Chapter
7: Cogs in the Great Machine1, মেসিনের কগ১
“The
smell is hard to forget but not easy to describe, a combination of live
animals, manure, and dead animals being rendered into dog food. The smell is
worst during the summer months, blanketing Greeley day and night like an
invisible fog. Many people who live there no longer notice the smell; it
recedes into the background, present but not present, like the sound of traffic
for New Yorkers. Others can't stop thinking about the smell, even after years;
it permeates everything, gives them headaches, makes them nauseous, interferes
with their sleep.”
আমেরিকার
গরু মাংস বিক্রির অন্যতম বড় কোম্পানি, কনঅ্যাগ্রার কলোরাডোর গ্রিলি শহরের অবস্থা বর্ণনা করছেন সপ্তম অধ্যায়ের শুরুতে। শহরতা এক সময় পুরনো আমেরিকার
ধ্রুপদী, ঘুমন্ত গ্রামাঞ্চলের মত ছিল। তিনি বলছেন, জবাই
কারখানাগুলোর সঙ্গে গরুর জাবনারও ব্যবসা করে এই কোম্পানিগুলি। এই সহরেই
দেশের সব থেকে বড় জবাই কারখানাগুলো।
জবাই করার তিন মাস আগে থেকে গরুগুলোকে ১৫০০ কিলোরও বেশি দানা শস্য খাওয়ানো হয়, যেত তারা খুব তাড়াতাড়ি মোটা হয়ে প্রচুর চর্বি জমায়।
আমেরিকায় মন্দার সময়
স্থানীয় এক
শিক্ষক, ওয়ারেন মনফোরট গরুকে দানা
শস্য খাওয়ানোর প্রথা
প্রচলন শুরু করেণ।
তার গরু সেসময় সবথেকে বেশি দামে বিক্রি হয় এবং অচিরেই তিনি এলাকার সব থেকে বড় রেঞ্জার
বনে যান। দেখা যায় যে গরু দানা শস্য খায় তাদের মাংস, ঘাস খাওয়া গরুর থেকে নরম হয়, চর্বি বেশি জন্মায়।
এবং নরম আর রান্না
যোগ্য হয়ে উঠবার জন্য এই মাংসকে
বেশিদিন জারিয়ে রাখার দরকার হয় না, জবাইএর পরে পরেই এই মাংস খেয়ে নেওয়া যায়।
মনফোরটের
ব্যবসার নীতি চটজলদি খাবারের কোম্পানিগুলোর আদর্শে খাপে খাপ খেয়ে যায়। গ্রিলির আগে
চিকাগো দেশের সব থেকে বড় জবাই কারখানার শহর ছিল।
১৯৩০এ মাস্টার মনফোরট ১৮টি গরু নিয়ে ব্যবসা শুরু
করে ১২ বছর পর ১৯৫০এ তার র্যাঞ্চে গরুর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০,০০০। মাস্টারির
চাকরি ছেড়ে তিনি আর তার ছেলে
এবার সুন্দর শহর গ্রিলিতে
জবাই কারখানার ব্যবসা শুরু করেন। ইউনিয়নের সঙ্গে অনেকগুলো চুক্তি
করে শুরু হল জবাইয়ের ব্যবসা। গ্রিলির সব থেকে দামি চাকরি হল এই জবাই খানায়। মনফোরট নিজে লিবার্যাল
ডেমোক্র্যাট, ভিয়েতনাম যুদ্ধের ঘোরতর বিরোধী। নিক্সন, মনফোরটকে তার অন্যতম শত্রু
মনে করতেন। কর্মীরা তাকে সরাসরি তাদের কথা
জানাতে পারত। মনফোরটের মত আরেক কোম্পানি সুইফট
এন্ড কোং কর্মীদের ভাল মাইনে দিত। কর্মীদের দীর্ঘদিন ধরে কাজে বহাল রাখতে চাইত, ইউনিয়নের
সঙ্গে মিলে মিশে কাজ করত। কর্মীদের বোনাস, পেনসন সহ নানান ধরণের সুরক্ষা কবচও দিত।
১৯৭০এর পর গ্রিলির পুরো পরিবেশটা হেঁটমুন্ডঊর্ধ্বপদ হতে থাকে। ১৯৭০এ গ্রিলির অবস্থা দ্রুত বদলাতে
থাকে। করমি-মালিক সমঝোতার পরিবেশ ধ্বংস
করতে আমেরিকায় শুরুহয় আইবিপি তুফান।
আপ্টন
সিনক্লেয়ার চিকাগোর জবাই কারখানাগুলোর অব্যবস্থা বর্ণনা করেছেন ১৯০৬ সালে। তাকে উদ্ধৃত করে, এরিক বলছেন “In The Jungle (1906) Upton Sinclair described a litany of horrors: severe
back and shoulder injuries, lacerations, amputations, exposure to dangerous
chemicals, and memorably, a workplace accident in which a man fell into a
vat and got turned into lard. The plant kept running and the lard was sold to
unsuspecting consumers. Human beings, Sinclair argued, had been made “cogs in
the great packing machine,” easily replaced and entirely disposable.”
গ্রিলিতে উঠে আসার আগে চিকাগো ছিল
ইয়োরোপ আর আমেরিকার মাংস মোড়কের শহর। এখান থেকে মাংস ঠাণ্ডা করে সারা আমেরিকা, ইয়োরোপে
পাঠানো হত। তার পূর্ব-পথিক, সিনক্লেয়ারএর ভাষা
ধার করে এরিক বলছেন, বিংশ শতকে চিকাগো ছিল বিশ্বের লজ্জা। At the dawn of the
twentieth
century,
Upton Sinclair considered Chicago’s Packingtown to be “the greatest aggregation
of labor and capital ever gathered in one place.” It was in his view the supreme
achievement of American capitalism, as well as its greatest disgrace।
থিওডোর রুজভেন্ট জাঙ্গলের বর্ণনা
সত্যি কিনা জানতে নিজে তদন্তের নির্দেশ দেন। এরিক বলছেন, President Theodore Roosevelt ordered
an independent investigation of The Jungle’s sensational details. The accuracy
of the book was confirmed by federal investigators,who found that Chicago’s
meatpacking workers labored “under conditions that are entirely unnecessary and
unpardonable, and which are a constant menace not only to their own
health, but to the health of those who use the food products prepared by them.” দ্য
জাংগল প্রকাশের পরে, ১৯০৬সালে আমেরিকায় খাদ্য সুরক্ষা আইন প্রতিপালিত
হয়। এবং দ্বিতীয় বিশ্বজুদ্ধের পর জবাই কারখানাগুলোর শ্রমিকদের চাকরিতে কিছুটা হলেও স্থিরতা আসে, বেতন ভদ্রস্থ হয়।
১৯৬০এ সুইফট মাংস কোম্পানির দুই
প্রাক্তনী, কুরিয়ার হোলম্যান, আর এ ডি
এ্যান্ডারসন আইওয়া
বিফ প্যাক(আইবিপি) ম্যকডোনাল্ডের স্পিডি সার্ভিস সেবার অনুকরনে,
নতুন কারখানা খুলে শ্রমিক
ব্যবস্থাপনা,
উৎপাদন ব্যবস্থাপনা সাজিয়ে
তোলে। শ্রমিকদের দক্ষ করে তোলা নীতি
বিষয়ে এ্যান্ডারসন পরে কখনো বলবেন, “We’ve tried to take the skill
out of every step,”। ম্যকডোনাল্ড
যে ধরণের শ্রমিক দলন ব্যবস্থা অবলম্বন করে হ্যামবার্গার এবং অন্যান্য চটজলদি খানা
তৈরি করেন, ঠিক সেই নীতি নিজের জবাই কারখানায় প্রয়োগ করলেন আইবিপিএর মালিকপক্ষ।
কারখানার নতুন ব্যবস্থা বর্ণনা করে এরিক বলছেন, এবার থেকে আর
জবাই কাজের জন্য, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মীর প্রয়োজোন পড়ল না। একে এক জন এক লাইনে দাঁড়িয়ে, দিনের
পর দিন ধারালো ছুরি দিয়ে একটিইমাত্র কাজ সম্পন্ন করত।
আবার আপ্টন
বর্ণিত, জাঙ্গলএর ব্যবস্থাকে নতুন মোড়কে বিংশ শতকের মাঝে আমেরিকায় নিয়ে এল আইবিপি
জবাই কোম্পানি। এর আগে, জবাই কারখানাগুলো,
কোম্পানিগুলোকে বড় বড় মাংসের টুকরো সরবরাহ করত। আইবিপি ডাকোটা শহরে, ১৯৬৭ সালে যে
কারখানাটা চালু করল, তাতে মাংস অনেক ছোট করে, কোম্পানিগুলোর চাহিদা অনুযায়ী কাটার
ব্যবস্থা করল। এরিক বলছেন আইবিপি কাটা, “fabricated”
them into smaller cuts of meat — into primals (chucks, loins, ribs, rounds) and
subprimals (such as chuck rolls)... IBP shipped these smaller cuts,
vacuum-sealed and plastic-wrapped, as “boxed beef.”। ফলে কম্পানিগুলোকে আর মাংস নতুন করে কাটার
প্রয়োজন পড়ল না। মাংস কিনে সরাসরি রান্নার বাসনে চলে যেত
পশু
খাদ্য খামারগুলো জবাই কারখানার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল খরচ কমানোর জন্য।
কর না দেওয়ার
বাহানা আর
ইউনিয়নের বাইরে থাকতে আরও গ্রামের দিকে চলে
গেল জবাই কারখানা। আইবিপির
কুরিয়ার হোলম্যান
সরাসরি বলতেন তিনি কোম্পানিতে ইউনিয়ন পছন্দ করেন না। ইউনিয়ন ভাঙতে সাম দাম দন্ড ভেদ, যা
প্রয়োজন তিনি তাই প্রয়োগ করতেন। এই কাজে এতই দক্ষ এবং বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি যে, পাইকারি বিক্রেতা আর ইউনিয়নকে ঘুষ দেওয়ার দায়ে
তার বিচার হয়।
আইবিপির সস্তা দামের মাংসের সঙ্গে পাল্লা দিতে চিকাগোর জবাই কারখানাগুলো আরও পশ্চিমের গ্রামের দিকে গিয়ে একই ধরণের কাজ শুরু করে। নতুন কারখানাগুলোয় মজুরি দাঁড়ায় চিকাগোর তুলনায় অর্ধেক।
No comments:
Post a Comment