজ়িদের বোঝায়, নিজের ব্যবসা খোলার থেকে,
ফ্রাঞ্চাইজ় দোকান খোলা কত সোজা এবং নির্ভরযোগ্য। তাদের যুক্তি ১৯৯৮র ইন্টারন্যাশনাল ফ্রাঞ্চাইজি এ্যাসোসিয়েশনের সমীক্ষা বলছে 92 percent of all franchisees said they
were ‘successful.’ এরিক এই সমীক্ষার ঘোমটা খুলে দেখিয়ে দিচ্ছেন তার বেআবরু রূপ। এই সমীক্ষাটি হয়েছিল, যারা তখনও ফ্রাঞ্চাইজ় ব্যবসায় টিকে রয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে। যে সব দেউলিয়া ফ্রাঞ্চাইজ়ের ব্যবসায় গণেশ উল্টেছে, তাদের এই সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি, তাদের জিগ্যেস করা হয়নি, যে তারা
নিজেদের অসফল ভাবছে কিনা। হলে বিপর্যয় হতে পারত।
এবাবদে এরিক, ওয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক, টিমোথি বেটসকে সাক্ষী মানছেন। তার মত ইন্টারন্যাশনাল ফ্রাঞ্চাইজি এ্যাসোসিয়েশন ব্যাপকভাবে রং চড়িয়ে নানান তথ্য মসলা ফোড়ন সহযোগে পেশ করে। তিনি ফেডারেল লোন এজেনসির হয়ে একটি সমীক্ষা করেন। তিনি দেখেন “within four to five
years of opening, 38.1 percent of new franchised business had failed.” ফ্রাঞ্চাইজির কালো দিক নিয়ে বেটস আরও বলছেন, “the franchise route to self-employment is associated
with higher business failure rates and lower profits than independent business ownership.”।
ইন্টারন্যাশনাল ফ্রাঞ্চাইজি এ্যাসোসিয়েশনের ঝুলি থেকে এরিক বেড়াল বের করেই ছাড়লেন। তিনি বই লেখার সময় দেখেছেন আমেরিকার আইনে ফ্রাঞ্চাইজি এবং তাদের কর্মীদের রক্ষা করার কোনও রক্ষা কবচ নেই। একটি ফ্রাঞ্চাইজি খুলতে কেন্দ্রীয় আইন সব তথ্য নেবে, কিন্তু তার পর কি ভাবে ফ্রাঞ্চাইজিদের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে, কিভাবে এই ব্যবস্থাপনা চলবে সে বিষয়ে আইন নিশ্চুপ। তিনি বলছেন লাভ হলে তা ভাগ হবে, ক্ষতি হলে কেন হবে না? তিনি বলছেন, “It is perfectly legal
under federal law for a fast food chain to take kickback (known as “rebates”)
from its suppliers, to open a new restaurant next door to an existing
franchise, and to evict a franchisee without giving cause or paying any
compensation.”
ফ্রাঞ্চাইজিদের মধ্যে সব থেকে খারাপ হল সাবওয়ে। এ নিয়েও তিনি বিশদে আলোচনা করেছেন।
No comments:
Post a Comment